Saturday, October 25, 2014

ঔষধের প্যাকেটের গায়ে দাম লেখাই থাকে। তাই দাম পরিশোধ করার আগে যাচাই করে নিন।

ঔষধ কেনার সময় লক্ষ্যণীয় ও ঘরে কি ওষুধ রাখা উচিত্ কিভাবে ব্যবহার করা উচিত্ 


 
ঔষধ কেনার সময় যা খেয়াল করবেনঃ
---------------------------------
শরীরে যেকোন ধরণের অসুখ হলেই আমরা ডাক্তার দেখিয়ে থাকি। আর ডাক্তারের কথা মতো ঔষধও কিনে থাকি। ঔষধ যেমন রোগের উপশম ঘটায়, তেমনই অনেক সময় জীবনে এক বড় হুমকিও দিয়ে যেতে পারে।

তাই ঔষধ কেনার সময় প্রেসক্রিপশন দোকানদারের হাতে দিয়েই নিশ্চিন্ত থাকবেন না।

চলুন জেনে নিই ঔষধ কেনার সময় কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন-

মেয়াদকাল দেখে নিন:
ঔষধের প্যাকেটের গায়ে মেয়াদকাল দেখে নিন। মেয়াদোত্তীর্ণ বা মেয়াদ শেষ হবার আর কয়েক মাস বা সপ্তাহ বাকি এ ধরণের ঔষধ কেনা থেকে বিরত থাকুন।

প্রেসক্রিপশান অনুযায়ী কিনুন:
প্রেসক্রিপশানে যে ঔষধের নাম ডাক্তার লিখে দিয়েছেন, ঠিক সেই ঔষধটিই কিনুন। অনেক সময় দোকানদার নতুন বা নিম্নমানের কোন কোম্পানির ঔষধ কমিশনের লোভে আপনাকে ধরিয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হবেন না।

ইচ্ছে মতো ভিটামিন নয়:
অনেকেই শরীর দুর্বল লাগলেই নিজে থেকে ভিটামিন কিনে খেয়ে থাকেন। এটি ভুলেও করবেন না। শারীরিক দুর্বলতার অন্য অনেক কারণ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ঔষধটি খেতে হবে।

একটু কম করে কিনুন:
ডাক্তার যদি আপনাকে তিন মাসের ঔষধ খেতে বলেন এবং এক মাসের ভেতর আবারও দেখা করতে বলেন, সে ক্ষেত্রে এক মাসের ঔষধই কিনুন। কারণ এরপর হয়তো ডাক্তার কোনও ঔষধ বদলে দিতে পারেন। এছাড়াও পেইনকিলার বা স্যালাইন জাতীয় যে ঔষধগুলো সচরাচরই প্রয়োজন হয় সেগুলো একগাদা কিনে বাসায় রাখবেন না। কয়েকটি কিনে রাখুন। নয়তো ঘরে পরে থেকেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যেতে পারে।

দাম যাচাই করুন:

সংরক্ষণ পদ্ধতি দেখে নিন:
কিছু ঔষধ আছে যেগুলো ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হয় কেননা সূর্যের তাপমাত্রায় এগুলোর কার্যকারিতা কমে আসে বা নষ্ট হয়ে যায়। তাই কেনার সময় দেখুন ঔষধটি কী অবস্থায় সংরক্ষিত ছিল।

ছেঁড়া, খোলা বা ফুটোযুক্ত প্যাকেট নয়:
কেনার সময় খেয়াল করুন ঔষধের প্যাকেট বা পাতাটি ছেড়া, ফুটোযুক্ত বা খোলা কিনা। এ ধরণের কিছু হলে কিনবেন না।

ব্যবহার বিধি জেনে নিন:
প্রেসক্রিপশানে ঔষধের ব্যবহার বিধি লেখাই থাকে। তবুও আরেকবার ঔষধ বিক্রেতার কাছ থেকেও নিশ্চিত হয়ে নিন কখন, ক’বার, খাবার আগে না পরে ঔষধটি খাবেন।

শুধুই ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ কিনুন:
শুধুই ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ কিনুন। পরিচিত, একই রোগের রোগী বা ফার্মেসির কম্পাউন্ডারের পরামর্শে কখনই ঔষধ কিনবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা থাকে।

ঘরে কি ওষুধ রাখা উচিত্ কিভাবে ব্যবহার করা উচিত্ঃ
--------------------------------------------------
ঘরে প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ রাখার অভ্যাস অনেকেরই আছে। যদি ঠাণ্ডা লাগে সামান্য জ্বর আসে , তাহলে হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই । কিন্তু অনেকেই ওষুধ ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না। ফলে তাদের ভালো চিকিত্সা হয় না, এমনকি নিজের জীবনে দীর্ঘমেয়াদী অনেক ক্ষতি ডেকে আনে তারা। তাহলে পরিবারের কি ধরণের ওষুধ এবং কিভাবে ওষুধপত্র রাখা উচিত্ ? ওষুধ ব্যবহারের নিয়ম আমরা কিভাবে জানতে পারি?
সাধারণ মানুষের কাছে জ্বরের ওষুধ বেশি থাকে। অন্য ওষুধ বৈচিত্র বেশি বলে খুবই কম থাকে । তাহলে ঘরে কি কি ধরণের ওষুধ রাখা উচিত ? ছোট ওষুধের বাক্সের ব্যাপারে কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
প্রথমত, ঘরে ওষুধের পরিমাণ কম এবং ভাল, ওষুধ রাখা উচিত্ এক সপ্তাহের বেশি কোনো ওষুধ রাখা উচিত্ নয়।
দ্বিতীয়ত, নির্দিষ্ট সময়, স্থান এবং মানুষের জন্যে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ রাখলেই চলে ? যেমন, গ্রীষ্মকালে মশার ওষুধ, শীতকালে জ্বরের ওষুধ ইত্যাদি। আরেকটি কথা, বড় শহরের অনেক ওষুধের দকান আছে, এ জন্যে বড় একটি ওষুধের বাক্স রাখার কোনো দরকার নেই।"

এগুলো ছাড়া, আর কি কি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে?

প্রথমত, পারিবারিক ওষুধের বাক্সটি পরিষ্কার রাখতে হবে। তিন বা ছয় মাসের মধ্যে একবার পরিষ্কার করতে হবে। এমনকি আরো কম সময় পর পর করা যায়।

দ্বিতীয়ত, ওষুধ রাখার জায়গাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাগজের বাক্সে ভেতরে ওষুধ রাখা ভাল নয়। কাগজের বাক্সে ওষুধ রাখলে ভেজা ভেজা থাকবে এবং দেরাজে রাখলে সহজেই ময়লা হবে। এ সব ওষুধ খাওয়া উচিত্ নয়। রাখার জন্য ভাল পাত্র হচ্ছে নমনীয় জিনিসের তৈরী ওষুধের বাক্স। রোদ লাগে এমন জায়গা রাখা উচিত নয়।
বিশেষ করে কিছু কিছু ওষুধ রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। ওষুধ কখনোই শিশুদের নাগবালের ভেতরে রাখা ঠিক না।

তৃতীয়ত, কিছু কিছু লোক ওষুধ রাখার সময় , বাক্সের জায়গা বাড়ানোর জন্য প্যাকেটের বা ভেতরের ব্যবহার বিধি ফেলে দেয়। এটা ঠিক নয়, এতে ওষুধ ব্যবহারের নিয়মটাই দেলে দেওয়া হয়। ব্যবহারবিধি রোগীদের জন্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং একই সঙ্গে আইনগত দায়িত্ব । তাই রোগীদের ব্যবহারবিধি মেনেই ওষুধ খাওয়া উচিত্ ।
আমরা সবাই জানি যে , এখন একই ওষুধের অনেক নাম আছে। যেমন , একই ওষুধের বহু নামে আছে, আপনি হয়নি শুধু একটা নাম জানেন।এর ভেতরে কি কি উপাদান আছে ব্যবহারবিধি না পড়লে জানা পারে না, ফলে খেলে সমস্যা হবে।"

অনেক সময় না জেনে ভূল ঔষধ খাওয়ার কারনে মৃত্যু পর্যন্ত খটতে পারে। যে গুলো কিছু নির্দিষ্ট রোগ ব্যতিত গ্রহণ করলে হিতে বিপরীত হয় । আবার কিছু ঔষধ আছে যে গুলো খাবারের আগে খেতে হয় যেমন গ্যাষ্ট্রিক কিংবা পেপটিক আলসারের ঔষধ(অমিপ্রাজল,সেকলো,প্যান্টোনিক্স ইত্যাদি)।
ঠিক বিপরীত কিছু ঔষধ আছে যা খাবারের আগে খাওয়া যায় না, যেমন ব্যাথার ঔষধ (এ্যানালজেসিক -ডাইক্লোফেনাক,কিটোরোলাক,প্যারাসিটেমল ইত্যাদি।) এগুলো অবশ্যই খাবারের পরে খেতে হয় ।

ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত
▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬