Showing posts with label কবিতার পাতা. Show all posts
Showing posts with label কবিতার পাতা. Show all posts

Tuesday, August 1, 2017

মা এর ভালবাসার একটি গান।


 কবির তালুকদার। হাইমচর, চাঁদপুর।

Thursday, October 15, 2015

নারী তোমার বাড়ি কই?

≈≈≈≈≈≈≈≈× ≈≈≈≈≈≈≈≈
≈≈≈≈≈≈≈≈ নারী তোমার বাড়ি কই?
বাবার বাড়ি এই গাঁয়ে
শশুড় বাড়ি ঐ,
তোমার বাড়ি কই গো নারী,
তোমার বাড়ি কই।

≈≈≈≈≈≈≈≈ সারা জীবন
ভাত রাধিলি পরের হাড়িতে,
আপন ভেবে
বাস করিলি পরের বাড়িতে।
≈≈≈≈≈≈≈≈ যেমন গাছে বেঁধে বাসা,
বাস করে চুঁড়ই,
তেমনি তুমি বাস করিলে,

Thursday, October 23, 2014

তুই কি আমার দুঃখ হবি

তুই কি আমার দুঃখ হবি – 

আনিসুল হক

তুই কি আমার দুঃখ হবি?
এই আমি এক উড়নচন্ডী আউলা বাউল
রুখো চুলে পথের ধুলো
চোখের নীচে কালো ছায়া।
সেইখানে তুই রাত বিরেতে স্পর্শ দিবি।
তুই কি আমার দুঃখ হবি?
তুই কি আমার শুষ্ক চোখে অশ্রু হবি?
মধ্যরাতে বেজে ওঠা টেলিফোনের ধ্বনি হবি?
তুই কি আমার খাঁ খাঁ দুপুর
নির্জনতা ভেঙে দিয়ে
ডাকপিয়নের নিষ্ঠ হাতে
ক্রমাগত নড়তে থাকা দরজাময় কড়া হবি?
একটি নীলাভ এনভেলাপে পুরে রাখা
কেমন যেন বিষাদ হবি।

 

সুন্দর একটি কবিতা

অভিশাপ 

কাজী নজরুল ইসলাম

যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,
অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে -
          বুঝবে সেদিন বুঝবে!
     ছবি আমার বুকে বেঁধে
     পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে
     ফিরবে মরু কানন গিরি,
     সাগর আকাশ বাতাস চিরি'
          যেদিন আমায় খুঁজবে -
          বুঝবে সেদিন বুঝবে!

স্বপন ভেঙে নিশুত্ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে,
কাহার যেন চেনা-ছোওয়ায় উঠবে ও-বুক ছমকে, -
          জাগবে হঠাৎ চমকে!
     ভাববে বুঝি আমিই এসে
     ব'সনু বুকের কোলটি ঘেঁষে,
     ধরতে গিয়ে দেখবে যখন
     শূন্য শয্যা! মিথ্যা স্বপন!
          বেদনাতে চোখ বুজবে -
          বুঝবে সেদিন বুঝবে!

গাইতে ব'সে কন্ঠ ছিড়ে আসবে যখন কান্না,
ব'লবে সবাই - "সেই যে পথিক, তার শেখানো গান না?"
          আসবে ভেঙে কান্না!
     প'ড়বে মনে আমার সোহাগ,
     কন্ঠে তোমার কাঁদবে বেহাগ!
     প'ড়বে মনে অনেক ফাঁকি
     অশ্রু-হারা কঠিন আঁখি
          ঘন ঘন মুছবে -
          বুঝবে সেদিন বুঝবে!

আবার যেদিন শিউলি ফুটে ভ'রবে তোমার অঙ্গন,
তুলতে সে-ফুল গাঁথতে মালা কাঁপবে তোমার কঙ্কণ -
          কাঁদবে কুটীর-অঙ্গন!
     শিউলি ঢাকা মোর সমাধি
     প'ড়বে মনে, উঠবে কাঁদি'!
     বুকের মালা ক'রবে জ্বালা
     চোখের জলে সেদিন বালা
          মুখের হাসি ঘুচবে -
          বুঝবে সেদিন বুঝবে!

আমার লেখা কবিতা


অচিন পাখি

কবির তালুকদার

ও অচিন পাখিরে!
কোন ডালেতে বসি তুমি এমন সুরে ডাকো,
সব ডালেতে চোক্ষু বুলাই, চোক্ষে পড় নাতো।
কোনবা দিকে মুখ ফিরায়ে এমন কূজন করো,
যার কানে যায় সেই হয়ে যায় বাউল মস্ত বড়!
ও রঙিন পাখিরে!
রঙ না দেখেই রঙিন ডাকি, কিই বা তোমার রঙ,
রঙ তো থাকে মনের মাঝে, দেহের মাঝে ঢঙ।
দেহ তোমার দেখলামনাতো, শুধু শুনলান গান।
গানের সুরেই আঁইকা নিলাম তোমার চিত্রখান।
ও বিজন পাখিরে!
কার বিহনে তোমার সুরে এমন বিষাদ গাঁথা,
কি কামনায় কার ভাবনায় ভরা তোমার মাথা?
যারে তুমি ডাকতে পারো এমন করুণ সুরে,
সেকি জানে, কোথায় তুমি, কাছে কিংবা দূরে?

আমার লেখা কবিতা । বৃষ্টিতেও শুকনো থাকি শুনে মনে

বৃষ্টিতেও শুকনো থাকি শুনে মনে

 কবির তালুকদার।

বৃষ্টিতেও শুকনো থাকি শুনে মনে পড়ছে অঞ্জন দত্তের
‘‘একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
থাকবে না সাথে কোন ছাতা
শুধু দেখা হয়ে যাবে মাঝ রাস্তায়
ভিজে যাবে চটি জামা মাথা
থাকবে না রাস্তায় গাড়িঘোড়া
দোকানপাট সব বন্ধ
শুধু তোমার আমার হৃদয়ে
ভিজে মাটির সোঁদা গন্ধ
একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
মনে পড়ে যাবে সব কথা
কথা দিয়ে কথাটা না রাখার
ফেলে আসা চেনা চেনা ব্যথা
অদূরে কোথাও কোন রেডিওতে
এই পথ যদি না শেষ হয়
আর বৃষ্টির রং হয়ে যাবে নীল
আর আকাশের রংটা ছাই
একদিন
বৃষ্টিতে একদিন
বৃষ্টিতে বিকেলে
ভাঙ্গা দেয়ালের সাত পাঁকে বাঁধা
কবেকার নুন শোতে কোথাও
আর বৃষ্টির ছাটে যাবে না দেখা
দু'জনের চোখের জল
ঝমঝম
ঝমঝম চোখের জল
একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
আমরা ধরা পড়ে যাব দেখো ঠিক
ধুয়ে যাবে যত আছে অভিমান
ধুয়ে যাবে সিঁদুরের টিপ
আর চটিটাও ছিঁড়ে যাবে তক্ষুনি
তাই পালানো যাবেনা যে কোথাও
রাস্তা যেমন তেমনি
শুধু লোকজন সব উধাও’’

আমার লেখা কবিতা । মনে পড়ে


মনে পড়ে 

                                        কবির তালুকদার।

হাইড আউট মনে পড়ে?
বেলা তিনটের রান্না
রাতবিরেতের কাঠকয়লা
আর ভোর চারটেতে লোকাল
চামেলীর গন্ধ, হয়তো চাঁপাও
অক্ষরে বন্যা জাগে
প্রস্থে সুঠাম বারান্দা
অগুণতি তারার মশাল
হাইড আউট মনে পড়ে!
কবিতা লেখার দিন
পুরোনো বাসনের ঝন্
কাপড়ের রঙজরি
নিভৃত থেকে চলে আসা
কেন যে আমরা এলাম
এখন দূরত্বে মেঘবন
বৃষ্টিতেও শুকনো থাকি


হৃদয়ের ভাষা


             হৃদয়ের ভাষা

 তুমি কি আমার অভিমানের নীরব চাওয়া বোঝো না ?
যে অভিমান তোমার আজন্ম উপেক্ষায় আজ বেড়ে বেড়ে
ভালোলাগা রংধনু ঢেকে ফেলা দুঃসহ কষ্টের নীল হিমাচল ...
আমার মুখের কথাকেই তবে কেন শেষকথা বলে ধরে নাও ?
আমার চোখে কি তোমার জন্য গোপন প্রেম দেখতে পাও না ?
যে প্রেম আজ বাস্তবতার ঘূর্ণাবর্তে হাবুডুবু খেতে খেতে
হৃদয় গভীরে শীতঘুমে চলে যাওয়া প্রত্যাশাহীন অনুভব ...
আমার অভিমানকে তবু কেন শেষ পরিণতি বলে মেনে নাও ?
তোমার জন্য আমার প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় কি তুমি বুঝতে পার না ?
সময়ের চোরাস্রোতে ক্ষয়ে আসা বাসনার উদ্ভিন্ন বল্কলে
আমি কেবল তোমার জন্যই প্রতিদানহীন পক্ষপাত জমিয়ে রাখি...
আমার নিরবতাকে তবু কেন তুমি শীতলতা বলে ভুল করো ?
তবে কি তুমি আমাকে শর্তহীন ভালোবাসো না বলেই
তুমি আমার হৃদয়ের মানবিক ডাক শুনতে পাও না ?
আমার কাছে তোমার কোন মুকুলিত প্রত্যাশা নেই বলেই কি
তোমার ভাবনা আমার অনুভবের বেলাভূমি স্পর্শ করে না,
আমাকে নিমগ্ন চেতনার গহীনে লালন কর না বলেই কি
তুমি আমার হৃদয়ের ভাষা অনুধাবন করতে পারো না ?
আমাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসো না বলেই তুমি কি
আমাকে আমার নিজের মতো করে বুঝতে পারনা ?

Thursday, August 28, 2014

আমার লেখা কবিতা । তুমি বললে


**তুমি বললে **

কবির তালুকদার

তুমি বললে তোমার বুকের কষ্ট গুলো নেব,
তুমি বললে আকাশ প্রমাণ ভালবাসা দেব,
তুমি বললে বৃষ্টি হয়ে তোমায় সিক্ত করব,
তুমি বললে তোমার সব দুঃখ গুলো নিয়ে নেব,
তুমি বললে ভোরের স্নিগ্ধতায় তোমায় ভাসাব,
তুমি বললে নিজেকে ভুলে সারাক্ষণ তোমায় ভাববো,
তুমি বললে শত কষ্টের মাঝেও তোমার পাশে থাকবো,
তুমি বললে রংধনুর সাত রং তোমার চোখে লাগাব,
তুমি বললে দুরে কোথাও হারিয়ে গিয়ে তোমায় ভাবাবো,
আর যদি আবার জন্ম হয় আমি তোমারি প্রেমেই পরব!