Showing posts with label শিক্ষা. Show all posts
Showing posts with label শিক্ষা. Show all posts

Saturday, December 30, 2017

ছাড়তে হবে পুরনো অভ্যাস

যদি এমন কোনও অভ্যাস থেকে থাকে যা ত্যাগ করে অথবা পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিতকরা আপনার জন্য জরুরী তবে মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেওয়া উপাই সমূহঅনুসরণ করে দেখতে পারেন
ঘৃণা করুনঃ                        
যেটি বা যে অভ্যাসত্যাগ করতে চান তাকে ঘৃণা করতে শুরু করুন। লোক দেখানো নয়নিজ মন থেকে ঘৃণাকরুন। এটা আপনার জন্য জরুরী যে আপনি যখন থেকে মনকে কোনও ব্যাপারেবলবেন-এটি ঠিক নয়”, ঠিক তখন থেকেই মন উক্ত বেঠিক কাজের ব্যাপারে আপনাকে বারেবারে সজাগ করবে। তাই অভ্যাসের পরিবর্তন আনতে আগে তাকে ঘৃণা করুন
দেরি নয়ঃ
আচ্ছা কাল থেকে শুরু করবো বা আজকেই শেষ দিন”- এমন সব সুযোগ নেওয়া থেকেবিরত থাকুন। যেহেতু সিদ্ধান্ত আপনি নিয়েই ফেলেছেন-এটি খারাপ অভ্যাস” তাইআজ এখন এই মুহূর্ত থেকে তাকে না” বলা শুরু করুন। অহেতুক বারেবারে নিজেকেসুযোগ দিলে তা আদৌ ত্যাগ করা সম্ভব হবে না 
একবারে নয়,ধীরে ধীরেঃ
একবারেই রাতকে দিন করে ফেলতে পারবেন না। তার জন্য চাই ধৈর্য সাথে সততা

জীবনে বড় বড় সফলতার জন্য ছোট ছোট ২০টি টিপস।

১. দিনের পর দিন একটু একটু করে আগের চেয়ে বেশি দয়ালু এবং জ্ঞানী হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান
২. আপনি এবং আপনার পরিবারকে আগের চেয়ে একটু বেশি অর্থ সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং গড়ে তুলতে উৎসাহিত করুন
৩. ভুল বোঝাবুঝি থেকে রেহাই পেতে মাঝে মধ্যে মহান হওয়ার চেয়ে সব সময়ের জন্য ভালো মন-মানসিকতা নিয়ে চলার চেষ্টা করুন
৪. প্রচুর পড়ুন। কোনো কিছুই খুব দ্রুত আপনাকে জ্ঞানী করে তোলে না
৫. যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ব যতো এগিয়ে যাবেআপনার খ্যাতি ততো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেকেউ না দেখলেও সব সময় সোজা পথে কাজটি করুন

Wednesday, September 20, 2017

'Life' A Silent, Smart

{ ইন্টারনেট হতে সংগ্রহীত } কবির তালুকদার। হাইমচর, চাঁদপুর।

Thursday, May 4, 2017

সিভিল ৪র্থ পর্বের পরীক্ষার রুটিন ২০১৭

wmwfj ‡UK‡bvjwRi 4_© ce© mgvcwb cixÿv 2017 Bs Gi iæwUb
মোঃ ইব্রাহিম খলিল। সিভিল, কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউ 

Saturday, March 18, 2017

আজ বাড়ীর রং নিয়ে কিছু কথা বলবো।

আজ বাড়ীর রং নিয়ে কিছু কথা বলবো।
আমরা বর্তমানে বিল্ডিং বিভিন্ন প্রকার রং করে থাকি যেমন:-
১। চুনকাম ওয়াস
২। ডিসটেম্পার
৩। প্লাষ্টিক
৪। লাক্সজারি
৫। ওয়েদার কোট
৬। পলিশিং
রং করার আগে সার্ফেস টাকে ভাল ভাবে শুকনো পরিষ্কার ও সমতল করে নিতে হবে।
প্লাস্টার ভাল ভাবে না শুকালে রং করলে রং ভাল হবে না বা রং লাগবে না।

ভালো সিমেন্ট ও রড চেনার উপায়

ভালো সিমেন্ট ও রড চেনার উপায়:
সিমেন্ট:
ভাল সিমেন্টের রং সবুজাভ গ্রে হবে এর মধ্যে কোন শক্ত পিন্ড
থাকবে না, অন্য কোন কিছু মেশানো থাকবে না ব্যাগের মধ্যে হাত
দিলে ঠান্ডা অনুভব হবে সামান্য পরিমান সিমেন্ট নিয়ে পানি ভর্তি বালতির পাণির উপর ছেড়ে দিলে কিছুক্ষন পানির উপর সিমেন্ট
থাকবে। ছিটানোর সাথে সাথেই নিচে পড়ে যাবে না দুই আঙ্গুলের মধ্যে সিমেন্ট নিয়ে আঙ্গুল ঘষতে খষখসে হবে না, পিচ্ছিল হবে।

ভালো বালি ও ইট চেনা উপায়

আসসালামু আলাইকুম,কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করি ভালই আছেন। আজকের টিউন "ভালো বালি ও ইট চেনা উপায়"
বালি:
কোন জিবাস্ম মিশ্রিত থাকবে না অন্যান্য অপ্রযোজনীয় কোনকিছু মিশ্রন থাকবে না হাতের মুঠে কিছু বালি নিয়ে মুঠের মধ্যে নাড়াতে হবে। এবার
মুঠ খুলে বালি ফেলে দিতে হবে।
যদি হাতে ময়লা লেগে থাকে তাহলে বুঝতে হবে সেটা ভাল বালি না
গ্লাসের মধ্যে কিছু পানি দিয়ে তার মধ্যে বালি মেশাতে হবে।
এবার কিছুক্ষন রেখে দিতে হবে।
যদি কিছুক্ষন পার বালি তলানিতে যায় এবং পানির উপরিভাগে কোন
ময়লা না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে বালি ভাল।

বিল্ডিং নির্মাণ করার ক্ষেত্রে কিছু করণীয় কাজ জেনে নিন।

বিল্ডিং নির্মাণ করার ক্ষেত্রে কিছু করণীয় কাজ জেনে নিন।
.
১। বিল্ডিং ডিজাইনের আগেই অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা
মাটির গুনাগুণ বিশ্লেষণ ও মাটির ধারণক্ষমতা
নির্ভুলভাবে নির্ণয়পূর্বক রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।
২। যে কোন বিল্ডিং-এর নকশা তৈরি করার পূর্বেই
স্ট্রাকচারাল নকশার বিধিগুলোর অনুসরণ করতে
হবে। মনে রাখতে হবে সঠিক স্ট্রাকচারাল নকশা না
হলে ভূমিকম্পরোধক বিল্ডিং হবে না।
৩। বিল্ডিং নির্মাণের সময় অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের
(সিভিল ইঞ্জিনিয়ার) তদারকি রাখতে হবে যাতে গুণগত
মান ঠিক থাকে।

টাইলস (Tiles) ফিটিং করার সময় নিচের ধাপগুলো মেনে চলতে হবে-

টাইলস (Tiles) ফিটিং করার সময় নিচের ধাপগুলো মেনে চলতে হবে-
.
১. প্রথমে ইলেকট্রিক্যাল এর কাজ
সম্পন্ন করতে হবে
২. ফ্লোরকে চিপিং করতে হবে ।
৩. পাইপ দিয়ে ওয়াটার লেভেল ঠিক
করতে হবে।
৪. সবগুলো টাইলস একই লেভেলে
থাকবে।

রডের গায়ে 400 ও 500W লেখা বলতে কি বুঝায় ?

রডের গায়ে 400 ও 500W লেখা বলতে কি বুঝায় ?
W দ্বারা Weld বুঝায় যার ব্যবহারিক অর্থ হলো প্রতিক্রিয়া
অর্থাৎ রডের কম্প্রেসিভ লোড বহনের শক্তি আর 500 মেগাপ্যাস্কেলে দেয়া থাকে,
যেটা পিএসআই এ নিতে হলে 145 দারা গুন করতে হবে ,

ইটের গাঁথুনী নিয়ে কিছু কথা

ইটের গাঁথুনী নিয়ে কিছু কথা !!
—————————————-
যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখা জরুরী ইটের গাঁথুনির কাজ করার সময় :
> কাজ শুরুর আগে ইটগুলোকে অন্তত: ৬ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং ভালভাবে পরিস্কার করা উচিত। ভেজা ইটে গাঁথুনি ভাল হয় এবং ফাঁটল ধরার সম্ভাবনা কম থাকে। এছাড়া ভাল করে না ভেজালে প্লাস্টারে সমস্যা হতে পারে।
> ইট গাঁথার সময় প্রত্যেকবার সুতা এবং শল দেখেনিতে হবে গাঁথনী সোজা রাখতে হলে।
>গাঁথুনির সময় দেখতে হবে দুটো ইটের মধ্যের ফাঁক যেন ১ সে. মিটার থেকে বেশী না হয় এবং জোড়ার উপর জোড়া যেন অবিরাম না হয়।
> অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা বেশী লাভ করার জন্য ইটের আকার আকৃতি ঠিক থাকেনা ফলে ইট ব্যবহার করা ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায়। গাঁথনী সোজা হয় না গাঁথনীর একপাশ মেলালে আরেক পাশ মিলে না।
> ইটের আকার ঠিক না থাকা কারনে অনেক বেশী মসলার ব্যবহার করতে হয় গাঁথনীর শল মিলাতে গিয়ে, যায় ফলে সিমেন্ট বালুতে অনেক বেশী টাকা ব্যয় হয় ইটের ক্ষেত্রে টাকা বাঁচাতে গিয়ে। ইটের অনেক অপচয় হয় বেছে বেছে তা ব্যবহার করতে গিয়ে মিস্ত্রিদের সময় বেশী লাগছে, ফলেমিস্ত্রি খরচ বেড়ে যায়।

কংক্রিট ঢালাই এর কোথায় কখন কতটুকু কভার দিতে হবে !

কংক্রিট ঢালাই এর কোথায় কখন কতটুকু  কভার দিতে হবে !
------------------------------------------------------------
আর.সি.সি ঢালাইয়ের ক্ষেত্র কোথায় কি পরিমাণ রডের কভারিং ব্যবহার করতে হবে আমরা অনেকেই তা জানি না।
.
ফলে কাঠামোর সঠিক ঢালাই হয় না বিধায় কাঠামো
দুর্বল হয় । এজন্য এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত ।
নিচে কোথায় এবং কখন কতটুকু কংক্রিট এর কভার দিতে হবে তা তুলে ধরা হল :
# কভারিং :
ক) কভারিং ৩ ইঞ্চি : সরাসরি মাটির স্পর্শে থাকলে,
খ) কভারিং ২ ইঞ্চি : ১৬ এবং ১৮ নম্বর রড ব্যবহার
করে মাটি বা আবহওয়ার সাথে সংযুক্ত হলে,
গ) কভারিং ১.৫ ইঞ্চি : ৫ নম্বর রড ব্যবহার করে মাটি বা আবহওয়ার সাথে সংযুক্ত হলে,
ঘ) কভারিং ১.৫ ইঞ্চি (স্ল্যাব , ওয়াল বা জয়েনট) : ১৪ এবং ১৮ নম্বর রড ব্যবহার করে মাটি বা আবহওয়ার সাথে সংযুক্ত না হলে,

Wednesday, March 8, 2017

WEIGHT OF ROD PER METER LENGTH:

WEIGHT OF ROD PER METER LENGTH:
DIA WEIGHT PER METER
6mm = 0.222Kg
8mm = 0.395 Kg
10mm = 0.616 Kg

Wednesday, March 1, 2017

ভিত্তিতে ও মেঝেতে কংক্রিট কাজের হিসাব

ভিত্তিতে কংক্রিট কাজের হিসাব:
বিল্ডিং বা কাঠামোর ভর সমভাবে মাটিতে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এবং ভিত্তিকে মজবুত করার জন্য লাইম কংক্রিট বা সিমেন্ট কংক্রিট এর কাজ করা হয়।কংক্রিটের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ,মাটি কাটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের সমান হয়ে থাকে।কেবল মাত্র উচ্চতা নকশায় প্রদত্ত উচ্চতার সমান হয়। ভিত্তিতে কংক্রিটের পুরুত্ব, ইমারতের আকার ও মাটির ভারবহন ক্ষমতা এবং দালানের ধরণের উপড় নির্ভরশীল। তবে ভিত্তিতে কংক্রিটের পুরুত্ব ১৫ সেমি এর কম হওয়া উচিত নয়।সিমেন্ট কংক্রিটের উপাদান ১:৩:৬: অথবা ১:৪:৮ হয়ে থাকে।
ভিত্তিতে নিম্নলিখিত হারে পুরু কংক্রিটের স্তর প্রদান করা উচিত:
১. ৩ মিটার পর্যন্ত উচ্চ ইমারতে = ১৫ সেমি.
২. ৩-৪.৫০ মিটার পর্যন্ত উচ্চ ইমারতে =২০ সেমি.

Monday, February 20, 2017

কক্সবাজার পলিটেকনিক এর সিভিল ৪র্থ পর্বের ক্লাস রুটিন PDF File পেতে এখানে অথবা নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

Picture File পেতে এখানে অথবা নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

Download

Friday, July 22, 2016

পড়া মনে রাখার শর্টকাট টেকনিক...

মনে রাখার জন্য আমার লাইফ থেকে শিক্ষা নেওয়া টিপসঃ এই টিপস গুলো আমি আমার প্রতিটি স্টুডেন্টকে দিতাম ... এবং তারা সফলও হত
-------------------------------------------------------------
✪ আপনার পড়ার রুমে অবশ্যই একটা হোয়াইট বা সাদা বোর্ড রাখবেন
সেখানে প্রতিদিন ইম্পরট্যান্ট কিছু পয়েন্ট বা সূত্র লিখে রাখবেন যা মনে রাখা খুব প্রয়োজন ...
✪ প্রতিটি পারার টপিক্স এর ফ্লো চার্ট তৈরি করুন এবং বড় পেইজে করুন মানে এক পেইজে যাতে পুরা বিষয় নিয়ে আসা যায় ...ফ্লো চার্টের প্রতিটি পয়েন্টের পাশে এমন একটা দুইটা ওয়ার্ড লিখে রাখুন যাতে পুরা বিষয় আপনি ব্যাখ্যা করতে বা মনে করতে পারেন ...
✪ অনেকে মনে রাখার জন্য নোট করেন সেইটা অবশ্যই ভালো কিন্তু তারা এমন ভাবে করেন যেন এইটা ছাপা হবে বা আরেকজন পড়বে ...
আমি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় পদার্থ বিজ্ঞান ও অন্যান্য সাবজেক্ট দুই তিনটা বই নিয়ে এভাবে নোট করেছিলাম এতে একটা লাভ হয়েছে প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারনা হয়েছে এবং ভালো বুঝতে পেরেছি এমন ভাবে বুঝেছি যে অন্য যে কাউকে বুঝানোর ক্ষমতা হয়েছিল ...
কিন্তু সমস্যা হল পরীক্ষার আগে আমি প্রতিটি প্রশ্ন অর্ধেক লিখে আর মনে করতে পারছি না ... যা হবার তাই হল ফাস্ট ইয়ার রেজাল্ট অতো ভালো হল না
কারন আমি বুঝেছি ঠিকই কিন্তু দেখলে পারব মনে হত কিন্তু মুখস্ত না লেখার কারনে
আমার দুর্বল পয়েন্ট আমি ধরতে পারি নাই ...
সো যাই পডেন নাকেন একবার হলেও লিখবেন না দেখে এতে আপনার মাথা কাজ করবে এবং মনেও থাকবে ...এর ফলে আপনি শিখার পর লিখতে গেলে দেখবেন একটা পয়েন্টে এসে আন্টকে গেছেন কিন্তু বাকি লাইন গুলো মনে আছে
বিশেষ করে সাইন্সের সাবজেক্টে এমন হয় ... ✪ একটা কথা মনে রাখবেন যে লাইনে আপনি বাঁধা পরেছেন সেইটাই হলো ক্রাকিং লাইন ...
✪ এই জন্য প্রতিটি প্রশ্ন ও ম্যাথে মুখস্ত লিখে লিখে এভাবে ক্রাক লাইন খুজে বের করবেন এবং আপনার নোট হবে সেই লাইন গুলো নোট করবেন
✪ আমি প্রথম ধাক্কার পর এভাবেই নোট করা শুরু করলাম মানে এক পেইজেই সম্পূর্ণ প্রশ্ন তুলে আনতাম পরীক্ষার আগে এইটাই পরতাম যা আমি ছাড়া আর কারো বুঝা সম্ভব ছিল না ...
এভাবে সময়ও বাচলো আমার মনেও থাকল আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনারা নিজেও একবার ট্রায় করে দেখুন
মানে এক পেইজে সম্পূর্ণ প্রশ্ন এইটা করতে গেলে দেখবেন আপনাকে ইম্পরট্যান্ট পয়েন্ট খুজতে হবে যার ফলে টপিক্সটি খুভ ভালো করে পরা হবে
এবং চিন্তা করতে হবে কোন পয়েন্ট লিখলে সম্পূর্ণ প্যারা মনে থাকবে ...
এভাবে আপনি নিজেই মনে রাখার একটা টেকনিক বের করতে পারবেন
-----------------------------------------------
স্বাভবিক টিপস (মানে উপরের টিপস গুলো যাদের পছন্দ হয় নি তাদের জন্য এই টিপস গুলো )
------------------------------------------------------
পাঠ্যবইয়ে পড়া অধীত বস্তগুলি যে আমরা মনে রাখতে পারি না তার প্রধান কারণ:
এগুলো পড়ে পরীক্ষা পাস ছাড়া জীবনে আর কোনো কাজে লাগবে কিনা সে সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারণা নেই। তাই মনে করি কোনো রকমে পরীক্ষায় পাশটা করে গেলে যথেষ্ট। সারাজীবন ধরে এটা মনে রাখার দরকার নেই। আসলে সবাই ভাবে লেখাপড়া, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়েই শেষ হয়ে যায়। ডিগ্রির জন্যই পড়াশোনা। ডিগ্রি পেয়ে গেলে ওটারই দাম, পড়াশোনার আর দাম নেই। এই কারণে কলেজের পাঠ্যবই-এর পড়া লোকে পরবর্তীকালে ভুলে যায়। কারণ ভুলে যেতে চায় বলেই ভুলে যায়।
পড়তে হয় বার বার
—————————
রিপিটেশন বা বার-বার পড়া মনে রাখার প্রকৃষ্ট পদ্ধতি। ছাত্র-ছাত্রীদের বলি যা পড়বার প্রথম তিনমাসই একবারে শেষ করে ফেলুন। পরের ন মাস ধরে চলুক রিপিটেশন। এমন কোন ওষুধ নেই একবার খেলেই রোগ উপশম হয়। মনে রাখতে গেলে বার বার সেটা পড়তে হয়। বিজ্ঞাপনের ছাত্র-ছাত্রীদের আমরা শেখাই Repetition and domination. একটা বিজ্ঞাপন বার-বার repeat করো। আরও বড় করে বিজ্ঞাপন দাও।
বাস্তব জগতে কোনো ক্রিয়া রিপিটেশন ছাড়া হয় না। না কাঁদলে মা শিশুকে স্তন্য দান করে না। কিন্তু শিশুর একবার কাঁদলেই চলে না। প্রতিবার কাঁদতে হয়। তেমনি কারো বার বার ঘ্যান ঘ্যান করতে হয়। এই জন্যই একটা বিজ্ঞাপন বার বার দিতে হয়। নাটকে রিহার্সালও দিতে হয় বার বার। তেমনি একটা সাবজেক্ট বুঝতে গেলে বা জানতে গেলে বার বার করে পড়তে হয়। একে বলে অনুশীলন টাইপ, কম্পিউটার, সাঁতার শেখার লেসন একটাই : ‘বার বার করো’।
কিন্তু বার বার পড়লেই হবে না। এমন কি বার বার পড়লে মুখস্থ হয়তে হয়েতে হয়ে যাবে, কিন্তু বেশিদিন তা মনে রাখা যাবে না । বেশিদিন মনে রাখতে গেলে জিনিসটি বুঝে মুখস্থ করতে হবে। সেই সঙ্গে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে তোতাপাখির মতো না বুঝে মুখস্থ করাকে rote learning বলে। এইরকম মুখস্ত কাম্য নয়। মুখস্ত করার আগে সমস্ত শব্দের অর্থ জানতে হবে ও ভাবার্থ জানতে হবে। এজন্য বলি পড়ে বোঝা ও বুঝে পড়া। মনোযোগ অর্জন করার কতগুলি শর্ত আছে। মনকে ধ্যান ও যোগের দ্বারা ক্রমশ একমুখী করে তুলতে হয়।
একটু নির্জনতার সন্ধানে
—————————
পড়ার জন্য একটি নির্জন ঘর বেছে নেওয়া বাঞ্জনীয়। পড়ার ঘরে অনেক ফিল্মি হিরো, হিরোইন বা ক্রিকেট ছবি রাখে। এটি অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই সব ছবি মনের একাগ্রতা নষ্ট করে। পড়ার ঘরে বরং আপনার নিজের ছবি বড় করে বাঁধিয়ে রেখে দিন। প্রতিদিন পড়া শুরুর আগে ছবির দিকে তাকিয়ে বলুন, আমাকে সমস্ত বিঘ্ন অতিক্রম করতে হবে। আমাকে মনোযোগী হতে হবে। আমাকে বড় হতে হবে। আমাকে পরীক্ষায় সফল হতে হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আর আমাকে সকল বাঁধা অতিক্রম করতে গেলে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এখানে ফাঁকির কোনো স্থান নেই। এবার আর একটা কাগজে লিখুন-পড়াশোনা আমার দ্বারা হবে না। আমি বেকার থাকব। চেষ্টা না করে খাব দাবো আর ফুর্তি করে বেড়াব। তারপর কাগজটি টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে জানালা দিয়ে ফেলে দিন।
পরীক্ষার আগে পড়া
আমাদের ক্লাসে ফাস্ট বয় সারাদিন আড্ডা দিয়ে সারারাত ধরে পড়ত। শুনেছি ভালো ছেলেরা নাকি তাই করে। আমাদের দেশের বাড়ি পাশের বাড়ির একটি স্কুলের ছেলে চার-পাঁচ ঘন্টা চেঁচিয়ে পড়ত। কিন্তু সে ক্লাসে ফেল করত। কতক্ষণ পড়ব, কখন পড়ব, এব্যাপারে কোনো ফর্মূলা দেওয়া যাবে না। খাদ্যের ব্যাপারে যেমন আমরা বলতে পারি একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে ১৬ আউন্স খাদ্য বা ২৫০০ ক্যাসরি খাদ্য লাগে। কিন্তু অনেকে ১২০০ ক্যালরি খেয়েও স্বাস্থ্যবান থাকতে পারে।
পড়ার ব্যাপারেও তাই। আসলে দেখতে হয় যতটুকু পড়ছি মনে রাখতে পারছি কিনা। আজকাল একদিন থেকে এক সপ্তাহ কোনো বিষয়ের ওপর টানা ওয়ার্কশপ চলে। তাতে সারাজীবনে যা শেখেননি তা নাকি ক্যাপসুল করে একদিনে টানা ঘন্টায় শিখিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু J.C. Jenkins ও Dallenbach দেখিয়েছেন দু’দল বাচ্চাকে ননসেন্স ছাড়া শেখানো হল। আর একদলকে না ঘুমাতে দিয়ে টানা শিখিয়ে যাওয়া হল।
দেখা গেল যাদের ঘুমোতে দেওয়া হয়েছিল তাদের স্মতিধারণ ক্ষমতা অবিরাম শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো হয়েছে। অনেকে টানা অনেক্ষণ পড়তে পারে ও মনেও রাখতে পারে। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত, এক ঘন্টা একনাগাড়ে পড়ার পর দশ মিনিট বিশ্রাম দরকার। এই বিশ্রামের সময় কিন্তু টিভি দেখতে যাবেন না। তাহলে যা পড়েছেন সেটা ইরেজ হয়ে যাবে মন থেকে। যেমন টেপ রেকর্ডারে প্রিরেকর্ডেড টেপের ওপর রেকর্ড করলে আগেরটা ইরেজ হয়ে যায়। তার চেয়ে শবাসনে শুয়ে থাকুন। অথবা একটু আড্ডা দিয়ে আসুন। একটু হেঁটে নিন। তারপর আবার শুরু করুন। দিন-রাত একটানা পড়লে স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে। হজম হয় না। রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। অনেকে ঘুম তাড়াবার জন্য ওষুধ খায়, চা, কফি খায়। এর ফলে সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে।
{ ইন্টারনেট হতে সংগ্রহীত } কবির তালুকদার। হাইমচর, চাঁদপুর।

লাইফে বড় হতে চান……!!

লাইফে বড় হতে চান……!! তাহলে নিচের প্রত্যেকটা লাইন ভালো করে খেয়াল করুন ...
জীবনে বড় হওয়া বা সফলতার জন্য বিশেষ কোন চিরন্তনী সূত্র বা নিয়ম নেই ...
তারপরও অধিকাংশ সফল মানুষের সফল হওয়ার ক্ষেত্রে নিচের নিয়ম গুলো মিল থাকে ... তাই সেই নিয়ম গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম ...
এখানে জাস্ট দুই তিন শব্দের কয়েকটা পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে ... যাতে পরতে বোরিং না লাগে ... যে কেউ বুঝার জন্য এই পয়েন্ট গুলোই যথেষ্ট...
✬ লক্ষ্য স্থির করুন … সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যান এবং সঠিক লক্ষ্য পূরণের স্বপ্ন দেখুন এবং সেই বিষয়ে ভালো করে জ্ঞান অর্জন করুন …
✬ মিষ্টি ব্যবহার-বড় পুজিঁ
✬ মিষ্টি করে হাসতে হবে
✬ মানুষকে তার নিজের বিষয়ে উৎসাহী করে তুলুন।
✬ উপযুক্ত প্রশাংসা করুন লাভবান হবেন
✬ মানুষকে স্বমতে আনার সহজ উপায় হল তার কথা শুনুন ও বুঝুন তারপর তার পছন্দের বিষয়ের সাথে আপনার মতামত যুক্ত করে বলুন …
✬ অপরের দোষ খুজঁবেন না
✬ বড় বড় কথায় লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশী
✬ তর্ক করে অপ্রিয় হতে যাবেন না
✬ ঘ্যান ঘ্যান করা ভাল নয়
✬ অনুকরন করবেন না
✬ নাটকীয়তার আশ্রয় নিন
✬ সহানুভুতিশীল হোন
✬ পৃথিবীতে ব্যক্তিত্ব ছাড়া সুন্দর জীবনযাপন সম্ভব নয়
✬ অহংকারী ব্যক্তিকে কেউ পছন্দ করে না
✬ বাস্তবতাকে মেনে নিন
✬ আনন্দে থাকুন
✬ উদ্বেগহীন জীবন ভাল নয়
✬ মানুষ বড় অকৃতাজ্ঞ
✬ স্রষ্টার কাছে নত হোন
✬ আপনি যা ভাবেন তাই হবে
✬ বিশ্রাম নিতেই হবে
✬ ইচ্ছাটাই বড় কথা
✬ দুশ্চিমত্মামুক্ত থাকুন
✬ লাভ লোকসানের হিসাব করবেন না
✬ মন জয় করুন
✬ কাকে কখন হুকুম করা যেতে পারে সেই দিকে খেয়াল করুন যাকে ইচ্ছা তাকে হকুম করবেন না …এক্ষেত্রে স্ট্যাটাস মেন্টেইন করুন
✬ নিজের ভুল আলোচনা করলে ক্ষতি হয়
✬ পুরান ব্যাপারে নতুন করে বলবেন না
✬ ছোটদের সমালোচনা করা ভালো নয়
✬ সততা এবং শ্রম আপনাকে আশ্চর্য ফল দেবে
✬ ভাষাকে সংযত করুন
✬ নিজের মাঝে ডুব দিন সুখ পাবেন
✬ উত্তেজিত হবেন না

{ ইন্টারনেট হতে সংগ্রহীত } কবির তালুকদার। হাইমচর, চাঁদপুর।

Monday, November 9, 2015

দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে এমন ব্যপারগুলো নিয়ে কু’রআনে যা বলা হয়েছে

দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে এমন ব্যপারগুলো নিয়ে কু’রআনে যা বলা হয়েছে অর্থাৎ নৈতিকতা , ব্যবহার, সামাজিকতা , পারিবারিক ও আত্মীয় সম্পর্ক নিয়ে প্রয়োজনীয় উপদেশ সমূহ … যেমন আমরা কিভাবে কথা বলব, কিভাবে বেড়াতে যাবো, কি ধরণের কাপড় পড়ব, বড়দের সাথে কিভাবে আচরন করব , পারিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে কেমন সম্পর্ক গড়ে তুলব– এসব খুঁটিনাটি ব্যপারে কু’রআন যা বলা হয়েছে… এই উপদেশ সমূহ আমাদের এই জীবনকে একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও শান্তিময় সমাজ উপহার দিতে পারে।এর ফলে সুন্দর সমাজ, সমৃদ্ধ দেশ ও শান্তিময় বিশ্ব গড়ে উঠবে … 
নোটঃ পড়ার পর অনুগ্রহ করে শেয়ার করবেন। যেন অন্যরাও পড়তে পারেন।
কু’রআন সম্পর্কে একটি প্রচলিত ধারণা হল এটি একটি উচ্চ মর্গের ধর্মীয়, নৈতিক, মহাগ্রন্থ, যাতে মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় বড়, জটিল ব্যপারগুলোই শুধুমাত্র বলা আছে। দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে এমন সাধারণ ব্যপারগুলোর জন্য কু’রআন নয়। যেমন আমরা কিভাবে কথা বলব, কিভাবে বেড়াতে যাবো, কি ধরণের কাপড় পড়ব – এসব খুঁটিনাটি ব্যপারের জন্য কু’রআন নয়। এই ধারণার কারণে অনেকেই কু’রআন থেকে না শিখে আনুষঙ্গিক ধর্মীয় বই, মনীষীর জীবনী ইত্যাদি পড়ে নানা ধরণের বিতর্কিত উপদেশ শিখে বিভ্রান্ত হয়ে নিজের, পরিবারের, সমাজের ক্ষতি ডেকে আনে; 
যেখানে কিনা স্বয়ং আল্লাহ আমাদেরকে শিখিয়েছেনঃ 
✐ কথা বলার সময় সবচেয়ে মার্জিত শব্দ ব্যবহার করবে এবং সবচেয়ে সুন্দর ভাবে কথা বলবে – ২:৮৩।
✐ কোন ভণিতা না করে, ধোঁকা না দিয়ে, যা বলতে চাও পরিস্কার করে বলবে – ৩৩:৭০।
✐ চিৎকার করবে না, কর্কশ ভাবে কথা বলবে না, নম্র ভাবে কথা বলবে – ৩১:১৯।
✐ মনের মধ্যে যা আছে সেটাই মুখে বলবে– ৩:১৬৭।
✐ ফালতু কথা বলবে না এবং অন্যের ফালতু কথা শুনবে না। যারা ফালতু কথা বলে, অপ্রয়োজনীয় কাজ করে সময় নষ্ট করে তাদের কাছ থেকে সরে যাবে – ২৩:৩, ২৮:৫৫।
✐ কাউকে নিয়ে উপহাস করবে না, টিটকারি দিবে না, ব্যঙ্গ করবে না – ৪৯:১০।
✐ অন্যকে নিয়ে খারাপ কথা বলবে না, কারো মানহানি করবে না – ৪৯:১০।
✐ কাউকে কোন বাজে নামে ডাকবে না। – ৪৯:১০।
✐ কারো পিছনে বাজে কথা বলবে না – ৪৯:১২।
✐ যাদেরকে আল্লাহ বেশি দিয়েছেন, তাদেরকে হিংসা করবে না, সে যদি তোমার নিজের ভাই-বোনও হয় – ৪:৫৪।
✐ অন্যকে কিছু সংশোধন করতে বলার আগে অবশ্যই তা নিজে মানবে। কথার চেয়ে কাজের প্রভাব বেশি – ২:৪৪।
✐ কখনও মিথ্যা কথা বলবে না – ২২:৩০।
✐ সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঘোলা করবে না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন করবে না – ২:৪২।
✐ যদি কোন ব্যপারে তোমার সঠিক জ্ঞান না থাকে, তাহলে সে ব্যপারে মুখ বন্ধ রাখো। তোমার মনে হতে পারে এসব সামান্য ব্যপারে সঠিকভাবে না জেনে কথা বললে অত সমস্যা নেই। কিন্তু তুমি জানো না সেটা হয়ত আল্লাহর কাছে কোন ভয়ঙ্কর ব্যপার – ২৪:১৪, ২৪:১৬।
✐ মানুষকে অত্যন্ত বিচক্ষণভাবে, মার্জিত কথা বলে আল্লাহর পথে ডাকবে। তাদের সাথে অত্যন্ত ভদ্র, শালীনভাবে যুক্তি তর্ক করবে – ১৬:১২৫।

ব্যবহার
------------------
✐ মার্জিত পোশাক পড়বে, সুন্দর আচরণ করবে – ৭:২৬।
✐ মার্জিত পোশাক পরে প্রার্থনা করবে, সেটা যেখানেই হোক না কেন – ৭:৩১।
✐ দরকারের বেশি খাবার খাবে না, পান করবে না – ৭:৩১। 
✐ নিজেই নিজের গুণ জাহির করে অন্যকে মুগ্ধ করার চেষ্টা করবে না – ৫৩:৩২।
✐ কারো সাথে ফুটানি করবে না, নিজেকে নিয়ে গর্ব করবে না– ৩১:১৮।
✐ দেমাক দেখিয়ে চলা ফেরা করবে না – ১৭:৩৭।
✐ তাড়াহুড়া করবে না, ধীরে সুস্থে চলাফেরা করবে – ৩১:১৯।
✐ বিনয়ের সাথে চলাফেরা করবে – ২৫:৬৩।
✐ বেশি সন্দেহ করবে না, কিছু সন্দেহ আছে যেটা করা গুনাহ। আন্দাজে ঢিল মারবে না। একে অন্যের উপর গুপ্তচরগিরি করবে না – ৪৯:১২। 
✐ কাউকে জিজ্ঞেস না করে এবং সুন্দর সম্ভাষণ না জানিয়ে তার ঘরে কখনও ঢুকে পরবে না – ২৪:২৭।
✐ কারো সাথে দেখা হলে তাকে সুন্দরভাবে সম্ভাষণ জানাবে, সালাম দিবে। কেউ তোমাকে সম্ভাষণ জানালে তাকে তার থেকে আরও ভালভাবে সম্ভাষণ জানাবে, সালাম দিবে। যদি সেটা না পারো, অন্তত সে যেভাবে জানিয়েছে, সেভাবে জানাবে – ৪:৮৬।
✐ যখন তুমি নিজের ঘরে আসবে বা অন্য কারো ঘরে যাবে, ঘরে যারা আছে তাদেরকে সুন্দর সম্ভাষণ জানাবে এবং তাদের জন্য আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা করবে – ২৪:৬১।
✐ কেউ ভুলে দোষ করে ক্ষমা চেলে এবং নিজেকে সংশোধন করলে তাকে আগ্রহ নিয়ে, কোন রাগ চেপে না রেখে ক্ষমা করে দিবে – ৬:৫৪, ৩:১৩৪।
✐ অজ্ঞ, বর্বর, বিপথগামী লোকজন অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা, খামোখা যুক্তিতর্ক করতে গেলে তাদেরকে সালাম/শান্তি বলে সরে যাবে– ২৫:৬৩।

নৈতিকতা
------------------
✐ নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে আগে ঠিক কর, অন্যদেরকে ঠিক করার আগে – ৬৬:৬।
✐ কারো কোন উপকার করলে তা তাকে বার বার মনে করিয়ে দিয়ে কষ্ট দিবে না – ২:২৬২।
✐ কারো উপকার করলে তার বিনিময়ে তার কাছ থেকে কোন উপকার, এমনকি ধন্যবাদও আশা করবে না – ৭৬:৯।
✐ কাউকে কথা দিলে অবশ্যই কথা রাখবে। তোমার প্রত্যেকটা অঙ্গীকারের ব্যপারে তোমাকে জিজ্ঞেস করা হবে – ১৭:৩৪।
✐ যারা ভালো কাজ করছে তাদেরকে ভালো কাজে সাহায্য করবে, উৎসাহ দিবে, তাদের সাথে ভালো কাজে যোগ দিবে। যারা খারাপ কাজ করে তাদেরকে কোন ধরণের সাহায্য করবে না – ৫:২।
✐ যারা ফাজলেমি, ছ্যাবলামি করে তাদের কাছ থেকে নিজের মান বজায় থাকতে সরে যাবে – ২৫:৭২।
✐ নোংরামি, অশ্লীল কাজের ধারে কাছেও যাবে না, সেটা গোপনে হোক আর প্রকাশ্যে – ৬:১৫১।
✐ বিপরীত লিঙ্গের প্রতি দৃষ্টি নত রাখো, কাম দৃষ্টি নিয়ে তাকাবে না, একপলকের জন্যও নয় – ২৪:৩০, ২৪:৩১, ৪০:১৯।
✐ কারো সম্পর্কে খারাপ কিছু শুনলে তার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখো যতক্ষণ পর্যন্ত না তুমি তার সম্পর্কে সঠিক তথ্য না পাচ্ছ। অন্যদেরকে নির্দোষ হিসেবে নিবে যতক্ষণ না তার দোষ প্রমাণিত হয় – ২৪:১২।
✐ দুষ্ট, পাজি কেউ তোমাকে কোন খবর দিলে সেটা ভালো করে যাচাই করে নিশ্চিত হও যাতে করে তুমি এমন কিছু করে না ফেল যার জন্য তোমাকে পরে পস্তাতে হয় – ৪৯:৬।
✐ তোমার যা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নেই তা অন্ধ অনুসরণ করবে না কারণ আল্লাহর আদালতে তোমার দৃষ্টি, শ্রবণ এবং বিচার-বুদ্ধি এই সব কিছুর বিচার করা হবে – ১৭:৩৬।
✐ যারা আল্লাহর বাণীকে গুরুত্ব দেয় না, তা নিয়ে অবহেলা করে, হাসি ঠাট্টা করে তাদের কাছ থেকে সরে যাবে – ৬:৭০। যতক্ষণ না তারা অন্য প্রসঙ্গে কথা না বলে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সাথে বসবে না, যাতে করে তুমিও তাদের মত হয়ে না যাও – ৪:১৪০।
✐ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে – ৯:১০৮, ৪:৪৩, ৫:৬।
✐ ঘুষ খাবে না এবং ঘুষ দিবে না – ২:১৮৮।
✐ অন্যের টাকা-পয়সা, সম্পত্তি জেনে শুনে অন্যায় ভাবে দখল করবে না – ২:১৮৮।
✐ নিজের সম্পত্তি অন্যায় ভাবে ভোগ করবে না – ২:১৮৮।
✐ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, সংস্থানের জন্য যাদের আনুগত্য করছ তাদের কোন ক্ষমতাই নেই তোমাকে কিছু দেবার, শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে চাও– ২৯:১৭।

পারিবারিক ও আত্মীয় সম্পর্ক 
---------------------------- 
✐ খাবারের দাওয়াত পেলে যখন যেতে বলেছে, তখনই যাবে, বেশি আগে যাবে না। খাওয়া হয়ে গেলে দেরি না করে চলে আসবে, যাতে তাদের অসুবিধা না হয় – ৩৩:৫৩।
✐ কথা বলার সময় কারও পক্ষপাতিত্ব করবে না, সেটা যদি নিকট আত্মীয়ের বিরুদ্ধেও হয় – ৬:১৫২।
✐ বাবা-মার সাথে সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক রাখবে, ব্যবহার করবে – ৪:৩৬।
✐ কাছের আত্মীয়দের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখবে – ৪:৩৬।
✐ এতিম, এবং অভাবী মানুষদেরকে সাহায্য করবে – ৪:৩৬।
✐ বন্ধু এবং প্রতিবেশীদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক রাখবে – ৪:৩৬।
✐ বিপদে পড়া পথিক-যাত্রীদেরকে সাহায্য করবে – ৪:৩৬।
✐ যারা তোমার অধীনে কাজ করে এবং দাস-দাসি বা কাজের লোকদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করবে – ৪:৩৬।
সাম্য
✐ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, যোগ্যতা নির্বিশেষে সব মানুষকে সন্মান কর – ১৭:৭০।
✐ জাতি, বর্ণ, ভাষা, যোগ্যতা নির্বিশেষে বিশ্বাসীরা সবাই ভাই-ভাই, বোন-বোন। তোমরা সবাই একই পরিবারের সদস্যর মত একে অন্যের ভাই-বোন হিসেবে থাকবে – ৪৯:১০।
✐ তোমাদের জীবনে অন্যের জন্য জায়গা রাখবে– ৫৮:১১।

কু’রআনের একটি আয়াত দিয়ে শেষ করিঃ
… আমরা তোমাকে (মুহম্মদ) কিতাবটি পাঠিয়েছি সব কিছু পরিস্কার করে বর্ণনা করে; যারা আল্লাহর প্রতি অনুগত (মুসলিম) তাদের জন্য পথ প্রদর্শক, অনুগ্রহ ও সুসংবাদ হিসেবে। (১৬:৮৯)
সালাম।
বিঃদ্রঃ উপরের উপদেশ গুলো সংশ্লিষ্ট আয়াতের সরাসরি অনুবাদ নয়। বরং যেই আয়াতগুলোর অংশ বিশেষ থেকে উপদেশগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে, তা দেওয়া হয়েছে। অনেক সময় আয়াতের অর্থ পড়ে সরাসরি বোঝা যায় না উপদেশটার সাথে মিল কোথায়। চিন্তা করুন, তাফসির পড়ুন, বুঝতে পারবেন।

এখানে প্রথমে সুরার নম্বরঃ ও আয়াত নম্বর দেওয়া আছে

সংগ্রহ / সুত্রঃ ওমর আল জাবির এর ওয়েবসাইট

Tuesday, November 3, 2015

লেখাপড়ায় মনোযোগ বাড়িয়ে তুলতে কিছু টিপস

লেখাপড়ায় মনোযোগ বাড়িয়ে তুলতে কিছু টিপস + সঠিক নিয়মে পড়ালেখার টেকনিক +পড়া মনে রাখার ক্ষমতাকে বাড়ানোর শর্টকাট টেকনিক ...
এই পোস্ট হচ্ছে ট্যালেন্ট ছাত্রদের গোপন রহস্য! বেশি কিছু না জাস্ট পড়তে বসার সময় এই টিপসগুলোকে প্রয়োগ করে ফেলেন, সহজেই মনে রাখতে পারবেন সবকিছু! 
নোটঃ -আপনার বা আপনার বন্ধুদের বা ছোট ভাই-বোনদের প্রয়োজনে শেয়ার করে পোস্ট লিংক সেইভ রাখুন না হলে পরে আবার খুজতে হবে !

একদিকে ঝড়ের গতিতে পড়ে যাচ্ছেন আর আরেকদিকে ঠিক একইভাবে ভুলেও যাচ্ছেন। পড়াশোনার ক্ষেত্রে এমন সমস্যায় পড়েননি এমন মানুষ খুব কমই আছে। বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রীদের এই একটি বিষয় নিয়ে হা হুতাশ করতে শোনা যায় যে তারা পড়া পড়ে মনে রাখতে পারেন না। এক্ষেত্রে আপনাদের এই হা হুতাশ দূর করতে কিছু টিপস প্রদান করা হল।

🕮 পড়ার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করুন (involve yourself in reading)
আপনি যা পড়ছেন সেই বিষয়ের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করুন। নিজে নিজেকে প্রশ্ন করুন ও পড়ার ভেতর থেকে উত্তর ও নিজেই খুঁজে বের করুন। যখনই আপনি কোন বিষয়ে পড়তে গিয়ে ঘটনার কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে নিজে থেকে জানার চেষ্টা করবেন তখন সেই পড়া আপনার ভেতর খুব পাকাপোক্তভাবে বসে যাবে। তাই সহজে আপনার মন থেকে পড়া হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি কমে যায়।

🕮 নোট করে করে পড়ুন(take a note)
একটানা কোন বিষয় পড়ে না গিয়ে বরং ছোট ছোট অংশে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বা অল্প করে করে পড়ুন। এক নাগারে কোন বিষয়ে পড়ে গেলে আপনার ভুলে যাওয়ার সুযোগ থাকে, তাই ছোট ছোট অংশে ভেঙ্গে বা নোট করে পড়লে আপনার স্মৃতিতে তা ভালোভাবে আটকে যায় আর ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

🕮 যা পড়ছেন তা কল্পনা করার চেষ্টা করুন(visualize as you read)
আপনি যে বিষয়ে পড়ছেন ভা যে ঘটনা সম্পর্কে পড়ছেন সেটা নিজে নিজে কল্পনা করার একটা চেষ্টা করে দেখুন। যদি আপনি কোন যুদ্ধ সম্পর্কে পড়তে বসেন তাহলে নিজেকে যুদ্ধ ময়দানে কল্পনা করুন, ভাবুন কেন আপনি যুদ্ধে এসেছেন আর কি নিয়েই বা এই যুদ্ধ। দেখবেন পড়ার বিষয়বস্তু আপনার মস্তিস্কে একটি স্থায়ী জায়গা দখল করে থাকবে।

🕮 একটু ব্যাতিক্রম ঘটনায় বাড়তি মনোযোগ দিন(pay extra attention to difficult information)
কোন বিষয়ে পড়তে গিয়ে হয়তো আপনার সামনে অন্য রকম কাহিনী বা ঘটনা সম্পর্কিত আলোচনা আসবে, কারণ সবটাই আপনার জানা বিষয় সম্পর্কিত আলোচনা সামনে পড়বেনা এমনটাই কাম্য। তাই এইসব সময়ে আপনি আপনার আলোচ্য বিষয়বস্তুতে বাড়তি মনোযোগ প্রদান করুন। আপনার একটু বাড়তি দেখাশোনা পড়া মনে রাখতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। 

🕮 অনুশীলন করুন(practice, practice, practice)
আপনার মুখস্ত পড়া মনে রাখতে বার বার সেটি অনুশীলন করুন। সব থেকে ভালো হয় যদি আপনার আলোচ্য বিষয় পড়ার পাশাপাশি একটু একটু লিখার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। যেকোন বিষয় পড়ার সাথে সাথে লিখতে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই বার বার পড়া বিষয় অনুশীলন করুন।

🕮 পড়ার ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিন(take regular study breaks)
আপনি যদি ভেবে থাকেন শুধু একটানা পড়ে গেলেই পড়া বিষয় আপনার মনে থাকবে তাহলে ভুল করবেন। বরং পড়ার ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন, আর বিরতির পর আগের পড়াগুলো মনে মনে আওড়ানোর চেষ্টা করুন। এভাবে পড়লে দেখবেন আপনার স্মরণশক্তি এমনিতেই বাড়বে।

সবার মেধা সমান নয় আর একইভাবে একই কায়দায় পড়লে সবায় তা মনে রাখতে পারবে এটাও সম্ভব নয়। তাই নিজে নিজে পড়া মনে রাখার নতুন নতুন কৌশল আয়ত্ত করুন।

------------------------------------------------------------------
সঠিক নিয়মে পড়ালেখার টেকনিক 
--------------------------------------------------------------------------
পড়া বুঝে মনে রাখার সহজ উপায়টা কী? মুখস্থবিদ্যা কোনো সমাধান না, আর মুখস্থ করা মানে সেটা বোঝা, মনে রাখা কোনোটাই না। কোনো কিছু পড়ে সহজে সেটা মনে রাখতে হলে আপনাকে স্মৃতি গড়ার কায়দা জানতে হবে।

পরিচিত অনেক ছাত্রকেই দেখবেন, একবার পড়লেই মনে রাখতে পারে, সেখানে আপনি হয়তো ঘন্টার পর ঘণ্টা ঘষটে ঘষটেও কিছু মনে রাখতে পারছেন না।

তাহলে কায়দাটা কী? আঁতেল ভালো ছাত্র কাউকে জিজ্ঞেস করলে বলবেনা হয়তো তাদের গোপন রহস্য, তাই এই লেখা থেকে জেনে নিন সেটা।

🕮 পড়তে বসার আগে একটু চিন্তা করুন- কী পড়বেন, কেন পড়বেন, কতক্ষণ ধরে পড়বেন। প্রত্যেকবার পড়ার আগে কিছু টার্গেট ঠিক করে নিন। যেমন, এত পৃষ্ঠা বা এতগুলো অনুশীলনী।

🕮. বিষয়ের বৈচিত্র্য রাখুন। নিত্য নতুন পড়ার কৌশল চিন্তা করুন।

🕮 দেখা, দেখতে পারা ~ কোনো জিনিষ মনে রাখতে হলে সেটা দেখা অথবা কল্পনায় করাটা দরকারী। ধরা যাক, মোগল সম্রাট আকবরের শাসনামল মনে রাখতে হবে। বিরক্তিকর সব জিনিষ তোতাপাখির মতো মুখস্থ করার চাইতে চোখ বুঁজে একবার সম্রাট আকবরকে কল্পনা করেন, হাতির পিঠে বসে মোগলাই পরোটা খেতে খেতে কটকটে হলুদ পাঞ্জাবি পরা হিমুর সাথে যুদ্ধ করছে। পানিপথের যুদ্ধ আর তোতার মতো মুখস্থ করা লাগবেনা, এই দৃশ্যটা মনে করলেই বাকিটা মনে থাকবে আপনার।

🕮 সম্পর্ক -- কোনোকিছু পড়ার পরে সেটার সাথে আপনার পরিচিত কিছুর সম্পর্কটা চিন্তা করে নিন। যেমন ধরেন বয়েলের সূত্র দিয়ে গ্যাসের গতিবিধির তত্ত্ব মনে রাখতে হবে। বয়েল এর নামটা বয়লারের মতো, তাই না? আবার অনেকটা কয়েলের মতো লাগে। কয়েল থেকে ধোয়া টাইপের গ্যাস বের হয়, তাই না? এভাবে যেটাই পড়বেন, পরিচিত কিছুর সাথে সম্পর্ক বের করেন। আবার যেগুলা পড়ছেন, তাদের নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক বের করেন।

🕮 একটানা না পড়ে বিরতি দিয়ে পড়বেন। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, একটানা ২৫ মিনিটের বেশি একজন মানুষ মনোযোগ দিতে পারে না। তাই একটানা মনোযোগের জন্যে মনের ওপর বল প্রয়োগ না করে প্রতি ৫০ মিনিট পড়ার পর ৫ মিনিটের একটা ছোট্ট বিরতি নিতে পারেন। কিন্তু এ বিরতির সময় টিভি, মোবাইল বা কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত হবেন না যা হয়তো ৫ মিনিটের নামে দু-ঘণ্টা নিয়ে নিতে পারে।

🕮 পড়ুন, লিখুন, আঁকুন, মনে রাখুন - ১০ মিনিটের বেশি কিছু পড়বেন না।১০ মিনিট পড়ার পরে যেটা পড়লেন, সেটাকে লিখে ফেলেন, অথবা সেটা নিয়ে ছবি আঁকেন। চিন্তার কিছু নাই, ছবি আঁকতে না পারলেও কাকের ঠ্যাং মার্কা কিছু আঁকেন। তার পর পরের পড়ায় যান। কারণ মনে কিছু ঢোকার পরে সেটা যদি লেখার মাধ্যমে হাতে না আনেন, তাহলে মন থেকে কান দিয়ে সেটা বেরিয়ে পালাবেই। তাই পড়া, লেখা, মনে রাখা, এই চক্রে পড়ার অভ্যাস করেন, সহজেই মনে থাকবে সবকিছু।

🕮 অল্প অল্পেও অনেক - একবারে গাছের আগায় উঠা যায় না। তাই একগাদা জিনিষ একবারে এক দফায় না পড়ে অল্প অল্প করে পড়েন। মনের জগতে ওভারডোজ সহ্য হয় না।

🕮 এনার্জি লেভেলের সঙ্গে আগ্রহের একটা সম্পর্ক আছে। এনার্জি যত বেশি মনোযোগ নিবদ্ধ করার ক্ষমতা তত বেশি হয়। আর অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর দিনের প্রথমভাগেই এনার্জি বেশি থাকে। তাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যে পড়াটা দিনে ১ ঘন্টায় পড়তে পারছে সেই একই পড়া পড়তে রাতে দেড় ঘণ্টা লাগছে। তাই কঠিন, বিরক্তিকর ও একঘেয়ে বিষয়গুলো সকালের দিকেই পড়ুন। পছন্দের বিষয়গুলো পড়ুন পরের দিকে। তবে যদি উল্টোটা হয়, অর্থাৎ রাতে পড়তে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাহলে সেভাবেই সাজান আপনার রুটিন।

🕮 মনোযোগের জন্যে আপনি কোন ভঙ্গিতে বসছেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ। সোজা হয়ে আরামে বসুন। অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া বন্ধ করুন। চেয়ারে এমনভাবে বসুন যাতে পা মেঝেতে লেগে থাকে। টেবিলের দিকে একটু ঝুঁকে বসুন। আপনার চোখ থেকে টেবিলের দূরত্ব অন্তত দু ফুট হওয়া উচিৎ।

🕮 পড়তে পড়তে মন যখন উদ্দেশ্যহীনতায় ভেসে বেড়াচ্ছে জোর করে তখন বইয়ের দিকে তাকিয়ে না থেকে দাঁড়িয়ে পড়ুন। তবে রুম ছেড়ে যাবেন না। কয়েকবার এ অভ্যাস করলেই দেখবেন আর অন্যমনস্ক হচ্ছেন না।

🕮 প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পড়তে বসুন এবং পড়তে বসার আগে কোনো অসমাপ্ত কাজে হাত দেবেন না বা সেটার কথা মনে এলেও পাত্তা দেবেন না। চিন্তাগুলোকে বরং একটা কাগজে লিখে ফেলুন।

🕮 টার্গেট মতো পড়া ঠিকঠাক করতে পারলে নিজেকে পুরস্কৃত করুন, তা যত ছোটই হোক।

🕮 যেখানে আপনি পড়তে কমফোর্ট ফিল করবেন, সেখানেই পড়বেন। সবসময় একই জায়গায় বা পরিবেশে পড়ার চেষ্টা করবেন।

🕮 এমন জায়গায় পড়তে বসুন যেখানে আপনি সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারবেন।
-------------------------------------------------- 
কীভাবে আপনার মনে রাখার ক্ষমতাকে বাড়াবেন?
------------------------------------------------------
🕮 প্রথমত, যা আপনি মনে রাখতে চান তা মনোযোগ দিয়ে ধীরে ধীরে পড়ুন এমন ভাবে পড়বেন যেন নিজের কানে স্পষ্ট শুনুতে পান।কি পরছেন তা বুঝার চেষ্টা করুন ... প্রথমবারে বুঝতে না পারলে পুনরায় পড়ুন ... যে শব্দ বুঝতে পারছেন না তা দাগান সেইগুলোর অর্থ জানা না থাকলে তা খুঁজে জেনে নিন ।

🕮 একই সময় যদি একটা বিষয়েই মনোযোগ দেন তাহলে এটা সহজ হবে। যে তথ্যগুলো মনে রাখতে চান সেগুলোকে নির্দিষ্ট করুন এবং শুধু তাতেই মনোযোগ দিন। যেমন, বইয়ের যে তথ্যগুলো আপনি নতুন দেখছেন বা কঠিন মনে হচ্ছে সেগুলোই হবে আপনার মনোযোগের বিষয়।

🕮 একটি বিষয়কে আপনি যত ভিন্ন দৃষ্টিকোণ এবং ব্যাখ্যা থেকে বুঝবেন তত এটি আপনার মনে রাখা সহজ হবে। যত পুরনো জানা তথ্যের সঙ্গে মিল-অমিল চিন্তা করবেন, তত আপনার মনে থাকবে।

🕮 যা মনে রাখতে চান, তাকে একটি পূর্ণাঙ্গ কাঠামোয় রূপান্তরিত করুন। আংশিক না করে বিষয়টি পুরোপুরি শিখতে বা বুঝতে চেষ্টা করুন। মনে রাখার ক্ষেত্রে ছবির ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই কোনো জটিল বা ব্যাপক বিষয়কে ছবি, চার্ট বা ডায়াগ্রামে সাজিয়ে নিন।

🕮 মনে রাখার জন্যে প্রথমবার পড়ার দুই/ এক দিনের মধ্যেই পড়াকে রিভাইজ করুন।

🕮 এছাড়া তৈরি করতে পারেন মনে রাখার নানা ছন্দ। যেমন, মোঘল সাম্রাজ্যের পরম্পরা বোঝাতে ‘বাবার হইলো একবার জ্বর, সারিলো ঔষধে’ ছড়াটি আওড়ালেই [বাবর হুমায়ূন আকবর জাহাঙ্গীর সাজাহান আওরঙ্গজেব] প্রমুখ মোঘল বাদশাহদের নাম একের পর এক বলে দেয়া.
মনে রাখার জন্য আমি একটা টেকনিক ফলো করি ... জানি না অন্য কারো ক্ষেত্রে কাজ করে কিনা ... সেইটা হল ক্যামেরা টেকনিক
এইটা একধরনের মনে রাখার গেইমের মত ...
যেমন আমি কোন নম্বর বা লাইন বা প্যারা এইবার দেখে চোখ বন্ধ করে ফেলি অনেকটা ক্যামেরায় ছবি ধারণ করার মত...তারপর চিন্তা করি সেখানে কি কি ছিল ... এর পর ওই তথ্যের সাথে মিলায় দেখি কতটুকু মিলল...
এভাবে কয়েক বার ট্রায় করি ... অন্য যে কোন পদ্বতির চেয়ে এই পদ্বতিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দ্রুত ও ভালো মনে থাকে ...যারা আগে ট্রায় করেন নি তারা ট্রায় করে দেখতে পারেন ...
এতে আপনার মনে রাখার ক্ষমতা বাড়বে ...

ব্যাস, পেয়ে গেলেন তো ভালো ছাত্রদের গোপন রহস্য! এবারে পড়তে বসে এগুলাকে প্রয়োগ করে ফেলেন, সহজেই মনে রাখতে পারবেন সবকিছু।