Saturday, October 25, 2014

কথা বলার সময়ে যেসব ব্যাপারে স্মরণ রাখা দরকার

আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বেড়ায়।” [মুসলিম]
# রিয়াদুস সলিহীন – ১৫৪৭

আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন ভালো কথা বলে অন্যথায় চুপ থাকে।” [বুখারী,মুসলিম]
হাদিসটি ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন। ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, হাদিসটির বক্তব্য এ ব্যাপারে স্পষ্ট যে, কোন কথায় উপকার ও কল্যাণ নিহিত না থাকলে তা না বলাই উচিত। অর্থাৎ যেসব কথার মধ্যে কল্যাণ ও উপকার বিদ্যমান সেগুলো এ পর্যায়ভুক্ত। কিন্তু যদি কল্যাণের দিকটা সন্দেহপূর্ণ হয় তবে কথা না বলাই উত্তম।
# রিয়াদুস সলিহীন – ১৫১১

আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ “বান্দা যখন ভালো-মন্দ বিচার না করেই কোন কথা বলে, তখন তার কারণে সে নিজেকে জাহান্নামের এত গভীরে নিয়ে যায় যা পূর্ব ও পশ্চিমের দুরত্বের সমান।” [বুখারী,মুসলিম]
হাদিসটি ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন। ‘তাবাইয়্যান’ শব্দের অর্থ ভালো না মন্দ তা চিন্তা করে দেখা।
# রিয়াদুস সলিহীন – ১৫১৪

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহর যিকর ছাড়া বেশি কথা বলো না। কেননা আল্লাহ তা’আলার যিকর বা স্মরণবিহীন বেশি কথাবার্তা মনকে পাষাণ করে দেয়। আর পাষাণ হৃদয় ব্যক্তি আল্লাহ থেকে সর্বাধিক দূরে।” [মুসলিম]
# রিয়াদুস সলিহীন – ১৫১৮

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “মু’মিন ব্যক্তি কখনো ঠাট্টা-বিদ্রুপকারী, অভিশাপকারী, অশ্লীলভাষী ও অসদচারী হতে পারে না।” [তিরমিযি]
ইমাম তিরমিযি হাদিসটি বর্ণনা করে বলেছেন, এটি হাসান হাদিস।
# রিয়াদুস সলিহীন – ১৫৫৫

আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “সত্যবাদী মুমিনের জন্য অত্যাধিক অভিসম্পাতকারী হওয়া শোভনীয় নয়।” [মুসলিম]
# রিয়াদুস সলিহীন – ১৫৫২

উকবা ইবনে আমের (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ রাসূল! নাজাতের উপায় কি? তিনি বললেনঃ তোমার জিহবাকে সংযত রাখ, তোমার ঘরকে প্রশস্ত কর* এবং তোমার অপরাধের জন্য কান্নাকাটি কর। [তিরমিযি]
* ঘরকে প্রশস্ত কর অর্থাৎ মেহমানদারি কর।
# রিয়াদুস সলিহীন – ১৫২০

ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত
▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬