Thursday, October 30, 2014

ব্রণ সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান ... মেগা পোস্ট

 [ব্রণ হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ , প্রতিরোধের উপায়ও দাগ দূর করার উপায় ... ব্রণ সমস্যার যাবতিয় হারবাল ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি]
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
আয়নায় নিজের সুন্দর মুখ দেখতে কে না ভালোবাসে। আর সে মুখ যদি হয় ব্রণমুক্ত, তবে তো কথাই নেই। ব্রণের বিড়ম্বনায় পড়েননি এমন মানুষ কমই আছেন। বিশেষ করে তরুণ- তরুণীরা ব্রণের উৎপাতে বেশি ভোগেন।
এই ব্রণ মূলত টিনএজারদের সমস্যা। এ বয়সে যখন মুখের সৌন্দর্যের প্রতি সবাই আকর্ষণবোধ ও প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ঠিক সে বয়সেই মুখে এই বিশ্রী গোটাগুলো দেখা দেয়, যা তাদের অন্যতম দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ত্বকে ব্রণ ও ব্রণের দাগের ফলে আমাদের শুধু সৌন্দর্যহানীই ঘটে না। সেই সঙ্গে ‍আত্মবিশ্বাসও কমে যায়।

ব্রণ হওয়ার কারণ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
বংশগত প্রভাব একটি অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ কারণ। স্বাভাবিকভাবেই লোমের গোড়ায় একটি ব্যাকটেরিয়া থাকে, যার নাম প্রোপাওনি ব্যাকটেরিয়াম একনি। বয়ঃসন্ধিকালে এড্রোজেন হরমোনের প্রভাবে সেবাসিয়াস গ্রন্হি থেকে সেবামের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই সেবাম থেকে ফ্রি ফ্যাটি এসিড তৈরি করে লোমের গোড়ার উপস্হিত ব্যাকটেরিয়া। ফলে লোমের গোড়ায় প্রদাহের সৃষ্টি হয় এই ফ্যাটি এসিডের প্রভাবে। এর পাশাপাশি জমা হয় লোমের গোড়ায় কেরাটিন নামক পদার্থ। ফলে সেবাসিয়াস গ্রন্থিপথ বন্ধ হতে থাকে এই কেরাটিন, লিপিড আর মেলানিন পদার্থ দিয়ে, যা ব্লাক হেড বা ‘হোয়াইট হেড’ হিসেবে দেখা দিয়ে থাকে।
ব্রণ হওয়ার জন্য যে খাবার বা খাদ্যাভাস দায়ি
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
ভুল খাদ্যাভাস, অনিয়মিত আহার গ্রহণ, অনুপযোগী খাবার, অত্যধিক শর্করা, অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাবার ইত্যাদির জন্য ব্রণ দেখা দিতে পারে।
1. অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ। অত্যধিক চা কফি অ্যালকোহল পান, তামাক সেবন ইত্যাদিও এর কারণ।
2. আবার বয়ঃসন্ধিক্ষণে রাত জেগে পড়াশোনা ও বসে থাকার ফলে বদহজম সৃষ্টি হওয়া, সাধারণ দুর্বলতা ও দুশ্চিন্তা থেকেও ব্রণ হতে পারে।
দিনে ৮-১০ গ্লাস পর্যন্ত পানি এবং তেল-ঝাল-মসলাবিহীন খাবার খাওয়া উচিত।
3. অত্যধিক গুরুপাক খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।
4. চিনি ছাড়া লেবুর পানি, তাজা ফলের রস, আপেল, নাশপাতি, আঙুর, আনারস খেতে পারলে ভালো হয়।
5. কাঁচা সবজি অঙ্কুরিত ছোলা, ডাল, কাঁচা বাদাম, যব ও লাল চাল খুবই উত্তম।
6. অধিক শর্করা, অধিক মিষ্টি, অধিক চর্বি সবই পরিহার করা উচিত।
7. কিছু কিছু খাবার ব্রণের সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। যেমন—ডুবো তেলে ভাজা খাবার, কোমল পানীয়, সংরক্ষিত খাবার। কড়া চা ও কফি, গুরুপাক খাবার ইত্যাদি।
8. দেখা যায়, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি৬ ব্যবহারে ব্রণ দূর হয়।
9. যেকোনোভাবেই হোক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা প্রয়োজন।
10. চিকিৎসক এবং ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রণ হলে ত্বকের যত্ন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রয়োজন। মুখের ত্বকের যত্ন হলো প্রথমে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
11. তা ছাড়া শসার রস, গাজরের রস মুখে ব্যবহার করলে উপকর পাওয়া যাবে।
12. অত্যধিক গুরুপাক খাবার না খাওয়া, অধিক রাত না জাগা, শরীরে ধুলাবালি, ঘাম জমতে না দেওয়া, অ্যাসিডিটি হতে না দেওয়া উচিত। মাঝেমধ্যে গরম জলের ভাপ নিলে ভালো হয়।
13. ব্রণ সারাতে খনিজ লবণের মধ্যে জিঙ্ক, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি৬ ভালো কাজ করে। এ জন্য খেতে হবে শস্যজাতীয় খাবার, মাছ, গরুর কলিজা, মসুর ডাল, বরবটি, রাজমা, পনির, গরুর দুধ, কর্নফ্লেকস, ডিম, তেল, মুলাজাতীয় সবজি, তৈলবীজ, বাদাম, সবুজ সবজি ইত্যাদি।
অন্য যে সকল কারণে প্রাপ্ত বয়স্কদের ব্রণ দেখা দিতে পারে:
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
*বংশগত কারণে
* জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল ব্রণের চিকিৎসায় খুব কার্যকরী।তাই হঠাৎ পিল গ্রহন বন্ধ করে দিলে ব্রণ দেখা দিতে পারে।
* মানসিক চাপে থাকলে 'র্কটিসল' নামক হরমনের নিঃসরণ বেড়ে যায় ,যা তেল তৈরি বৃদ্ধি করে,লোমকূপকে ব্লক করে দেয়।
*মধ্যবয়সী অনেকেই anti-wrinkle product ব্যবহার করেন যা সাধারনত খুব তৈলাক্ত হয়, এসব ক্রীম থেকেও ব্রণ দেখা দিতে পারে।
*গর্ভবতী মহিলাদের হরমনের পরিবর্তনের জন্য
*অনেক মহিলার ক্ষেত্রে ঋতুচক্রের ২-৭ দিন আগে ব্রণ দেখা দিতে পারে।
*ধুমপানের কারণে
একেক জনের একেক কারণে ব্রণ হয়। এবং সবার জন্য চিকিৎসাও এক নয়। তাই এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত কাউন্সেলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে জেনে নিন কি কারণে ব্রণ হচ্ছে, এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিন।সেই সাথে একজন ডায়েটিশিয়ানের সাথে আলোচোনা করে জেনে নিন কোন খাবার আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে কিনা
কোন খাবার গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে (সবার জন্য প্রযোয্য নাও হতো পারে)
*তৈলাক্ত খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ।তেলে ভাজা খাবার বাদ দিন। মাখন,পণির, ননীসহ দুধ, চর্বিযুক্ত মাংস নিয়ন্ত্রণ করুন।
*যেসব খাবারে Refined Sugar থাকে যেমন- সাদা আটা / ময়দা দিয়ে তৈরী খাবার, বেকারী দ্রব্য, সোডা, ক্যান্ডি, চিনিযুক্ত পানীয় ইত্যাদি পরিহার করুন।
*দৈনিক খাবার তালিকা থেকে Salty Foods যেমন -potato chips, French fries, popcorn, instant noodles ও canned soups বাদ দিন।
যে খাবার গুলো উপকারী
*উজ্জ্বল লাল রঙের ফল- তরমুজ,টমেটো,চেরি
* কমলা রঙের ফল- কমলা, আম
* সবজি- গাজর, পালং শাক, মিষ্টি আলু, ব্রোকলি
* আশ যুক্ত খাবার
খুব সহজে ঘরে বসেই কীভাবে আমরা ব্রণ দূর করতে পারি,
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
ত্বক পরীক্ষা:
-------------
ত্বকে ব্রণ হলে প্রথমে ত্বক বিশেষজ্ঞের কাছে থেকে পরীক্ষা করে ত্বকে ব্রণের কারণ জানতে হবে। আমরা যদি ত্বকের ধরণ এবং ব্রণের কারণগুলো না জেনে নিজেরা ঘরে যা সামনে পাই ত্বকে লাগাতে থাকি, তবে হয়তো ব্রণ দূর হওয়ার পরিবর্তে আমাদের ত্বক আরও ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে।
খাদ্য:
-------------
ব্রণ দূর করার জন্য আয়রন ও ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাদ্য নিয়মিত আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। সবুজ শাকসবজি ও দুগ্বজাত দ্রব্য, মাছ, কলিজা, গাজর, ব্রকলি খেতে হবে ।
প্রাকৃতিক এন্টিসেপটিক:
-------------------------
চা গাছের নির্যাস থেকে এক ধরনের তেল তৈরি হয়। এই তেল ব্রণের জন্য এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রতিদিন রাতে ত্বক পরিষ্কার করে ব্রণের ওপর লাগিয়ে নিন।
হারবাল:
------------
নিম এবং চিরতা ব্রণ ভালো করতে সাহায্য করে। ব্রণহীন ত্বক পেতে নিয়মিত নিম পাতা এবং চিরতার পেস্ট তৈরি করে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে।
ব্যায়াম:
------------
প্রতিদিন অন্তত কিছু শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্রণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা সঠিক ডায়েটের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এছাড়াও মিষ্টি ও শর্করা জাতীয় উচ্চক্যালরি যুক্ত খাবার কম খেতে হবে।
বেকিং সোডা:
------------
আমাদের সবার রান্নাঘরেই বেকিং সোডা থাকে। তাই খুব সহজেই পেয়ে যাবেন এটি। জানেন কি? বেকিং সোডা ব্রণ সারাতে টনিকের কাজ করে। একটি বাটিতে ১ চামচ বেকিং সোডা সাথে একটু পানি মিশিয়ে পেষ্ট করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। ব্রণ কমে যাবে ।
যবের গুঁড়া:
------------
যবের গুড়া ১ চামচ পানির সাথে মিশিয়ে পেষ্ট করে সারা মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।পারিষ্কার তোয়াল দিয়ে মুছে নিন।যবের গুঁড়া ব্রণ দূর করে ও মুখ পরিষ্কার হয়।
ডিমের সাদা অংশ:
------------------------
ডিমের সাদা অংশ পেষ্ট করে ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। ত্বকে যদি ডিমে এলার্জির সমস্যা হয়, তাহলে এটা ব্যবহার করা যাবে না।
অলিভ অয়েল:
------------------------
অলিভ অয়েল ত্বকের জন্য ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এবং ত্বক কোমল ও মসৃণ হয়। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ দূর করে।
বরফের জাদু:
------------------------
ব্রণের ওপর বরফ টুকরো ঘষুন। এর রয়েছে দারুণ ক্ষমতা। এটি ব্রণের আকার কমিয়ে দেয় কয়েক মুহূর্তেই। আর ব্রণ দূরও হয় দ্রুত।
টক দই:
------------------------
টক দই ব্রণের জন্য খুব ভালো। টক দই সারা মুখে মেখে ১০ মিনিট পর ধুয়ে নিন। টক দই ব্যবহারের ফলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও মসৃণ।
*সকাল বেলায় মধু দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন
------------------------------------------------
মধুর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বককে ব্রণ মুক্ত করে। তাছাড়া মধু ত্বকের আদ্রর্তা ধরে রাখে এবং ত্বককে অতিরিক্ত তেল থেকে মুক্ত করে।প্রথমে হাত ভিজিয়ে নিন। এবার হাতের তালুতে আধা চা চামচ মধু নিয়ে নিন। তারপর হাতের তালু ঘষে মধু গরম করে নিন। এরপর পুরো মুখে মধু ম্যাসাজ করে নিন ২ মিনিট ধরে। ঠান্ডা পানি দিয়ে পুরো মুখ ধুয়ে নিন কয়েকবার করে।
*রাতে জলপাই তেল ম্যাসাজ করুন
------------------------------------------------
আপনার ত্বক তৈলাক্ত কিংবা শুষ্ক যাই হোক না কেনো প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে জলপাই তেল দিয়ে পরিষ্কার করলে ত্বক মসৃণ হয় এবং ধীরে ধীরে ব্রণের উপদ্রব কমে যায়।প্রথমে হাতের তালুতে জলপাই তেল নিয়ে দুই হাতে ঘষে তেল কিছুটা গরম করে নিন। এবার এই তেলটা পুরো মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন নিচের থেকে উপরের দিকে। এভাবে প্রায় ২ মিনিট ধরে মুখ ম্যাসাজ করুন। এভাবে ম্যাসাজ করলে ত্বক থেকে মেকআপ এবং ময়লা উঠে আসবে ভালো করে। এরপর কুসুম গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে মুখের অতিরিক্ত তেল মুছে নিন ভালো করে। এভাবে প্রতিদিন রাতে মুখ পরিষ্কার করে নিলে ব্রণ ওঠা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
*গোলাপ জলের টোনার
------------------------------------
প্রতিদিন মুখ ভালো করে ধুয়ে নেয়ার পরে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করার জন্য টোনার ব্যবহার করা জরুরী। কারণ লোমকূপ খোলা থাকলে ময়লা ঢুকে ব্রণের উপদ্রব বৃদ্ধি করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গোলাপ জল বেশ কার্যকারী টোনার হিসেবে কাজ করে।পানিতে গোলাপ জল মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে বরফ বানিয়ে নিন। সকালে বাইরে যাওয়ার আগে অথবা বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার পর এই বরফ দিয়ে পুরো মুখ ঘষে নিন। ত্বক দীর্ঘ সময় ধরে তেল মুক্ত থাকবে এবং লোমকূপগুলো বন্ধ হবে। বরফ হিসেবে ব্যবহার করতে না চাইলে তুলায় গোলাপ জল লাগিয়ে মুখটা মুছে নিলেও টোনারের কাজ হবে।
*স্ক্র্যাবার হিসেবে বেকিং সোডা
------------------------------------
আমাদের ত্বকে মরা চামড়া ও ব্ল্যাক হেডস জমে। এগুলোর জন্য ব্রণ হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা হারায়। তাই ত্বককে মাঝে মাঝে স্ক্র্যাবিং করতে হয়। এক্ষেত্রে বেকিং সোডা বেশ ভালো স্ক্র্যাবার।প্রথমে বেকিং সোডা ও সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি সারা মুখে, ঘাড়ে ও গলায় ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। এক মিনিট ম্যাসাজ করার পরে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ব্রণের উপদ্রব কমে যাবে, ব্রণের দাগ কমবে এবং ব্ল্যাক হেডস দূর হবে।
পর্যাপ্ত ঘুম, প্রচুর পানি পান আর সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমেই ঘরোয়া পদ্ধতিতেই আমরা পেতে পারি ব্রণ ও দাগহীন সুন্দর ত্বক।
ব্রণের দাগ দূর করার উপায়ঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
১।কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবংচন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে।মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষন পর শুকিয়ে গেলে মুখঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।
২।আপেল এবং মুধ এর মিশ্রণহচ্ছে ব্রণের দাগ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেষ্ট তৈরিকরে তাতে ৪-৬ ফোঁটা মধু মিশাতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করেএরপর মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখেএবং কমপ্লেকশন হালকা করে।সপ্তাহে ৫-৬ বার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনিকয়েকদিনের মধ্যে পরিবর্তনটা অনুভব করতে পারবেন।
৩।ব্রণের জন্য তুলসি পাতাররস খুব উপকারী।কারণ তুলসি পাতায় আছে আয়ূরবেদিক গুণ।শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণআক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।এরপর কুসুম গরমপানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
৪।প্রথমে চন্দন কাঠের গুড়োঁরসাথে গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এরপর এতে ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশাণ। গোলাপজল অনেকের ত্বকের সাথে এডজাষ্ট হয় না।তারা সেইক্ষেত্রে গোলাপ জলের পরিবর্তে মুধব্যবহার করতে পারেন।এই পেষ্ট আপনার ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।সপ্তাহে ৩-৪দিন ব্যবহার করতে পারলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
৫।এছাড়া রাতে শোয়ার আগেডিমের সাদা অংশ ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় মেসেজ করে সারারাত রাখতে পারেন।এটি আপনারত্বকের খসখসে ভাব দূর করে।সবচেয়ে ভাল হয় যদি এর সাথে লেবুর রস যোগ করা যায়।আপনিএটি সারারাতও রাখতে পারেন আবার আধ ঘন্টা পরও ধুয়ে ফেলতে পারেন।
ব্রণ সমস্যার আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
রোগীর ব্রণ আক্রান্তের গুরুত্ব বিবেচনা করে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হয়। হতে পারে তা মলম থেকে শুরু করে খাওয়ার জন্য নির্ধারিত অ্যান্টিবায়োটিক অথবা রেটিনয়েড জাতীয় ওষুধ।
ব্যাকটেরিয়া নাশকঃ
------------------------
অ্যান্টিবায়োটিকের মধ্যে টেট্রাসাইক্লিন ১৮৫১ সাল থেকেই ব্রণ চিকিৎসায় ব্যবহূত হচ্ছে। টেট্রাসাইক্লিন দামে সস্তা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম এবং অত্যন্ত কার্যকরী। এই অ্যান্টিবায়োটিক ব্রণ তৈরি করার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াকে দমন করে। তবে সমস্যা হচ্ছে এ ক্ষেত্রে কয়েক মাস ধরে এই অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে যেতে হয়। এর দ্রুত কোনো উন্নতি লক্ষ করা যায় না। সাধারণভাবে এ ওষুধ খাওয়ার ১ থেকে দেড় মাস পর উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। আর একটি ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক হচ্ছে মিনোসাইক্লিন। মিনোসাইক্লিন টেট্রাসাইক্লিনের চেয়েও অধিক কার্যকর। দেখা গেছে, ৫০০ মিলি গ্রাম টেট্রাসাইক্লিনের চেয়ে ১০০ মিলি গ্রাম মিনোসাইক্লিন বেশি কার্যকর।
Doxycycline – ব্রণ চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত ডক্সিসাইক্লিন একটি চমৎকার ওষুধ। এরিথ্রোমাইসিন খেয়ে যদি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করা যায় সে ক্ষেত্রে ডক্সিসাইক্লিন একটি অত্যন্ত কার্যকরী ওষুধ।
এরিথ্রোমাইসিন বা ক্লিনডামাইসিনঃ
------------------------------------
গর্ভবর্তী মহিলারা যখন টেট্রাসাইক্লিন খেতে পারে না তখন এরিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্লিনডামাইসিনও অন্যান্য ওষুধের মতো একটি কার্যকরী ওষুধ।
হরমোন থেরাপিঃ
------------------------
মহিলাদের ক্ষেত্রে সেবামের নিঃসরণ বেড়ে যায় যদি ওভারি থেকে এন্ডোজেন হরমোন তৈরি হয়। সে ক্ষেত্রে কম ডোজের জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি খাওয়া যাবে এবং তাতে থাকতে হবে নন-এন্ডোজেন প্রজেসটিন। তবে এ ধরনের হরমোন চিকিৎসা পদ্ধতি কোনো অবস্হায়ই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নেয়া যাবে না।
Spironolactone- এন্টি এন্ডোজেনিক উপাদান যেমন স্পাইরোনোল্যাকটন সেবাম উৎপাদন কমিয়ে দিতে সক্ষম। ফলে এটি মহিলাদের ব্রণের ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী ওষুধ। তবে এটিও কোনো অবস্হায়ই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।
Isotretionin (Accutane) – আইসোট্রিসনিন আবিষ্কারের ফলে ব্রণ চিকিৎসা ভিটামিন ‘এ’-এর ব্যবহার এখন একটি ঐতিহাসিক সফলতার দাবিদার। যে কোনো ধরনের ব্রণের ক্ষেত্রেই এর ব্যবহারে সফলতা আসে। তবে দাম বেশি হওয়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই এটি ব্যবহার করা হয় না। মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারে দারুণ সতর্কতার প্রয়োজন। কেননা বাচ্চার ওপর এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এটি একদমই ব্যবহার করা যাবে না।
অপারেশন পদ্ধতিঃ
------------------------
ব্রণের কালো দাগ, পাকা ব্রণ ও সিষ্ট জাতীয় ব্রণের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি দারুণ কার্যকর। স্কালপেল দুই নম্বর ব্লেডের সাহায্যে এই ছোট অপারেশনটি করতে হয়।
ব্রণ চিকিৎসায় সর্বাধুনিক ও কার্যকরী ফোটন থেরাপিঃ
------------------------------------------------------------
কৈশোর এবং যৌবনের একটি অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার নাম ব্রণ। ১৩ থেকে ১৮ বছরে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে ৩০ বছর পর্যন্ত ব্রণ উঠতে পারে। এতকাল এর চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক ক্রিম, ভিটামিন, হরমোন থেরাপি ইত্যাদির প্রচলন ছিল। সম্প্রতি বিশ্বের ৫টি মহাদেশের বিভিন্ন সেন্টারে হাজার হাজার ব্রণে আক্রান্ত রোগীর ওপর ক্লিনিক্যাল ষ্টাডি করে ফোটন থেরাপি বা আলোর সাহায্যে চিকিৎসা শতভাগ কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্বের সর্বপ্রথম এ বিশেষ মেডিকেল যন্ত্রটি নিরাপদ ও কার্যকর চিকিৎসার জন্য আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন (এফডিএ) কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে। যে কোনো ব্রণ যেমন মুখ খোলা বা বন্ধ ব্লাকহেডস বা কমেডোনস, প্রদাহযুক্ত ব্রণ, পুঁজযুক্ত ব্রণ, এমনকি সিষ্ট আকৃতির ব্রণেও এ থেরাপি কার্যকর।
কীভাবে ফোটন থেরাপি কাজ করেঃ
------------------------------------
এটি আলোর দুটি তরঙ্গ দৈর্ঘেø কাজ করে। একটি হচ্ছে ৪১৫ ন্যানোমিটারের নীল বেগুনী আলোতে এবং অপরটি হচ্ছে ৬৬০ বা ৬৩৩ ন্যানোমিটারের লাল আলোতে। প্রথমটি প্রদাহযুক্ত ব্রণে যা প্রোপিওনিব্যাকটেরিয়াম একনি নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয় তা দুর করে।
কেন এটি সেরা চিকিৎসাঃ
------------------------------------
প্রচলিত ওষুধ বা ক্রিমের সাহায্যে চিকিৎসার চেয়ে বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এটি ৩ গুণ বেশি কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে। তবে এর সঙ্গে স্যালিসাইলিক এসিড যোগ করেও চিকিৎসা করা যায়। চার সপ্তাহের চিকিৎসায় রোগীভেদে সর্বমোট আট বা বারটি থেরাপি নিতে হয়। ২৭% রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, ৪ সপ্তাহ পরেই তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে শুরু করেছে। ৫৫% রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসা শেষ হওয়ার ৭ সপ্তাহের মধ্যে ব্রণ নির্মুল হয়ে যায়। বাকি ১৬% রোগীর আরোগ্য লাভ করতে ১২ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এ চিকিৎসায় কোনোও ব্যথা হয় না, রোগীকে হাসপাতালে থাকতে হয় না, কোনো কাটাকাটি বা ত্বক ছেঁড়াছেঁড়ির প্রয়োজন হয় না।
কখন করা যাবে না
------------------------
(১) রোগীর বিপাকজনিত কোনো সমস্যা থাকলে যা আলোর সংস্পর্শে ত্বকের র‌্যাশ বেড়ে যায়।
(২) আলো সংবেদনশীল ত্বকের একজিমা থাকলে।
(৩) কিডনির মারাত্মক অসুখ থাকলে।
(৪) ত্বকে ক্যান্সার হলে এবং
(৫) ইমিউনসিষ্টেমজনিত রোগ এসএলই থাকলে।
ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত
▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬

Sunday, October 26, 2014

দুঃশ্চিন্তা বিহীন সুখী সুন্দর জীবন চান

দুশ্চিন্তা এমন একটি জিনিস যা মানুষ ইচ্ছে করে করেন না। আপনাআপনিই কোনো না কোনো কারণে আমরা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পরি। হ্যাঁ, দুশ্চিন্তা একেবারে দূর করা হয়তো সম্ভব নয় কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এবং নিয়ন্ত্রণে থাকলে আপনি খুব সহজেই দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন।
উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি থেকে রেহাই পাওয়া এবং সুখি হওয়ার আরেকটি উপায় হলো দুশ্চিন্তার কারণগুলোকে দূর করার চেষ্টা করা এবং যা কিছু সুখ বয়ে আনে তা অর্জনের চেষ্টা করা। এক্ষেত্রে অতীতের পীড়াদায়ক ঘটনাগুলোকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। মনে রাখতে হবে অতীতকে ভেবে দুঃখ পাওয়া সময়ের অপচয় ছাড়া কিছুই নয়। তাই এসব বিষয়ে ভাবনা চিন্তা বাদ দেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে কি হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। ভবিষ্যৎ ভেবে উদ্বিগ্ন হওয়া একেবারেই অমূলক। কারন ভবিষ্যৎ হল অজ্ঞাত একটি বিষয়। ভবিষ্যতে ভাল হবে, না মন্দ হবে তা কেউই আগাম বলতে পারেনা। বিষয়টি সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞানী আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীনের হাতেই ন্যাস্ত। আমরা তাঁর বান্দা হিসেবে যা করতে পারি তা হল ভাল কিছুর জন্য চেষ্টা করা আর মন্দকে দূরে সরিয়ে রাখা। অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে যে, ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে যদি নিজ প্রতিপালকের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস এবং আস্থা রেখে অবস্থার উন্নয়নে চেষ্টা করা হয় তাহলে মনে প্রশান্তি বিরাজ করবে এবং উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি থেকেও পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।
* দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে চান ? সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হল ভালমন্দের দায়দায়িত্ব সব ছেড়ে দিন সৃষ্টিকর্তার ওপর। যে যার ধর্ম অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তাকে ডাকুন,তাকে নিতে দিন আপনার সব সমস্যার বোঝা। তার উপর অর্পন করম্নন সব দুশ্চিন্তা,নিজেকে ছেড়ে দিন ,তুলে দিন তার হাতে। আর তার সাথে পালন করম্নন উপরোক্ত জিনিস গুলো।
* দুঃচিন্তাকে প্রতিরোধ করার একমাত্র ওষুধ হল,নিজেকে সর্বক্ষন ব্যস্ত রাখা। মনটিকে ফাঁকা হতে দেবেন না।কাজে মগ্নহোন ,কাজে মনোযোগ দিন , কাজ শেষ হলে দেরী না করে আরেকটা কাজ শুরু করুন।এভাবেই ব্যস্থ রাখুন।
* আমরা সমস্যা সম্পর্কে চিন্তা করব বৈকি গবেষনা করব ,কিন্তু দুশ্চিন্তা করব না। দুশ্চিন্তা আসলে অর্থহীন গোলক ধাঁধাঁ ব্যতীত আর কিছুই নয়। কিন্তু চিন্তা গতিশীল সৃষ্টিধর্মী,সুন্দর চিন্তা প্রতিভার বিকাশ ঘটায়,জীবন আলোকিত হয়।
* এক দার্শনিক বলেছেনঃ আগামীর চিন্তা ত্যাগ কর ,কারন আগামীকালই তার ভার নেবে ।আজকের দিনেই করনিয় অনেক আছে। অবশ্যই কালকের চিন্তা করবেন ,কালকের জন্য সাবধানে পরিকল্পনাও করবেন,তবে কোন দুশ্চিন্তা নয়।
* এপিকটোস বলেছেন- শরীর থেকে দুষিত রক্তবের করে দেবার চেয়ে খারাপ চিন্তা বের করে দেয়া খুব বেশী জরম্নরী।
* শপেনহাওয়ার বলেছেনঃ আমাদের কি আছে সে কথা আমরা খুব কম ভাবি কি নেই তা নিয়ে যত দুশ্চিন্তা করি অধিকাংশ সময়।
* আমরা সব সময় দুঃখের হিসাব করি -সুখের হিসাব করি না,আনন্দের হিসাব করি না। সুখে থাকার নিয়ম নীতিও মেনে চলি না। আমাদের উচিৎ দুঃখ কি পরিমান আছে তার হিসাব বাদ দিয়ে সুখ কি পরিমান আছে, আনন্দ কি পরিমান আছে , তার হিসাব কর।
* দুশ্চিন্তা মানুষের মনোনিবেশের ক্ষমতা কেড়ে নেয় , যখন আমরা দুশ্চিন্তা করি তখন কি হয়? মনটা তখন এক জায়গায় থাকে না, নানান বিষয়ের ওপর খাপছাড়া ভাবে উড়ে বেরায় মন,যার ফলে কোন সমস্যা সমাধানের কোন উপায় বের হয় না, এবং হওয়া সম্ভব নয়।
* চরম ক্ষতি কি হতে পারে এটা একবার পরিস্কার জানা হয়ে গেলে এবং সেটা মেনে নিতে পারলে দুশ্চিন্তা বলে কোন জিনিসই থাকে না আর।
* প্রথমত,যেন পুনরায় লোকসানটা না হয় সেজন্য সর্তক হতে হবে,দ্বিতীয়ত,মন থেকে দুঃখটা মুছে যোর উৎফুলস্ন চিত্তে কাজে নামবেন। পুনরায় ক্ষতিগ্রসত্ম না হবার একটা মন্ত্র অমত্মরে গেঁথে ক্ষতি বন্ধ করতে হবে। এজন্য একটু ভাবলেই নাত পথ আপনি খুঁজে পাবেন।
* ক্রইশলার কপোরের্শনের প্রেসিডেন্ট কে,টি,কেলারক বলেছেনঃ যখন কোন কঠিন অবস্থার সামনে পড়ি তখন নিজে কিছু করার থাকলে তা করি,না থাকলে স্রেফ ভুলে যাই। আমি ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবি না, কারন জানি যে কোন মানুষই ভবিষ্যতের ভাগ্যে কি আছে তা জানতে পারে না। বহু শক্তিই ভবিষ্যৎকে নিয়মত্মন করে।
* এপিক্টেটাস বলেছিলেনঃ সুখ লাভের একটাই পথ আছে আর তা হলো আমাদের ক্ষমতার বাইরে যা আছে তা নিয়ে দুচিন্তা না করা।
* আপনার যদি কোন দুশ্চিন্তা আর সমস্যা থাকে তাহলে উইলিস এইচ,ক্যারিয়রের পরামর্শ কাজে লাগান এই তিনটি কাজ করা চাই। 
১। নিজেকে প্রশ্ন করম্নন ,সবচেয়ে খারাপ কি ঘটতে পারে?
 
২। অবশ্যম্ভাবী যা,তা গ্রহন করতে তৈরি হোন।
৩। তারপর শামত্মভাবে চেষ্টা করম্নন খারাপ অবস্থা থেকে কিভাবে উন্নতি কার যায়।
পরিশেষে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা পরামর্শ দিচ্ছি …
“যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র উপর নির্ভর করে তার জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট” [সূরা আল তালাক; ৫৬:৩]
অর্থাৎ, সেইব্যক্তির পার্থিব এবং আধ্যাত্মিক সকল বিষয়ে আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন যথেষ্ট। যে আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীনের প্রতি পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস স্থাপন করবে তার মনোবল বেড়ে যাবে। ফলে অমূলক ভাবনা চিন্তা তাকে বিচলিত করতে পারবেনা। মনে বিভিন্ন দুশ্চিন্তা আসাটা মানুষের প্রকৃতিগত একটি ব্যাপার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়। তবে যারা আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের উপর নির্ভর করবে তিনি তাদের জন্য যথেষ্ট হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই বিশ্বাসী ব্যক্তি সবসময় আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের উপর আস্থা রাখেন, তাঁর পক্ষ থেকে প্রতিদান পাওয়ার আশা করেন। ফলে হৃদয় প্রশান্ত হয়; উদ্বেগ উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি দূরীভূত হয়; কঠিন সহজ হয়ে যায়; নিরানন্দ হয়ে ওঠে আনন্দময়; অশান্তি পরিণত হয় প্রশান্তিতে। আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন যেন আমাদেরকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখেন; তিনি যেন আমাদেরকে অন্তরের দৃঢ়তা এবং মনের অবিচলতা দান করেন; আমরা যেন পরিপূর্ণভাবে তাকে বিশ্বাস করতে পারি; কারন, আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন তাদের জন্যই উত্তম বিনিময় এবং দুশ্চিন্তাহীন জীবনের ঘোষণা দিয়েছেন যারা তাঁকে পুরোপুরিভাবে বিশ্বাস করবে এবং তাঁর উপরই ভরসা করবে।
যদি খারাপ কিছু ঘটেই যাই কিংবা তেমন কিছু ঘটবার প্রবল আশ্ংকা দেখা দেয়, তাহলে আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীনের যে অসংখ্য নেয়ামাত আপনি ভোগ করছেন সেগুলোর কথা একবার ভাবুন। তাঁর অসংখ্য নেয়ামতের কথা ভাবলে বর্তমানের বিপদকে আর বিপদই মনে হবেনা।
▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬

Saturday, October 25, 2014

ঔষধের প্যাকেটের গায়ে দাম লেখাই থাকে। তাই দাম পরিশোধ করার আগে যাচাই করে নিন।

ঔষধ কেনার সময় লক্ষ্যণীয় ও ঘরে কি ওষুধ রাখা উচিত্ কিভাবে ব্যবহার করা উচিত্ 


 
ঔষধ কেনার সময় যা খেয়াল করবেনঃ
---------------------------------
শরীরে যেকোন ধরণের অসুখ হলেই আমরা ডাক্তার দেখিয়ে থাকি। আর ডাক্তারের কথা মতো ঔষধও কিনে থাকি। ঔষধ যেমন রোগের উপশম ঘটায়, তেমনই অনেক সময় জীবনে এক বড় হুমকিও দিয়ে যেতে পারে।

তাই ঔষধ কেনার সময় প্রেসক্রিপশন দোকানদারের হাতে দিয়েই নিশ্চিন্ত থাকবেন না।

চলুন জেনে নিই ঔষধ কেনার সময় কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন-

মেয়াদকাল দেখে নিন:
ঔষধের প্যাকেটের গায়ে মেয়াদকাল দেখে নিন। মেয়াদোত্তীর্ণ বা মেয়াদ শেষ হবার আর কয়েক মাস বা সপ্তাহ বাকি এ ধরণের ঔষধ কেনা থেকে বিরত থাকুন।

প্রেসক্রিপশান অনুযায়ী কিনুন:
প্রেসক্রিপশানে যে ঔষধের নাম ডাক্তার লিখে দিয়েছেন, ঠিক সেই ঔষধটিই কিনুন। অনেক সময় দোকানদার নতুন বা নিম্নমানের কোন কোম্পানির ঔষধ কমিশনের লোভে আপনাকে ধরিয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হবেন না।

ইচ্ছে মতো ভিটামিন নয়:
অনেকেই শরীর দুর্বল লাগলেই নিজে থেকে ভিটামিন কিনে খেয়ে থাকেন। এটি ভুলেও করবেন না। শারীরিক দুর্বলতার অন্য অনেক কারণ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ঔষধটি খেতে হবে।

একটু কম করে কিনুন:
ডাক্তার যদি আপনাকে তিন মাসের ঔষধ খেতে বলেন এবং এক মাসের ভেতর আবারও দেখা করতে বলেন, সে ক্ষেত্রে এক মাসের ঔষধই কিনুন। কারণ এরপর হয়তো ডাক্তার কোনও ঔষধ বদলে দিতে পারেন। এছাড়াও পেইনকিলার বা স্যালাইন জাতীয় যে ঔষধগুলো সচরাচরই প্রয়োজন হয় সেগুলো একগাদা কিনে বাসায় রাখবেন না। কয়েকটি কিনে রাখুন। নয়তো ঘরে পরে থেকেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যেতে পারে।

দাম যাচাই করুন:

সংরক্ষণ পদ্ধতি দেখে নিন:
কিছু ঔষধ আছে যেগুলো ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হয় কেননা সূর্যের তাপমাত্রায় এগুলোর কার্যকারিতা কমে আসে বা নষ্ট হয়ে যায়। তাই কেনার সময় দেখুন ঔষধটি কী অবস্থায় সংরক্ষিত ছিল।

ছেঁড়া, খোলা বা ফুটোযুক্ত প্যাকেট নয়:
কেনার সময় খেয়াল করুন ঔষধের প্যাকেট বা পাতাটি ছেড়া, ফুটোযুক্ত বা খোলা কিনা। এ ধরণের কিছু হলে কিনবেন না।

ব্যবহার বিধি জেনে নিন:
প্রেসক্রিপশানে ঔষধের ব্যবহার বিধি লেখাই থাকে। তবুও আরেকবার ঔষধ বিক্রেতার কাছ থেকেও নিশ্চিত হয়ে নিন কখন, ক’বার, খাবার আগে না পরে ঔষধটি খাবেন।

শুধুই ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ কিনুন:
শুধুই ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ কিনুন। পরিচিত, একই রোগের রোগী বা ফার্মেসির কম্পাউন্ডারের পরামর্শে কখনই ঔষধ কিনবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা থাকে।

ঘরে কি ওষুধ রাখা উচিত্ কিভাবে ব্যবহার করা উচিত্ঃ
--------------------------------------------------
ঘরে প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ রাখার অভ্যাস অনেকেরই আছে। যদি ঠাণ্ডা লাগে সামান্য জ্বর আসে , তাহলে হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই । কিন্তু অনেকেই ওষুধ ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না। ফলে তাদের ভালো চিকিত্সা হয় না, এমনকি নিজের জীবনে দীর্ঘমেয়াদী অনেক ক্ষতি ডেকে আনে তারা। তাহলে পরিবারের কি ধরণের ওষুধ এবং কিভাবে ওষুধপত্র রাখা উচিত্ ? ওষুধ ব্যবহারের নিয়ম আমরা কিভাবে জানতে পারি?
সাধারণ মানুষের কাছে জ্বরের ওষুধ বেশি থাকে। অন্য ওষুধ বৈচিত্র বেশি বলে খুবই কম থাকে । তাহলে ঘরে কি কি ধরণের ওষুধ রাখা উচিত ? ছোট ওষুধের বাক্সের ব্যাপারে কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
প্রথমত, ঘরে ওষুধের পরিমাণ কম এবং ভাল, ওষুধ রাখা উচিত্ এক সপ্তাহের বেশি কোনো ওষুধ রাখা উচিত্ নয়।
দ্বিতীয়ত, নির্দিষ্ট সময়, স্থান এবং মানুষের জন্যে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ রাখলেই চলে ? যেমন, গ্রীষ্মকালে মশার ওষুধ, শীতকালে জ্বরের ওষুধ ইত্যাদি। আরেকটি কথা, বড় শহরের অনেক ওষুধের দকান আছে, এ জন্যে বড় একটি ওষুধের বাক্স রাখার কোনো দরকার নেই।"

এগুলো ছাড়া, আর কি কি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে?

প্রথমত, পারিবারিক ওষুধের বাক্সটি পরিষ্কার রাখতে হবে। তিন বা ছয় মাসের মধ্যে একবার পরিষ্কার করতে হবে। এমনকি আরো কম সময় পর পর করা যায়।

দ্বিতীয়ত, ওষুধ রাখার জায়গাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাগজের বাক্সে ভেতরে ওষুধ রাখা ভাল নয়। কাগজের বাক্সে ওষুধ রাখলে ভেজা ভেজা থাকবে এবং দেরাজে রাখলে সহজেই ময়লা হবে। এ সব ওষুধ খাওয়া উচিত্ নয়। রাখার জন্য ভাল পাত্র হচ্ছে নমনীয় জিনিসের তৈরী ওষুধের বাক্স। রোদ লাগে এমন জায়গা রাখা উচিত নয়।
বিশেষ করে কিছু কিছু ওষুধ রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। ওষুধ কখনোই শিশুদের নাগবালের ভেতরে রাখা ঠিক না।

তৃতীয়ত, কিছু কিছু লোক ওষুধ রাখার সময় , বাক্সের জায়গা বাড়ানোর জন্য প্যাকেটের বা ভেতরের ব্যবহার বিধি ফেলে দেয়। এটা ঠিক নয়, এতে ওষুধ ব্যবহারের নিয়মটাই দেলে দেওয়া হয়। ব্যবহারবিধি রোগীদের জন্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং একই সঙ্গে আইনগত দায়িত্ব । তাই রোগীদের ব্যবহারবিধি মেনেই ওষুধ খাওয়া উচিত্ ।
আমরা সবাই জানি যে , এখন একই ওষুধের অনেক নাম আছে। যেমন , একই ওষুধের বহু নামে আছে, আপনি হয়নি শুধু একটা নাম জানেন।এর ভেতরে কি কি উপাদান আছে ব্যবহারবিধি না পড়লে জানা পারে না, ফলে খেলে সমস্যা হবে।"

অনেক সময় না জেনে ভূল ঔষধ খাওয়ার কারনে মৃত্যু পর্যন্ত খটতে পারে। যে গুলো কিছু নির্দিষ্ট রোগ ব্যতিত গ্রহণ করলে হিতে বিপরীত হয় । আবার কিছু ঔষধ আছে যে গুলো খাবারের আগে খেতে হয় যেমন গ্যাষ্ট্রিক কিংবা পেপটিক আলসারের ঔষধ(অমিপ্রাজল,সেকলো,প্যান্টোনিক্স ইত্যাদি)।
ঠিক বিপরীত কিছু ঔষধ আছে যা খাবারের আগে খাওয়া যায় না, যেমন ব্যাথার ঔষধ (এ্যানালজেসিক -ডাইক্লোফেনাক,কিটোরোলাক,প্যারাসিটেমল ইত্যাদি।) এগুলো অবশ্যই খাবারের পরে খেতে হয় ।

ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত
▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬

যাদের ওজন কম তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ ও টিপস

যাদের ওজন কম তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ ও টিপস ......মেগা পোস্ট ।

যাদের সত্যি ওজন বাড়ানো দরকার তারা ধর্য্য ধরে কষ্ট করে এই লেখাটা পড়ুন (সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন আর এইটুকু কষ্ট করতে পারবেন না !! ) ... আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার কি করতে হবে ... এবং অন্যকে উপযুক্ত যুক্তিসহকারে পরামর্শ ও দিতে পারবেন ...
বেশি পাতলা কিংবা চিকন শরীর নিয়ে অনেকে ভালই সমস্যাতে আছে। যাদের বয়স অনুযায়ী শরীর এর ওজন অনেক কম তাদের চিন্তার শেষ থাকে না। অনেকে হয়তো আপনাকে "পাতলু খান বা হড্ডি মন্ত্রী" বলে রসিকতা করে ... এ ই লজ্জায় তাদের সাথে মিশতে পারেন না। বয়স হিসাবে ওজন কম থাকায় অনেক এ ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে অনেক ঔষধ খেয়েছেন,তবুও ফল পাচ্ছেন না।একটা ডাক্তার এর ঔষধ সেবন করে কাজ না করলে নতুন ডাক্তার এর ঔষধ সেবন করেছেন।তবুও ভাল ফল পাননি।যদিও বিষয়টি অনেকটা হরমোন জনিত সমস্যা। কেউ কেউ আছে, যারা অনেক খেলেও মোট হয়না ।
তারা এই পরামর্শ গুলো দেখতে পারেন আশা করি ভাল ফল পাবেন...

কখন বুঝবেন আপনার ওজন বাড়ানো দরকারঃ
-----------------------------------------------------------------
বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির ওজন স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে ১৫-২০ শতাংশ কম হলে তাকে কম ওজনের অধিকারী বলা হয়। দেহের ওজন বেশি না কম তা জানা যায় শরীরের ঘনত্বসূচক বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই দিয়ে।
বিএমআই = ওজন (কিলোগ্রাম)/উচ্চতা (মিটার)।
বডি ম্যাস ইনডেক্স ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, যেমনঃ ভাষা হতে হবে ইংরেজি, উচ্চতা যদি সেঃমিঃ ব্যবহার করেন তাহলে ওজন অবশ্যই কেজি হবে, আবার উচ্চতা যদি ইঞ্চি ব্যবহার করেন তাহলে ওজন অবশ্যই পাউণ্ড হবে, আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কয়েকটি কনভার্শন দেখানো হলোঃ
১ ইঞ্চি = ২.৫৪ সেঃমিঃ, ১০০ সেঃ মিঃ=১ মিঃ, ১ ফুট = ০.৩০৪৮ মিঃ = ৩০. সেঃ মিঃ।
১ কেজি = ২.২ পাউণ্ড।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মতে, বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) ১৮.৫ এর কম হলে কম ওজন, ১৮.৫ থেকে ২৪.৯৯ হলে স্বাভাবিক এবং ২৫ এর বেশি হলে অতি ওজন ধরা হয়। সাধারণভাবে বিএমআই ১৮.৫-এর নিচে হলে ওজন বাড়ানো উচিত।

অনেক এ আছে প্রচুর পরিমান এ খাওয়া দাওয়া করেন কিন্তু যেই রোগা সেই রোগাই থেকে যান।অনেক খাওয়ার পর ও ওজন বাড়াতে পারেন না।এদের বলা হয় হার্ডগেইনার (হজমশক্তি) মেটাবলিজম খুব হাই থাকায় খাওয়ার সাথে সাথে ক্যালরি বার্ণ হয়ে যায়।আর যাদের মেটাবলিজম খুব লো তারা খেলেই মোটা হয়ে যান।বাংলাদেশে মেটাবলিজম লো এমন মানুষ ই বেশি।

অনেক এ আছে জিম এ ব্যায়াম করার পর ও ওজন কিছুতেই বাড়াতে পারেন না।তাদের মাসেল বাড়ে কিন্তু ফ্যাট বাড়ে না।
এখন কি চিন্তাই আছেন যে মেটাবলিজম কি ভাল করা যাবে না? বা কি ঔষধ খেলে মেটাবলিজম বা (হজমশক্তি) ভাল হবে?

মেটাবলিজম ভাল করতে কোন ডাক্তার বা ঔষধ এর প্রয়োজন হবে না।নিজের চেষ্টায় আপনি নিজেই ভাল করতে পারবেন। তবে চলুন শুরু করা যাক কিভাবে মেটাবলিজম (হজমশক্তি) ভাল করবেন।
একজন মানুষ এর প্রতিদিন ২হাজার ২৮০ কিলো ক্যালরি বা সর্বনিম্ন ১৮০০ক্যলরি দরকার।

আবার অনেক এ হয়তো ভাবছেন ক্যালরি কি?
-----------------------------
ক্যালরি হচ্ছে আমাদের শরীর এর শক্তির একক, যা দিয়ে কোন খাবার হতে আমাদের শরীরে কত শক্তি পাওয়া যায় তা পরিমাপ করা হয়।খাদ্য থেকে তৈরী তাপশক্তি পরিমাপ করে খাবার এর ক্যালরি মান নির্ণন করা হয়।খাবার এর ক্যালরি শরীরে জ্বালানি শক্তির মত কাজ করে এবং তা থেকে আমরা সারাদিন কাজ করার শক্তি পাই।

আমরা যদি কোন কাজ নাও করি তবুও প্রতি ঘন্টায় ৫৫/৭০ক্যালরি বার্ণ হয়।তাইলে একবার ভাবুন কাজ করা অবস্থায় আমাদের শরীর থেকে কতটুকু ক্যালরি বার্ণ হচ্ছে।যারা হার্ডগেইনারদের মধ্যে তারা ৩ বেলা খাবার খাওয়ার সাথে সাথে সেই ক্যালরি বার্ণ হতে থাকে।তারপর আবার প্রতিঘন্টায় কিছু না কিছু ক্যালরি বার্ণ হতেই থাকে।যেমন আপনি ভাত খান কিন্তু খুব কম তাই মনে করি ৩ বেলা খেয়ে আপনার শরীর ১২০০/১৫০০ ক্যালরি গ্রহন করলো।তাইলে নিজেই হিসাব করুন প্রতিদিন আপনি গ্রহন করলেন ১৫০০ক্যালরি আর প্রতিঘন্টায় কোন কাজ না করলেও ক্যালরি বার্ণ হয় ৫৫থেকে ৭৫ ক্যালরি তাইলে আপনার শরীর এ আর কত ক্যালরি থাকে বেশি হলে ৩০০/৪০০ক্যালরি। আর প্রতিদিন একজন মানুষ এর দরকার ১৮০০থেকে ২২০০ক্যালরি।এবার হইতো বুঝতে পেরেছেন যে কেন বয়স এর অনুযায়ী ওজন বাড়ে না।
তাই ওজন বাড়াতে হলে তাদের প্রথম কাজ হলো ক্যালরি ধরে রাখা।

কিভাবে ক্যালরি ধরে রাখবেন?
--------------------------------------------------------------
নির্দিষ্ট ক্যালরি ধরে রাখার পর যেই ক্যালরি টুকু জমা হয় সেই টুকুই ফ্যাট হওয়ার কাজে সাহায্যে করে।আর প্রতি ঘন্টায় ৫৫/৭৫ ক্যালরি বাড়তি খাওয়া সম্ভব না যেই ক্যালরি টুকু বার্ণ হয়।তাই আপনি যদি ৩ বেলার খাবার খাওয়ার জাইগায় আর ৩বেলা যুক্ত করেন তবে আপনি অধিক পরিমাপান ক্যালরি সংগ্রহ করতে পারবেন এবং বাকি ক্যালরি টুকু আপনাকে ফ্যাট হতে সাহয্যে করবে।একবার খাবার খেয়ে ৩০০/৪০০ক্যালরি গ্রহন করার পর ২.৫/৩ঘন্টা সময় লাগে হজম হতে তারপর আপনার শরীর আবার নতুন ক্যালরি গ্রহন করার জন্য প্রস্তুত হবে। তাই ৩ঘন্টা পর পর খাওয়া ভাল
আর সব সময় চেষ্টা করবেন ৪০০- এর জাইগায় ৪০০+ক্যালরি গ্রহন করতে।তাহলে আপনার একটা বাড়তি অংশের ক্যালরি থাকবে শরীর এ যেটা আপনাকে ফ্যাট হতে সাহায্যে করবে।

হজমশক্তি ভাল করতে হলে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু খাওয়া উচিত।এতে ক্যালরি বার্ণ হলেও আবার ফিরে পেতে সাহায্যে করে এবং শরীর ফ্যাট করতে ও অনেক কার্যকরী।
তাহলে আশা করি বুঝে গেছেন বয়স এর সাথে ওজন না বাড়ার কারনগুলো।
যারা একদম খেতে পারে না তারা যত পারবেন বেশি করে খাবেন কারন বেশি করে খেলে আপনার ভাল ছাড়া ক্ষতি হবে না।

এবার শরীরের ম্যাজিক একটু ভালো করে খেয়াল করুন...।
-----------------------------------------------
মানুষ না খেয়ে থাকলে প্রথমে শরীরে সঞ্চিত চর্বি বার্ন করে শক্তি জোগাবে। ধীরে ধীরে পেশি বার্ন হতে শুরু করবে। এভাবে শরীর ক্ষয় হবে এবং মানুষ দিন দিন রোগা হতে শুরু করবে।

*** আপনি যদি ৩ ঘণ্টায় ৩০০-এর বদলে ৩০০+ ক্যালরি গ্রহণ করেন তাহলে আপনার শরীর ৩ ঘণ্টায় ৩০০ ক্যালরি বার্ন করে শরীরের শক্তি জোগাবে। বাকি ক্যালরি সোজা ফ্যাট হিসেবে জমা করতে শুরু করবে (ছেলেদের বেলায় তলপেট থেকে এবং মেয়েদের বেলায় নিতম্ব এবং উরু থেকে জমা শুরু হবে)।

*** আপনি যদি ৩ বার খান, তাহলে গড়ে ৫-৬ ঘণ্টা পর পর ৬০০ ক্যালরি করে খেতে হবে। ৩ ঘণ্টায় ৩০০ ক্যালরি ঠিকমতো হজম হবে, বাকি খাবার হজম না হয়ে ফ্যাট জমতে শুরু করবে এবং পরের ৩ ঘণ্টা শরীর দুর্বল লাগতে শুরু করবে।

**** শরীর যখন দেখবে আপনি ৩ ঘণ্টা পর আবার খাবার দিচ্ছেন না তখন সে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে শক্তি সঞ্চয় করতে শুরু করবে এবং সেটা ফ্যাট হিসেবে। এভাবে খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়মিত হতে শুরু করলে মেটাবলিজমের ১২টা বেজে যাবে।

যা খাওয়া হজম হওয়া মাত্রই যদি আবার খাবার দেন (৩ ঘণ্টা পর পর) তখন শরীরের আর বাড়তি কষ্ট করে অভ্যন্তরীণ শক্তি সঞ্চয় করতে হবে না অর্থাৎ ফ্যাট জমাবে না। তখন শরীর পুরো দৃষ্টি দেবে আপনার বাহ্যিক কাজের ওপর। মানুষ এ সময়ই ‘কাজ-কর্মে বল’ পায় বলে।

অর্থাৎ হজমশক্তি ভালো রাখতে নিয়মিত অল্প অল্প করে ঘন ঘন খেতে হবে।

ঔষধ সেবন করলে আপনি কি পাবেন?
--------------------------------------------------------
অনেক এ ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া ঔষধ খান এটা কখনোই ঠিক না।এতে অনেক সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে যা হইতো আপনি নিজে বুঝতে পারবেন না।
ঔষধ খেয়ে আপনি হয়তো সাময়িক সময় এর জন্য মোটা হবেন।একে মোটা বলা যায় না আপনি শরীর ফুলে উঠবে।কিন্তু আপনি যখন ঔষধ খাওয়া ছেড়ে দিবেন তখন আবার আগের মতই কাবু্ হয়ে যাবেন। এতে করে অনেক এর কাছেই হাসির পাত্র হয়ে যাবেন।নিজের দেখা অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। আমি অনেক মানুষ কে দেখেছিলাম ঔষধ খেয়ে হঠাৎ করেই মোটা হয়ে গেছে আবার ঔষধ খাওয়া অফ করে দিল আবার আগের মত অর্থাৎ আগের চেয়ে খারাপ ... এছাড়া ঔষধ খেয়ে হটাত মোটা হলে সারা শরিল জুরে বিশ্রী ফাটা দাগ দেখা যায় ।
একটা কথা মনে রাখবেন যে জিনিশ দ্রুত সৃষ্টি সেই জিনিশ তত দ্রুত নিঃশেষ হয় ।

************
ন্যাচারাল খাবার খেয়েই শরীর বানালে এতে শরীর সুস্থ থাকে।এবং শরীর কমার কোন ভয় নেই।আমি আপনাদের কে অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং জিম ট্রেইনারদের পরামর্শ দিব, কিভাবে ন্যাচারাল খবার খেয়ে মোটা হওয়া যায় এবং শরীর ফিট রাখা যায়।
শরীর ফিট রাখতে ব্যায়ায় এর গুরুত্ব অপরিসীম।
এইভাবে প্রতিদিন খাবার খেয়ে ব্যায়াম করলে ১ মাস এর মধ্যে ভাল ফল পাওয়া যাবে।

******************
কিন্তু কি খাবেন?
----------------
অবশ্যই ব্যালান্সড ফুড! অর্থাৎ প্রতিবার খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের সমন্বয় থাকতে হবে। মোটামুটি ৪০ ভাগ প্রোটিন, ৩০ ভাগ কার্ব, ৩০ ভাগ ফ্যাট হতে হবে।
মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, টক দই, লাল চালের ভাত, আটার রুটি, শাকসবজি, ফলমূল ও প্রচুর পানি।

::ওজন বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপায় ::

সকালে উঠে বাদাম ও কিসমিস-
ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম আর কিসমিসের বিকল্প নেই। রাতে ঘুমাবার সময় আধা কাপ কাঠ বাদাম ও কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন অল্প পানিতে। সকালে সেগুলো ফুলে উঠলে খেয়ে নিন। সকাল শুরু করুন বাদাম ও কিসমিসের সাথে। বাচ্চাদের জন্যও এটা খুব ভালো একটা খাবার।

খাবারের পরিমাণ বাড়ান-
খাবারের পরিমাণ বাড়ানো মানেই হাপুস হুপুশ করে একগাদা খেয়ে ফেলা নয়। আর সেটা সম্ভবও নয়। আপনি যদি কম খাওয়ার কারণে রোগা হয়ে থাকেন, তাহলে খাবারের পরিমাণ আপনাকে বাড়াতেই হবে। স্বাভাবিকভাবে যা খেয়ে থাকেন, তার ৪ ভাগের ১ভাগ পরিমাণ খাবার বাড়িয়ে খান প্রতিদিন।

বারবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন
অনেকেই ভাবেন যে বারবার খেলে বুঝি ওজন বাড়বে। এটা মোটেও সঠিক না। বরং নিয়ম মেনে পেট পুরে খান। পেট পুরে খাওয়া হলে মেটাবলিজম হার কমে যায়, ফলে খাবারের ক্যালোরির অনেকটাই বাড়তি ওজন হয়ে শরীরে জমবে। অল্প অল্প করে বারবার খাওয়াটা মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়, ফলে ওজন কমে।

খাদ্য তালিকায় রাখুন ডুবো তেলে ভাজা খাবার-
ডুবো তেলে ভাজা খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। ফলে সেটা ওজন বাড়াতে সহায়ক। তবে সাথে রাখুন প্রচুর তাজা শাক সবজির সালাদ।

জিমে যাওয়া অভ্যাস করুন-
ভ্রু কুঁচকে গেলো পড়ে? ভাবছেন জিমে মানুষ যায় ওজন কমাতে, বাড়ানোর জন্য কেন যাবেন? কিন্তু আসল কথাটা হলো, কেবল মোটা হলেই হবে না। সাথে তৈরি করতে হবে সুগঠিত শরীর। আপনি জিমে যাবেন পেশী তৈরি করতে, এবং পুরুষেরা ওজন বাড়াতে চাইলে এই জিমে যাওয়া আসলে খুবই ফলদায়ক। পেশীর ওজন চর্বির চাইতে অনেক বেশী তো বটেই, তাছাড়া ব্যায়ামের ফলে খিদেও পাবে আর মন ভরে খেতে পারবেন। তবে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ট্রেইনারের নির্দেশনা মাফিক ব্যায়াম করতে হবে। নাহলে হিতে বিপরীত হবার আশংকা।

খান “বসা” ভাত-
“বসা” ভাত বলতে বোঝায় যে ভাতে মাড় ফেলা হয় না। মাড় ফেলে দিয়ে ভাতের স্টার্চের অনেকটাই চলে যায় মাড়ের সাথে। ওজন বাড়াতে চাইলে এই মাড় না ফেলাই ভালো। এর ফলে ভীষণ উপকার হবে ওজন বাড়াতে। আতপ চাল বা পোলাও চালের বসা ভাত মজাও লাগবে খেতে।

ঘুমাবার ঠিক আগেই দুধ ও মধু-
ওজন বাড়াবার জন্য একটা একটা অব্যর্থ কৌশল। রাতের বেলা ঘুমাবার আগে অবশ্যই বেশ পুষ্টিকর কিছু খাবেন। আর খিদে পেলে তো আয়েশ করে পেট পুরে খেয়ে নেবেন। আর সাথে সাথেই ঘুম। ফলে খাবারের ক্যালোরিটা খরচ হবার সময় পাবে না, বাড়তি ওজন হিশাবে জমবে শরীরে। ঘুমাবার আগে প্রতিদিন এক গ্লাস ঘন দুধের মাঝে বেশ অনেকটা মধু মিশিয়ে খেয়ে নিবেন।

কমান মেটাবলিজম হার-
মোটা হবার পেছনে যেমন ধীর গতির মেটাবলিজম দায়ী, তেমনি রুগ্ন স্বাস্থ্যের পেছনে দায়ী উচ্চ মেটাবলিজম হার। সুতরাং মোটা হতে গেলে প্রথমেই এই মেটাবলিজম হার কমাতে হবে। তাতে আপনি যে খাবারটা খাবেন, সেটা বাড়তি ওজন রূপে আপনার শরীরে জমার সুযোগ পাবে। মেটাবলিজম হার কম রাখার জন্য প্রতিবেলা খাবারের পর লম্বা সময় বিশ্রাম করুন। খাবার পর কমপক্ষে ১ ঘণ্টা কোনও কাজ করবেন না।

খাদ্য তালিকায় যোগ করুন কিছু বিশেষ খাবার-
আপনার নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি অবশ্যই কিছু উচ্চ ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার যোগ করতে হবে খাদ্য তালিকায়, নাহলে ওজন বাড়বে কেন? উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে এই খাবার গুলো খেতে পারেন অনায়াসে। যেমন- ঘি/ মাখন, ডিম, চিজ/ পনির, কোমল পানীয়, গরু-খাসির মাংস, আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকলেট, মেয়নিজ ইত্যাদি।

খান প্রচুর শাক সবজি ও ফল-
ভাবছেন এগুলো তো ওজন কমাবার জন্য খাওয়া হয়, তাই না? ওজন বাড়াতেও কিন্তু আপনাকে সাহায্য করবে এই ফল আর সবজি। এমন অনেক ফল আর সবজি আছে যারা কিনা উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত। যেমন- আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা ইত্যাদি। ফল ও সবজি খেলে স্বাস্থ্য জম্ন ভালো থাকবে, তেমনি ওজনও বাড়বে।

কিভাবে ব্যায়াম করবেনঃ
-----------------------------------------
জিমে গিয়ে হার্ড ব্যায়াম করতে হবে। ওয়েট বেশি, রেপস কম। সপ্তাহে ৩ দিন (একদিন পর পর) ব্যায়াম করবেন। প্রতিটা সেশন ৬০ মিনিট থেকে ৭৫ মিনিটের মধ্যে রাখবেন। কেননা এর পরে শরীর ক্লান্ত হয়ে আসবে। তখন ব্যায়াম চালিয়ে গেলে পেশি ক্ষয় হবে। জিম শুরুর দুই ঘণ্টা আগে খাবেন এবং শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই আবার খাবেন। যতটা সম্ভব বিশ্রাম নেবেন, ঘুমাবেন। প্রথম দিন বুক, পিঠ এবং পেটের ব্যায়াম। দ্বিতীয় দিন পা এবং পেট। তৃতীয় দিন কাঁধ, বাহু, পেট।
দুই সপ্তাহ ঠিকমতো সব কিছু অনুসরণ করলে কমপক্ষে এক থেকে দুই কেজি ওজন বাড়বে। কিন্তু এরপর আর যতই খান, আপনার শরীর আর নিতে পারবে না, কেননা আপনার এনাবলিক হরমোন আবার নরমাল পর্যায়ে চলে আসবে। তখন শরীরের বৃদ্ধিও কমে আসবে। তাই পরের সপ্তাহে খাওয়া অনেক কমিয়ে দিতে হবে। ১ হাজার ৩০০-১ হাজার ৫০০ ক্যালরির মতো খাবেন। খাদ্য খুব ক্লিন হতে হবে। ফ্যাট আর কার্ব তুলনামূলকভাবে কম খাবেন।

এই সপ্তাহের জিমের সেশনগুলো এমন হতে পারে---------
সেশন ১. বুক, কাঁধ, ট্রাইসেপ, পেট
সেশন ২. পা, পেট
সেশন ৩. পিঠ, বাইসেপ, পেট

খুব হালকা ওয়েট নিয়ে ১০ থেকে ১৫ রেপস করে দেবেন। শরীরের ওপর খুব চাপ দেবেন না। কেননা এই সপ্তাহে আপনি খাচ্ছেন কম। এ সপ্তাহটা হবে শরীরের মেইনটেনেন্স পর্ব মাত্র। এ পর্বে শরীর থেকে কিছুটা পানি বেরিয়ে যাবে, তাই একটু হালকা হয়ে যাবেন। একটু ওজন কমে যাবে। এটা দেখে ভেঙে পড়বেন না। কেননা পরের দুই সপ্তাহে বেশি খাবার ও হার্ড ব্যায়ামের ফলে শরীর আবার ফুলতে শুরু করবে। পেটে খাবার পড়া মাত্রই শরীর স্পঞ্জের মতো চুষে নেবে।
এভাবে প্রতি ৩ সপ্তাহে এক-দুই কেজি করে ওজন বাড়বে। এই টেকনিকটা যতদিন না আপনার ওজন পর্যাপ্তের বেশি হচ্ছে ততদিন চালিয়ে যাবেন। ধরুন, আপনার ওজন দরকার ৭০ কেজি, তাহলে ৭৫ কেজি পর্যন্ত বাড়াবেন। তারপর অন্য টেকনিকে ব্যায়াম করে বাকি ৫ কেজি, ফ্যাট ঝরিয়ে ফেলতে হবে।

*** *যদি এইসব না করেও আপনার ওজন না বৃদ্ধি পায়, তাহলে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। কেননা কোনও সুপ্ত অসুখ থাকলেও তার ফলে রুগ্ন ও ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারেন।

ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত
▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬

আল-কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান... কু’রআনে কী ধরনের বৈজ্ঞানিক তথ্য আছে?


কুরআন হচ্ছে শেষ ওহী এবং একটি প্রমাণ, যা শুধু চৌদ্দশত বৎসর আগের আরবদের জন্য নয়, আজকের বিজ্ঞানীদের জন্যও। যারা বিংশ শতাব্দীতে বাস করছে-যা খুব শীগগিরই একবিংশ শতাব্দী হয়ে যাবে, তাদের জন্য কুরআনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হয়তোবা এটা যে, আধুনিক বিজ্ঞানের অধিকাংশ আবিষ্কার ও কুরআন পরস্পর সঙ্গতিপূর্ণ, এবং কোন কোন ক্ষেত্রে আগের ধারণাকৃত বহু বিষয় গত বিশ বৎসরে আবিষ্কৃত হয়েছে।
কু’রআনে পৃথিবী, সৌরজগত, মহাবিশ্ব এবং সৃষ্টির সূচনার যে বর্ণনা দেওয়া আছে, তার সম্পর্কে ১৪০০ বছর আগে মানুষের কোনোই ধারণা ছিল না। কু’রআন এমন একটি সময়ে প্রকাশ করা হয়েছে, যখন কোনো পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, মহাকাশ বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান— এসব কিছুই ছিল না। অথচ কু’রআন, যা কি না ৬১০-৬৩২ খ্রিস্টাব্দে নাজিল হয়েছে: এখন থেকে ১৪০০ বছর আগে এমন কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রকাশ করেছে, যা শুধুমাত্র সাম্প্রতিক বিজ্ঞানই সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে।

সৃষ্টি তত্ত্ব
----------------------------------
• আল্লাহ সব কিছুর সৃষ্টি করেছেন শূন্য থেকে – ২:১১৭।
• পৃথিবী এবং মহাকাশ/বায়ুমণ্ডল একসময় একসাথে মিলিত ছিল এবং তা আলাদা করা হয়েছে বিশাল শক্তি দিয়ে – ২১:৩০।
• পানি থেকে সকল প্রাণ তৈরি হয়েছে – ২১:৩০।
• মহাবিশ্ব ক্রমাগত সম্প্রসারিত হচ্ছে – ৫১:৪৭।
• মহাবিশ্ব ছয়টি পর্যায়ে তৈরি হয়েছে এবং প্রাণ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ তৈরি হয়েছে চারটি পর্যায়ে – ৫০:৩৮, ৪১:১০।
• প্রতিটি প্রাণীর সৃষ্টি হয় নিয়ন্ত্রিত বিবর্তনের মাধ্যমে – ৭:৬৯, ১৫:২৮, ২৪:৪৫, ৩২:৭, ৭১:১৪।
• মানুষের সৃষ্টির সুচনা হয়েছিল পানিসিক্ত অজৈব পদার্থ (কাঁদা) থেকে – ৩২:৭, ১৫:২৬।
• পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে/বায়ুমন্ডলে প্রাণ আছে – ৪২:২৯। গত বছর বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেছেন মেঘে অত্যন্ত উচুতেও বিপুল পরিমাণে অতি ক্ষুদ্র কীটাণু আছে।

মহাকাশ বিজ্ঞান
----------------------------
• সূর্য পূর্ব দিকের দুটি প্রান্তে উঠে এবং পশ্চিম দিকের দুটি প্রান্তে অস্ত যায় – ৫৫:১৭, ৭০:৪০, ৩৭:৫। যেমন, গ্রীষ্ম কালে এক প্রান্তে, শীতকালে আরেক প্রান্তে।
• পৃথিবী নিজস্ব অক্ষে ঘুরছে – ২৭:৮৮, ২১:৩৩, ৩৬:৪০।
• সূর্যের নিজস্ব অক্ষ রয়েছে, এটি গ্যালাক্সিকে কেন্দ্র করে ঘুরে – ৩৬:৪০, ২১:৩৩।
• পৃথিবী সম্পূর্ণ গোল নয় বরং তা ডিমের মত উপরে নিচে চ্যাপ্টা – ৭৯:৩০, ৩৯:৫।
• প্রথমে মহাকাশে সবকিছু ছিল ধোঁয়া, তারপর অভিকর্ষের প্রভাবে তা একত্র হয়ে পৃথিবীর মত গ্রহের জন্ম দিয়েছে – ৪১:১১।
• পৃথিবীর সমস্ত পানি এসেছে মহাকাশ থেকে, পরিমিত ভাবে – ২৩:১৮। ধারণা করা হয় ধূমকেতু এবং উল্কার মাধ্যমে আদি পৃথিবীতে পানি এসেছে।
• চাঁদ এবং সূর্যের আকৃতি এবং দূরত্ব সুনিয়ন্ত্রিত – ৫৫:৫। সূর্য চাঁদ থেকে ৪০০ গুণ বড় এবং চাঁদ পৃথিবী থেকে যত দূরে, সূর্য তার ৪০০ গুণ বেশি দূরে।একারণেই পূর্ণ সূর্য গ্রহন হয়। সূর্য যদি এর থেকে কাছে বা চাঁদ যদি এর থেকে দূরে হতো, অথবা চাঁদ ছোট হতো বা সূর্য যদি আরও বড় হতো, তাহলে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ কখনও হতো না।
• মহাকাশের সম্প্রসারণের গতি যদি আলোর গতি থেকে বেশি না হতো, তাহলে কখনও রাত হতো না, কারন রাতের আকাশের প্রতিটি বিন্দুতে কোনো না কোনো নক্ষত্র বা গ্যলাক্সি থেকে আলো পৃথিবীতে এসে পৌঁছাত এবং রাতের আকাশ থাকতো দিনের মত জ্বলজ্বলে – ৩:১৯০।

পদার্থ বিজ্ঞান
----------------------------
• সময় আপেক্ষিক – ৩২:৫, ৭০:৪, ২২:৪৭।
• প্রতিটি বস্তু তৈরি হয়েছে জোড়ায় (ম্যাটার এবং এন্টিম্যাটার) – ৫১:৪৯।
• পৃথিবীতে যত লোহা আছে, তার সব এসেছে পৃথিবীর বাইরে থেকে – ৫৭:২৫। একমাত্র সুপারনোভার বিস্ফোরণে মহাবিশ্বে লোহা সৃষ্টি হয়, যা উল্কার মাধ্যমে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়।
• নক্ষত্র যেখানে ধ্বংস হয় – ব্ল্যাকহোল – ৫৬:৭৫।
• পালসার – যা অতি তীব্র ছিদ্রকারি গামারশ্মি বিচ্ছুরণ করে এবং সেকেন্ডে বহুবার ‘নক’ করে – ৮৬:১-৩।
• ২০০৬ সালের পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আবিস্কার – মহাবিশ্বের সবকিছু সব জায়গায় সমান ভাবে ছড়িয়ে নেই বরং নির্দিষ্ট কিছু পথে মাকড়সার জালের বুননের মত ছড়িয়ে আছে – ৫১:৭।
• আগুন জ্বালাবার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন তৈরি করে গাছের সবুজ পাতা – ৩৬:৮০।
• বৃষ্টির পানির ফোঁটা মাটিতে পড়ে মাটির কণাগুলো আয়নিত করে ফেলে, যার কারনে কণাগুলো “ব্রাউনিয়ান গতি” কারণে স্পন্দন করা শুরু করে। তারপর আয়নিত কণাগুলোর ফাঁকে পানি এবং অন্যান্য জৈব পদার্থ আকৃষ্ট হয়ে জমা হয় এবং মাটির কণাগুলো ফুলে যায় – ২২:৫।
• মেঘের পানিতে মৃত জমিকে জীবিত করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ রয়েছে – ৫০:৯, ২৫:৪৮-৪৯। সমুদ্রের পানির উপরে ০.১ মিলিমিটার মোটা স্তর থাকে, যাতে বিপুল পরিমাণে জৈব বর্জ্য পদার্থ থাকে, যা মৃত শৈবাল এবং প্ল্যাঙ্কটন থেকে তৈরি হয়। এই বর্জ্য পদার্থগুলো ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, কপার, জিঙ্ক, কোবাল্ট, লেড শোষণ করে। এই স্তরটি পানি বাষ্প হবার সময় পানির পৃষ্ঠটানের কারনে পানির কণার সাথে চড়ে মেঘে চলে যায় এবং বৃষ্টির সাথে বিপুল পরিমাণে পড়ে, মাটির পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক পদার্থগুলো অনেকখানি সরবরাহ দেয়।

আবহাওয়া বিজ্ঞান
----------------------------
• বাতাসের মাধ্যমে মেঘ ছড়ায় এবং মেঘের মাঝামাঝি স্তরে স্তরে মেঘ জমা হয়ে বৃষ্টির মেঘ তৈরি হয় – ২৪:৪৩, ৩০:৪৮।
• মেঘ অত্যন্ত ভারী, একটি বৃষ্টির মেঘ ৩০০,০০০ টন পর্যন্ত ওজন হয় – ১৩:১২, ৭:৫৭।
• আকাশে অনেক উচ্চতায় উঠার সময় অক্সিজেনের অভাবে শ্বাস কষ্ট হয় এবং বুক সঙ্কীর্ণ হয়ে যায় – ৬:১২৫।
• আকাশ পৃথিবীর জন্য একটি বর্ম সরূপ যা পৃথিবীকে মহাকাশের ক্ষতিকর মহাজাগতিক রশ্মি এবং হাজারো উল্কা থেকে রক্ষা করে – ২১:৩২, ২:২২।
• আকাশ প্রতিফলন করে – পানি বাস্প হয়ে মহাকাশে হারিয়ে যাওয়া থেকে এবং পৃথিবীকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে – ৮৬:১১।
• সমুদ্রের নিচে আলাদা ঢেউ রয়েছে, যা উপরের ঢেউ থেকে ভিন্ন – ২৪:৪০।
• বৃষ্টির পরিমান সুনিয়ন্ত্রিত – ৪৩:১১। পৃথিবীতে প্রতি বছর যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, তার পরিমাণ ৫১৩ ট্রিলিয়ন টন এবং ঠিক সমপরিমান পানি প্রতি বছর বাস্প হয়ে মেঘ হয়ে যায়। এভাবে পৃথিবী এবং আকাশে পানির ভারসাম্য রক্ষা হয়।
• ভূমধ্যসাগর এবং আটলান্টিক সাগরের মধ্যে লবনাক্ততার পার্থক্য আছে এবং তাদের মধ্যে একটি লবণাক্ততার বাঁধ রয়েছে, যার কারনে আটলান্টিক সাগরের লবণাক্ত পানি, ভূমধ্যসাগরের কম লবণাক্ত পানির সাথে মিশে যায় না এবং দুটি সাগরে দুই ধরনের উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বসবাস সম্ভব হয় – ৫৫:১৯-২০।

জীব বিজ্ঞান
----------------------------
• বাতাস শস্যকে পরাগিত করে – ১৫:২২।
• মৌমাছির একাধিক পাকস্থলী আছে। কর্মী মৌমাছিরা স্ত্রী মৌমাছি, তারা পুরুষ নয়। মধুর অনেক ঔষধি গুণ আছে – ১৬:৬৮-৬৯।
• গবাদি পশুর খাবার হজম হবার পর তা রক্তের মাধ্যমে একটি বিশেষ গ্রন্থিতে গিয়ে দুধ তৈরি করে, যা আমরা খেতে পারি – ১৬:৬৬।
• স্ত্রী পিপড়া তার পেটের কাছে অবস্থিত একটি অঙ্গ দিয়ে শব্দ করে অন্য পিপড়াদের সাথে কথা বলতে পারে এবং নির্দেশ দেয়, যা সাম্প্রতিক কালে মানুষের পক্ষে যন্ত্র ব্যবহার করে ধরা গেছে – ২৭:১৮।
• উদ্ভিদের পুরুষ এবং স্ত্রী লিঙ্গ আছে – ১৩:৩।
• গম শীষের ভেতরে রেখে দিলে তা সাধারণ তাপমাত্রায়ও কয়েক বছর পর্যন্ত ভালো থাকে এবং তা সংরক্ষণ করার জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থার দরকার হয় না – ১২:৪৭।
• উঁচু ভুমিতে ফুল ও ফলের বাগান ভালো ফসল দেয়, কারণ উচু জমিতে পানি জমে থাকতে পারে না এবং পানির খোঁজে গাছের মূল অনেক গভীর পর্যন্ত যায়, যার কারণে মূল বেশি করে মাটি থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংগ্রহ করতে পারে। তবে শস্য, যেমন আলু, গম ইত্যাদি ফসলের জন্য উল্টোটা ভালো, কারণ তাদের জন্য ছোট মূল দরকার, যা মাটির উপরের স্তর থেকে পুষ্টি নেয় – ২:২৬৫।
• গাছে সবুজ ক্লোরোফিল রয়েছে – ৬:৯৯।
• রাত হচ্ছে বিশ্রামের জন্য, আর দিন হচ্ছে কাজের জন্য, কারণ দিনের বেলা সূর্যের আলো আমাদের রক্ত চলাচল, রক্তে সুগার, কোষে অক্সিজেনের পরিমাণ, পেশিতে শক্তি, মানসিক ভারসাম্য, মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করে– ২৮:৭৩।

চিকিৎসা বিজ্ঞান
----------------------------
• মানব শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ হয় পুরুষের বীর্য থেকে – ৫৩:৪৫-৪৬, ৭৫:৩৭।
• মায়ের গর্ভ শিশুর জন্য একটি সুরক্ষিত জায়গা। এটি বাইরের আলো এবং শব্দ, আঘাত, ঝাঁকি থেকে রক্ষা করে, শিশুর জন্য সঠিক তাপমাত্রা তৈরি করে, পানি, অক্সিজেনের সরবরাহ দেয় – ২০:২৩, ১২:১৪।
• মায়ের গর্ভে সন্তান কিভাবে ধাপে ধাপে বড় হয়, তার নিখুঁত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, যা কু’রআনের আগে অন্য কোনো চিকিৎসা শাস্ত্রের বইয়ে ছিলনা – ২৩:১৩-১৪। যেমন: প্রথমে শিশু একটি চাবানো মাংসের টুকরার মত থাকে, যা জরায়ুর গায়ে ঝুলে থাকে, তারপর প্রথমে হাড় তৈরি হয় এবং তারপর হাড়ের উপর মাসল তৈরি হয়, তারপর তা একটি মানব শিশুর বৈশিষ্ট্য পাওয়া শুরু করে।
• মানব শিশুর প্রথমে শুনতে পায়, তারপর দেখতে পায় – ৭৬:২। প্রথমে কান হয়, তারপর চোখ।
• মানুষের দেহ মৃত্যুর বহু বছর পর পাথরের মত শক্ত ফসিল হয়ে যায় এবং লোহা (পাইরাইট) তৈরি হয় – ১৭:৪৯-৫১। [সুত্র]
• মানুষের আঙ্গুলের ছাপ প্রত্যেকের জন্য ভিন্ন, পৃথিবীতে দুটি মানুষ পাওয়া যাবে না, যাদের আঙ্গুলের ছাপ হুবহু মিলে যাবে – ৭৫:৪।
• মানুষকে প্রথম ভাষা ব্যবহার করা শেখানো হয়েছে এবং ভাষার জন্য অত্যাবশ্যকীয় স্বরনালী একমাত্র মানুষকেই দেওয়া হয়েছে – ৫৫:৩-৪।

ভূতত্ত্ব/ইতিহাস
----------------------------
• ইরাম নামে একটি শহরের কথা বলা আছে, যেখানে অনেকগুলো পাথরের লম্বা স্তম্ভ আছে, যা কিনা ১৯৯২ সালে চ্যালেঞ্জার মহাকাশ যানের রাডার ব্যবহার করে মাটির নিচ থেকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছে – ৮৯:৭। এর আগে মানুষ এই শহরের কথা জানত না, অথচ কু’রআনে এর কথা বলা ছিল।
• মানব সভ্যতার উন্নতি ধারাবাহিক ভাবে হয়নি, বরং আগে কিছু জাতি এসেছিল যারা আমাদের থেকেও শক্তিশালী ছিল, যারা ধ্বংস হয়ে গেছে – ৪০:৮২, ৩০:৯, ২০:১২৮।
• কু’রআনে ফেরাউনের সময় মিশরে যে সমস্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ, মহামারীর কথা বলা আছে, তা কু’রআন প্রকাশিত হবার হাজার বছর পরে আবিষ্কৃত একটি প্রাচীন হায়ারো গ্লিফিক লিপি ‘ইপুয়ার’-এ হুবহু একই ঘটনাগুলোর বর্ণনা পাওয়া গেছে, যা এর আগে কখনও জানা ছিল না – ৭:১৩০, ৭:১৩৩, ২৬:৫৭-৫৯।

বিঃদ্রঃ প্রচলিত বাংলা অনুবাদগুলোতে এমন সব বাংলা শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা পড়লে আপনার কাছে কোনোভাবেই মনে হবে না যে, আয়াতগুলোতে কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য আছে। যেমন: মৌমাছি এবং পিপড়ার বেলায় যে আল্লাহ স্ত্রী লিঙ্গ ব্যবহার করেছেন, তা বেশিরভাগ অনুবাদকই লক্ষ্য করেননি। আবার যেমন আল্লাহ “সবকিছু” (“সবাইকে” নয়) জোড়ায় তৈরি করেছেন, জীব নয়, জড় পদার্থকে (ম্যাটার – এন্টি ম্যাটার), সেটা তারা লক্ষ্য করেননি। মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে “কাঁদা” থেকে যেখানে কাঁদা হচ্ছে পানিসিক্ত মাটি এবং আদি মাটি ছিল অজৈব পদার্থের মিশ্রণ, সুতরাং কাঁদা মানে হচ্ছে ‘পানিসিক্ত অজৈব পদার্থ।’

বাংলা অনুবাদকেরা এই খুঁটিনাটি ব্যাপারগুলো লক্ষ্য করেননি যে, বিশেষ কিছু আরবি শব্দের যে অর্থগুলো তাদের কাছে অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে সেগুলোই সঠিক, তা তাদের সীমিত বৈজ্ঞানিক জ্ঞান অনুসারে যতই অবাস্তব মনে হোক না কেন। তাই পাঠকদেরকে অনুরোধ করবো: সাম্প্রতিক ইংরেজি অনুবাদগুলো পড়তে, বিশেষ করে অক্সফোর্ড থেকে প্রকাশিত প্রফেসর আব্দেল হালিমের অনুবাদ, যেখানে উপরোক্ত আয়াতগুলোর সঠিক অনুবাদ করা হয়েছে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার হলো: কু’রআনের ভাষা কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধের ভাষা নয়, কারণ এটি কোনো বৈজ্ঞানিক রিসার্চ পেপার নয়। মানুষ যেভাবে চোখে দেখে, কানে শুনে, ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করে, আল্লাহ কু’রআনে সেই পরিপ্রেক্ষিতে বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো প্রকাশ করেছেন। তাই যারা কু’রআনের বর্ণনাগুলোকে বৈজ্ঞানিক ভাষার মাপকাঠিতে যাচাই করতে যাবেন, তারা ভুল করবেন। আল্লাহ কু’রআনে এমন সব শব্দ ব্যবহার করেছেন, যেগুলো ১৪০০ বছর আগে বিজ্ঞান সম্পর্কে কোনোই ধারণা নেই এমন মানুষরাও বুঝতে পারবে এবং একই সাথে বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানীরাও সেই শব্দগুলোকে ভুল বা অনুপযুক্ত বলে দাবি করতে পারবে না।
নিশ্চয়ই আকাশগুলো এবং পৃথিবীর সৃষ্টি, এবং দিন-রাতের আবর্তনে বুদ্ধিমানদের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে। (৩:১৯০)

আসুন আমরা কু’রআনের ভাষায় বুদ্ধিমানদের একজন হওয়ার চেষ্টা করি।

▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬

কথা বলার সময়ে যেসব ব্যাপারে স্মরণ রাখা দরকার

আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বেড়ায়।” [মুসলিম]
# রিয়াদুস সলিহীন – ১৫৪৭

আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন ভালো কথা বলে অন্যথায় চুপ থাকে।” [বুখারী,মুসলিম]
হাদিসটি ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন। ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, হাদিসটির বক্তব্য এ ব্যাপারে স্পষ্ট যে, কোন কথায় উপকার ও কল্যাণ নিহিত না থাকলে তা না বলাই উচিত। অর্থাৎ যেসব কথার মধ্যে কল্যাণ ও উপকার বিদ্যমান সেগুলো এ পর্যায়ভুক্ত। কিন্তু যদি কল্যাণের দিকটা সন্দেহপূর্ণ হয় তবে কথা না বলাই উত্তম।
# রিয়াদুস সলিহীন – ১৫১১

আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ “বান্দা যখন ভালো-মন্দ বিচার না করেই কোন কথা বলে, তখন তার কারণে সে নিজেকে জাহান্নামের এত গভীরে নিয়ে যায় যা পূর্ব ও পশ্চিমের দুরত্বের সমান।” [বুখারী,মুসলিম]
হাদিসটি ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন। ‘তাবাইয়্যান’ শব্দের অর্থ ভালো না মন্দ তা চিন্তা করে দেখা।
# রিয়াদুস সলিহীন – ১৫১৪

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহর যিকর ছাড়া বেশি কথা বলো না। কেননা আল্লাহ তা’আলার যিকর বা স্মরণবিহীন বেশি কথাবার্তা মনকে পাষাণ করে দেয়। আর পাষাণ হৃদয় ব্যক্তি আল্লাহ থেকে সর্বাধিক দূরে।” [মুসলিম]
# রিয়াদুস সলিহীন – ১৫১৮

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “মু’মিন ব্যক্তি কখনো ঠাট্টা-বিদ্রুপকারী, অভিশাপকারী, অশ্লীলভাষী ও অসদচারী হতে পারে না।” [তিরমিযি]
ইমাম তিরমিযি হাদিসটি বর্ণনা করে বলেছেন, এটি হাসান হাদিস।
# রিয়াদুস সলিহীন – ১৫৫৫

আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “সত্যবাদী মুমিনের জন্য অত্যাধিক অভিসম্পাতকারী হওয়া শোভনীয় নয়।” [মুসলিম]
# রিয়াদুস সলিহীন – ১৫৫২

উকবা ইবনে আমের (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ রাসূল! নাজাতের উপায় কি? তিনি বললেনঃ তোমার জিহবাকে সংযত রাখ, তোমার ঘরকে প্রশস্ত কর* এবং তোমার অপরাধের জন্য কান্নাকাটি কর। [তিরমিযি]
* ঘরকে প্রশস্ত কর অর্থাৎ মেহমানদারি কর।
# রিয়াদুস সলিহীন – ১৫২০

ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত
▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬

ইতিহাসের শিক্ষামূলক কিছু সত্য ঘটনা ... পড়ে দেখুন ভালো কিছু জানতে পারবেন...

আবু হুরায়রা (রা:) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, একবার রাসূল (সাঃ) নাজদের দিকে কিছু অশ্বারোহী (সৈন্য) পাঠালেন। তারা বনী হানীফা গোত্রের জনৈক ব্যক্তিকে ধরে আনল। তার নাম ছুমামাহ বিন উছাল।সে ইয়ামামাবাসীদের সরদার। তারা তাকে মসজিদে নববীর একটি খুঁটির সাথে বেঁধে রাখল।

রাসূল (সাঃ) তার কাছে আসলেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ওহে ছুমামাহ! তুমি কি মনে করছ’? সে বলল, ‘হে মুহাম্মাদ! আমার ধারণা ভালই। যদি আপনি আমাকে হত্যা করেন, তাহ’লে অবশ্যই আপনি একজন খুনীকে হত্যা করবেন। আর যদি আপনি অনুগ্রহ করেন, তাহ’লে একজন কৃতজ্ঞ ব্যক্তির উপরই অনুগ্রহ করবেন। আর যদি আপনি মাল চান, তাহ’লে যা ইচ্ছা চাইতে পারেন, তা আদায় করা হবে’। তার কথা শুনে রাসূল (সাঃ) তাকে (সেদিনের মত তার নিজের অবস্থার উপর) ছেড়ে দিলেন।

অতঃপর পরের দিন নবী করীম (সাঃ) তাকে পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, ‘ওহে ছুমামাহ! তোমার কি মনে হচ্ছে’? সে জবাবে বলল, ‘তাই মনে হচ্ছে, যা আমি আপনাকে পূর্বেই বলেছি। যদি আপনি আমার প্রতি মেহেরবানী করেন, তাহ’লে একজন কৃতজ্ঞ ব্যক্তির উপর মেহেরবানী করবেন। আর যদি আপনি হত্যা করেন, তাহ’লে একজন খুনী লোককে হত্যা করবেন। আর যদি মাল-সম্পদ চান, তাহ’লে যা ইচ্ছা চাইতে পারেন, তা দেয়া হবে’।

রাসূল (সাঃ) আজও তাকে (নিজের অবস্থার উপর) ছেড়ে দিলেন। এভাবে রাসূল (সাঃ) তৃতীয় দিনে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ওহে ছুমামাহ! তোমার কি মনে হচ্ছে’? জওয়াবে সে বলল, ‘আমার তাই মনে হচ্ছে, যা আমি পূর্বেই আপনাকে বলেছি।যদি আপনি আমার প্রতি অনুকম্পা প্রদর্শন করেন, তাহ’লে একজন কৃতজ্ঞ ব্যক্তির উপরই অনুকম্পা করবেন। আর যদি আপনি আমাকে হত্যা করেন, তাহ’লে একজন খুনীকে হত্যা করবেন। আর যদি আপনি মাল-সম্পদ চান, তাহ’লে যতটা ইচ্ছা চাইতে পারেন, তা দেয়া হবে’।

অতঃপর রাসূল (সাঃ) বললেন, ‘তোমরা ছুমামাহকে ছেড়ে দাও’! (তাকে ছেড়ে দেওয়া হ’ল)।

অতঃপর সে মসজিদের নিকটবর্তী একটি খেজুর বাগানে গিয়ে গোসল করল। অতঃপর মসজিদে প্রবেশ করে বলে উঠল:

‘আশহাদু আললা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আনণা মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু’।

‘হে মুহাম্মাদ! আল্লাহ্‌ কসম! পৃথিবীর বুকে আপনার চেহারা অপেক্ষা আর কারও চেহারা আমার নিকট অধিক ঘৃণ্য ছিল না। কিন্তু এখন আপনার চেহারা আমার কাছে সবচেয়ে বেশী প্রিয় হয়ে গেছে।আল্লাহ্‌ কসম! (ইতিপূর্বে) আপনার দ্বীন অপেক্ষা অধিক অপ্রিয় দ্বীন আমার কাছে আর কোনটিই ছিল না। কিন্তু এখন আপনার দ্বীনই আমার কাছে সর্বাপেক্ষা প্রিয় হয়ে গেছে। আল্লাহ্‌ কসম! (এর আগে) আপনার শহরের চেয়ে অধিক ঘৃণ্য শহর আর কোনটিই আমার কাছে ছিল না।কিন্তু এখন আপনার শহরটিই আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় হয়ে গেছে।আপনার অশ্বারোহীরা আমাকে এমন অবস্থায় ধরে এনেছে, যখন আমি ওমরাহ করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলাম। এখন আপনি আমাকে কি করতে হুকুম দিচ্ছেন?

রাসূল (সাঃ) তাকে সুসংবাদ শুনালেন এবং ওমরাহ পালনের আদেশ করলেন।এরপর যখন তিনি মক্কায় পৌছলেন, তখন জনৈক ব্যক্তি তাকে বলল, তুমি না কি বেদ্বীন হয়ে গেছ? তিনি জওয়াবে বললেন, ‘তা হবে কেন; বরং আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছি।আর আল্লাহ্‌ কসম! রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর অনুমতি ছাড়া তোমাদের কাছে ইয়ামামা হ’তে আর একটি গমের দানাও আসবে না’

(বুখারী হা/৪৬২, মুসলিম হা/১৭৬৪, আলবানী, মিশকাত হা/৩৯৬৪, ‘জিহাদ’অধ্যায়, ‘যুদ্ধবন্দীদের বিধান’অনুচেছদ) ।

শিক্ষা:
▬▬▬▬
উত্তম আচরণ ও ক্ষমার মাধ্যমে মানুষের হৃদয় জয় করা যায়। এজন্যই বলা হয়, ক্ষমাই উত্তম প্রতিশোধ। মহান আল্লাহ্‌ বলেন, ‘মন্দকে ভাল দ্বারা মোকাবেলা কর, ফলে তোমার সাথে যার শত্রুতা আছে, সে অন্তরঙ্গ বন্ধুতে পরিণত হবে’ (হা-মীম সাজদাহ ৩৪) ।

ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত
▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬

মস্তিষ্কের জন্য খুব উপকারী ৭টি খাবার

প্রতিদিন হাজার চিন্তার সঠিক কাজটা করতে হয় মস্তিষ্ককে। তাই তার জন্য চাই প্রকৃত খাবার। কীভাবে আপনি আপনার মস্তিষ্ককে সুস্থ ও সক্রিয় রাখবেন- এখানে থাকছে তেমনি কিছু খাবারের তালিকা।   ১. ডার্ক চকোলেট   প্রতিদিন এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। অল্প পরিমাণে ডার্ক চকোলেট খাওয়ার অভ্যাস স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে, বলছেন বিজ্ঞানীরা।   ২. আখরোট   আখরোটে অন্যান্য বাদামের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি মস্তিষ্ককে যেকোনো রোগ থেকে রক্ষা করে।   ৩. টমেটো   সহজলভ্য এই সবজিটি মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, কারণ এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা মস্তিষ্কের কোষগুলোর ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচায়। এ ছাড়া স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে টমেটো।   ৪. স্যামন ও সামুদ্রিক মাছ   মানুষের মস্তিষ্কের ৬০ শতাংশ চর্বি দিয়ে তৈরি। তাই এটিকে সক্রিয় রাখতে প্রয়োজন ফ্যাটি অ্যাসিড। সামুদ্রিক মাছ যেমন- স্যামন, টুনা ও অন্য সামুদ্রিক মাছ মস্তিষ্কের খাবার হিসেবে বেশ উপকারী। কারণ এই খাবারগুলোতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা আলজইমার রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।   ৫. গ্রিন টি   গবেষকরা বলছেন, গ্রিন টি মস্তিষ্কের সংযোগ ক্ষমতা বাড়ায়, সেই সাথে পারকিনসন্স ও স্মৃতিভ্রংশের হাত থেকে রক্ষা করে। চিনি ছাড়া দিনে তিন কাপ সবুজ চা আপনার মস্তিষ্কের জন্য ভীষণ উপকারী।   ৬. ব্লু বেরি   বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা বাড়াতে ব্লু বেরির জুড়ি নেই। এতে আছে ফ্ল্যাভোনয়েডস। এ ছাড়া এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে এটি। পারকিনসনস আ আলজfইমার থেকেও রক্ষা করে ব্লু বেরি।   ৭. পালংশাক   পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা মস্তিষ্কের সংযোগ শক্তি বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে, আছে ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই ও ভিটামিন কে, যা ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ হওয়ার হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে।   সূত্র : ডয়চে ভেলে

সংগ্রহে রাখুন বাংলাদেশের সকল থানার ওসিদের মোবাইল নাম্বার

বাংলা বর্ণমালা ক্রম অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে ফলে সহজে খুঁজে পাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত নম্ব

  পথ চলতে আপনি আমি নানা সমস্যার সম্মুখীন হই প্রায়। তখন হয়তো পুলিস এর সহায়তার প্রয়োজন হয়। কিন্তু দেখা যায় প্রয়োজনীয় নাম্বারটি না থাকায় যোগাযোগ করা হয়না নিকটস্থ থানার সাথে। তাই এখানে আপনাদের জন্য বাংলাদেশের সকল থানার ওসিদের নাম্বার তুলে ধরলাম। আপনার প্রয়োজনীয় নাম্বার গুলো এখনি সেভ করে নিন আপনার মুঠোফোনে।
ডিএমপি, ঢাকা:
-----------
আদাবর- ০১৭১৩৩৭৩১৮৩
উত্তরখান- ০১৭১৩৩৭৩১৬৪
উত্তরা- ০১৭১৩৩৭৩১৬১
এয়ারপোর্ট- ০১৭১৩৩৭৩১৬২
ক্যান্টনমেন্ট- ০১৭১৩৩৭৩১৭২
কাফরুল- ০১৭১৩৩৭৩১৯১
কামরাঙ্গীরচর- ০১৭১৩৩৭৩১৩৭
কোতয়ালী- ০১৭১৩৩৭৩১৩৫
খিলক্ষেত- ০১৭১৩৩৭৩১৭৪
খিলগাও- ০১৭১৩৩৭৩১৫৪
গুলশান- ০১৭১৩৩৭৩১৭১
যাত্রাবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩১৪৬
ডেমরা- ০১৭১৩৩৭৩১৪৪
তেজগাও- ০১৭১৩৩৭৩১৮০
তেজগাও শি/এ- ০১৭১৩৩৭৩১৮১
তুরাগ- ০১৭১৩৩৭৩১৬৩
দক্ষিনখান- ০১৭১৩৩৭৩১৬৫
ধানমন্ডি- ০১৭১৩৩৭৩১২৬
নিউ মার্কেট- ০১৭১৩৩৭৩১২৮
পল্টন- ০১৭১৩৩৭৩১৫৫
পল্লবী- ০১৭১৩৩৭৩১৯০
বাড্ডা- ০১৭১৩৩৭৩১৭৩
মিরপুর- ০১৭১৩৩৭৩১৮৯
মোহাম্মদপুর- ০১৭১৩৩৭৩১৮২
মতিঝিল- ০১৭১৩৩৭৩১৫২
রমনা- ০১৭১৩৩৭৩১২৫
লালবাগ- ০১৭১৩৩৭৩১৩৪
শ্যামপুর- ০১৭১৩৩৭৩১৪৫
শাহ আলী- ০১৭১৩৩৭৩১৯২
শাহাবাগ- ০১৭১৩৩৭৩১২৭
সুত্রাপুর- ০১৭১৩৩৭৩১৪৩
সবুজবাগ- ০১৭১৩৩৭৩১৫৩
হাজারীবাগ- ০১৭১৩৩৭৩১৩৬
ঢাকা বিভাগ:
------------
অষ্টগ্রাম- ০১৭১৩৩৭৩৪৯২
আটপাড়া- ০১৭১৩৩৭৩৫০৮
আলফাডাঙ্গা- ০১৭১৩৩৭৩৫৫৯
আশুলিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৩৩২
আড়াইহাজার- ০১৭১৩৩৭৩৩৪৯
ইটনা- ০১৭১৩৩৭৩৪৮৮
ইসলামপুর- ০১৭১৩৩৭৩৫৪২
ঈশ্বরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৪৩৫
কাপাসিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৩৬৭
কালকিনি- ০১৭১৩৩৭৩৫৮৭
কালিগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৬৮
কালিহাতি- ০১৭১৩৩৭৩৪৬২
কালিয়াকৈর- ০১৭১৩৩৭৩৩৬৫
কাশিয়ানী- ০১৭১৩৩৭৩৫৭৪
কিশোরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৪৮০
কেন্দুয়া- ০১৭১৩৩৭৩৫১১
কেরানীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩২৯
কোটালীপাড়া-০১৭১৩৩৭৩৫৭৫
কোতয়ালী ফরিদপুর-০১৭১৩৩৭৩৫৫৬
কোতয়ালী মযমনসিংহ-০১৭১৩৩৭৩৪৩০
কটিয়াদী- ০১৭১৩৩৭৩৪৮৪
করিমগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৪৮১
কুলিয়ারচর- ০১৭১৩৩৭৩৪৮৬
কলমাকান্দা- ০১৭১৩৩৭৩৫০৭
খালিজুরি- ০১৭১৩৩৭৩৫১৪
গোপালগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৫৭২
গোপালপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৬৬
গোসাইরহাট- ০১৭১৩৩৭৩৬১২
গোয়ালন্দ- ০১৭১৩৩৭৩৬০১
গৌরীপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৩৪
গজারিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৪০১
গফরগাও- ০১৭১৩৩৭৩৪৪০
ঘাটাইল- ০১৭১৩৩৭৩৪৬১
ঘিওর- ০১৭১৩৩৭৩৩৮০
চরভদ্রাসন- ০১৭১৩৩৭৩৫৬০
জাজিরা- ০১৭১৩৩৭৩৬১৫
জামালপুর- ০১৭১৩৩৭৩৫৩৮
জয়দেবপুর ০১৭১৩৩৭৩৩৬৩
ঝিনাইগাতি- ০১৭১৩৩৭৩৫২৭
টংগী- ০১৭১৩৩৭৩৩৬৪
টংগীবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৩৯৭
টুঙ্গিপাড়া- ০১৭১৩৩৭৩৫৭৬
টাঙ্গাইল- ০১৭১৩৩৭৩৪৫৪
যমুনা ব্রীজ পূর্ব-০১৭১৩৩৭৩৪৬৪
ডামুড্ডা- ০১৭১৩৩৭৩৬১৪
ত্রিশাল- ০১৭১৩৩৭৩৪৩৩
তারাইল- ০১৭১৩৩৭৩৪৮২
তারাকান্দা- ০১৭১৩৩৭৩৪৪২
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ-০১৭১৩৩৭৩৩৩৩
দেওয়ানগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৫৪১
দেলদুয়ার- ০১৭১৩৩৭৩৪৫৯
দোহার- ০১৭১৩৩৭৩৩৩১
দৌলতপুর- ০১৭১৩৩৭৩৩৮২
দুর্গাপুর- ০১৭১৩৩৭৩৫০৯
ধামরাই- ০১৭১৩৩৭৩৩২৮
ধোবাউরা- ০১৭১৩৩৭৩৪৩৯
ধনবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৪৬৫
নকলা- ০১৭১৩৩৭৩৫২৪
নগরকান্দা- ০১৭১৩৩৭৩৫৬১
নাগরপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৫৬
নান্দাইল- ০১৭১৩৩৭৩৪৩৬
নারায়নগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৪৫
নিকলী- ০১৭১৩৩৭৩৪৯০
নেত্রকোনা- ০১৭১৩৩৭৩৫০৫
নবাবগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৩০
নরসিংদী- ০১৭১৩৩৭৩৪১২
নলিতাবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৫২৫
নড়িয়া- ০১৭১৩৩৭৩৬১৬
পাকুন্দিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৪৯১
পালং- ০১৭১৩৩৭৩৬১৭
পূর্বধলা- ০১৭১৩৩৭৩৫১০
পলাশ- ০১৭১৩৩৭৩৪১৭
পাংশা- ০১৭১৩৩৭৩৬০০
ফতুল্লা- ০১৭১৩৩৭৩৩৪৬
ফুলপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৩৭
ফুলবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৪৩২
বকশীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৫৪৪
বাজিতপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৮৫
বারহাট্টা- ০১৭১৩৩৭৩৫০৬
বালিয়াকান্দি-০১৭১৩৩৭৩৫৯৯
বাসাইল- ০১৭১৩৩৭৩৪৫৮
বাহাদুরাবাদ- ০১৭১৩৩৭৩৫৪৫
বেলাবো- ০১৭১৩৩৭৩৪১৫
বোয়ালমারী- ০১৭১৩৩৭৩৫৫৮
বন্দর- ০১৭১৩৩৭৩৩৪৭
ভালুকা- ০১৭১৩৩৭৩৪৪১
ভেদরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৬১৩
ভৈরব- ০১৭১৩৩৭৩৪৮৭
ভুয়াপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৬৩
ভাংগা- ০১৭১৩৩৭৩৫৬৪
মুক্তাগাছা- ০১৭১৩৩৭৩৪৩১
মকসুদপুর- ০১৭১৩৩৭৩৫৭৩
মাদারগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৫৪৩
মাদারীপুর- ০১৭১৩৩৭৩৫৮৫
মানিকগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৭৯
মিঠামইন- ০১৭১৩৩৭৩৪৮৯
মির্জাপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৫৫
মেলান্দহ- ০১৭১৩৩৭৩৫৩৯
মোহনগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৫১৩
মদন- ০১৭১৩৩৭৩৫১২
মধুখালী- ০১৭১৩৩৭৩৫৫৭
মধুপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৬০
মুন্সীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৯৬
মনোহরদী- ০১৭১৩৩৭৩৪১৬
রাজৈর- ০১৭১৩৩৭৩৫৮৬
রাজবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৫৯৮
রায়পুর- ০১৭১৩৩৭৩৪১৩
রুপগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৫১
লৌহজং- ০১৭১৩৩৭৩৩৯৮
শ্রীনগর- ০১৭১৩৩৭৩৩৯৯
শ্রীপুর- ০১৭১৩৩৭৩৩৬৬
শ্রীবর্দী- ০১৭১৩৩৭৩৫২৬
শখিপুর- ০১৭১৩৩৭৩৬১৮
শিবালয়- ০১৭১৩৩৭৩৩৮১
শিবচর- ০১৭১৩৩৭৩৫৮৮
শিবপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪১৪
শেরপুর- ০১৭১৩৩৭৩৫২৩
সখিপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৫৭
সাটুরিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৩৮৪
সাভার- ০১৭১৩৩৭৩৩২৭
সালতা- ০১৭১৩৩৭৩৫৬৩
সিদ্দিরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৪৮
সিরাজদীখান- ০১৭১৩৩৭৩৪০০
সোনারগাও- ০১৭১৩৩৭৩৩৫০
সদরপুর- ০১৭১৩৩৭৩৫৬২
সরিষাবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৫৪০
সিংগাইর- ০১৭১৩৩৭৩৩৮৫
হালুয়াঘাট- ০১৭১৩৩৭৩৪৩৮
হোসেনপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৮৩
হরিরামপুর- ০১৭১৩৩৭৩৩৮৩
সিএমপি, চট্রগ্রাম:
-----------------
ইমিগ্রেশন (বন্দর)- ০১৭১৩৩৭৩২৭২
কোতয়ালী, সিএমপি-০১৭১৩৩৭৩২৫৬
কর্ণফুলি- ০১৭১৩৩৭৩২৭১
খুলসী- ০১৭১৩৩৭৩২৬০
চান্দগাও- ০১৭১৩৩৭৩২৫৯
ডাবল মুরিং- ০১৭১৩৩৭৩২৬৮
পাচলাইশ- ০১৭১৩৩৭৩২৫৮
পাহাড়তলী (নর্থ জোন)-০১৭১৩৩৭৩২৫৭
পাহাড়তলী (বন্দর জোন)-০১৭১৩৩৭৩২৭৩
পতেঙ্গা- ০১৭১৩৩৭৩২৭০
বাকুলিয়া- ০১৭১৩৩৭৩২৬১
বায়েজিদ বোস্তামী-০১৭১৩৩৭৩২৬২
বন্দর- ০১৭১৩৩৭৩২৬৭
হালিশহর- ০১৭১৩৩৭৩২৬৯
চট্রগ্রাম বিভাগ:
---------------
আখাউড়া- ০১৭১৩৩৭৩৭৩৭
আনোয়ারা- ০১৭১৩৩৭৩৬৪৬
আশুগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৭৩২
উখিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৬৫
কক্সবাজার- ০১৭১৩৩৭৩৬৬৩
কচুয়া- ০১৭১৩৩৭৩৭১৭
কোতয়ালী কুমিল্লা-০১৭১৩৩৭৩৬৮৫
কোম্পানীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৭৫২
কুতুবদিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৬৮
কসবা- ০১৭১৩৩৭৩৭৩৬
চকোরিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৬৭
চাটখিল- ০১৭১৩৩৭৩৭৫৩
চাদপুর- ০১৭১৩৩৭৩৭১২
চান্দিনা- ০১৭১৩৩৭৩৬৯২
চান্দনাইশ- ০১৭১৩৩৭৩৬৫১
চৌদ্দগ্রাম- ০১৭১৩৩৭৩৬৮৬
চরজব্বার- ০১৭১৩৩৭৩৭৫৫
ছাগলনাইয়া- ০১৭১৩৩৭৩৭৮২
টেকনাফ- ০১৭১৩৩৭৩৬৬৬
তিতাস- ০১৭১৩৩৭৩৬৯৯
দাউদকান্দি- ০১৭১৩৩৭৩৬৯০
দাগনভুইয়া- ০১৭১৩৩৭৩৭৮৩
দেবীদ্দার- ০১৭১৩৩৭৩৬৮৭
নাসিরনগর- ০১৭১৩৩৭৩৭৩৩
নবীনগর- ০১৭১৩৩৭৩৭৩৪
পেকুয়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৭০
পটিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৪৩
পরশুরাম- ০১৭১৩৩৭৩৭৮১
ফেনী- ০১৭১৩৩৭৩৭৭৮
ফটিকছড়ি- ০১৭১৩৩৭৩৬৪১
ফরিদগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৭১৮
ফুলগাজী- ০১৭১৩৩৭৩৭৮০
ব্রাক্ষ্মনপাড়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৯৬
ব্রাক্ষ্মনবাড়ীয়া সদর-০১৭১৩৩৭৩৭৩০
বাঞ্ছারামপুর- ০১৭১৩৩৭৩৭৩৫
বাশখালী- ০১৭১৩৩৭৩৬৪৮
বেগমগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৭৪৯
বোয়ালখালী- ০১৭১৩৩৭৩৬৪৭
বরুরা- ০১৭১৩৩৭৩৬৯৩
বুড়িচং- ০১৭১৩৩৭৩৬৯১
মীরসরাই- ০১৭১৩৩৭৩৬৪৪
মেঘনা- ০১৭১৩৩৭৩৬৯৭
মতলব- ০১৭১৩৩৭৩৭১৪
মতলব উত্তর- ০১৭১৩৩৭৩৭১৪
মতলব দক্ষিন- ০১৭১৩৩৭৩৭১৫
মনোহরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৬৯৮
মুরাদনগর- ০১৭১৩৩৭৩৬৯৫
মহেষখালী- ০১৭১৩৩৭৩৬৬৯
রাউজান- ০১৭১৩৩৭৩৬৩৯
রামু- ০১৭১৩৩৭৩৬৬৪
রামগাতি- ০১৭১৩৩৭৩৭৬৮
রামগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৭৬৭
রায়পুরা- ০১৭১৩৩৭৩৭৬৬
রাংগুনিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৪২
লক্ষীপুর- ০১৭১৩৩৭৩৭৬৫
লাকসাম- ০১৭১৩৩৭৩৬৮৯
লাঙ্গলকোট- ০১৭১৩৩৭৩৬৯৪
লোহাগড়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৫০
শাহারাস্তি- ০১৭১৩৩৭৩৭১৬
সাতকানিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৪৯
সীতাকুন্ডু- ০১৭১৩৩৭৩৬৪৫
সেনবাগ- ০১৭১৩৩৭৩৭৫০
সোনাইমুরি- ০১৭১৩৩৭৩৭৫১
সোনাগাজী- ০১৭১৩৩৭৩৭৭৯
সদর দক্ষিন কুমিল্লা-০১৭১৩৩৭৩৭০০
সুধারাম, নোয়াখালী-০১৭১৩৩৭৩৭৪৮
সন্দীপ- ০১৭১৩৩৭৩৬৫২
সরাইল- ০১৭১৩৩৭৩৭৩১
হাইমচর- ০১৭১৩৩৭৩৭১৯
হাজীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৭১৩
হাটহাজারী- ০১৭১৩৩৭৩৬৪০
হাতিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৭৫৪
হোমনা- ০১৭১৩৩৭৩৬৮৮
আরএমপি, রাজশাহী:
----------------------
বোয়ালিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৩০৯
রাজপাড়া- ০১৭১৩৩৭৩৩১০
মতিহার- ০১৭১৩৩৭৩৩১১
শাহ মাকদুম- ০১৭১৩৩৭৩৩১২
রাজশাহী বিভাগ:
------------------
আক্কেলপুর- ০১৭১৩৩৭৪০৮৫
আটঘরিয়া- ০১৭১৩৩৭৪০১৮
আটোয়ারী- ০১৭১৩৩৭৪০০১
আত্রাই- ০১৭১৩৩৭৩৮৩৮
আতাইকুলা- ০১৭১৩৩৭৪০২৫
আদিতমারি- ০১৭১৩৩৭৩৯৪৭
আদমদিঘী- ০১৭১৩৩৭৪০৬৬
ঈশ্বরদী- ০১৭১৩৩৭৪০১৭
উল্লাপাড়া- ০১৭১৩৩৭৪০৪০
উলিপুর- ০১৭১৩৩৭৩৯৩১
এনায়েতপুর- ০১৭১৩৩৭৪০৪৯
ক্ষেতলাল- ০১৭১৩৩৭৪০৮৪
কাউনিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৮৮০
কাজিপুর- ০১৭১৩৩৭৪০৪৩
কামারকান্দা- ০১৭১৩৩৭৪০৪৪
কালাই- ০১৭১৩৩৭৪০৮৩
কালিগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৯৪৮
কাহারোল- ০১৭১৩৩৭৩৯৬৯
কাহালু- ০১৭১৩৩৭৪০৬৮
কিশোরগঞ্জ (নিলফামারী)-০১৭১৩৩৭৩৯১২
কোচাকাটা- ০১৭১৩৩৭৩৯৩৬
কোতয়ালী দিনাজপুর-০১৭১৩৩৭৩৯৬৩
কোতয়ালী, রংপুর-০১৭১৩৩৭৩৮৭৪
কুড়িগ্রাম- ০১৭১৩৩৭৩৯২৬
খানসামা- ০১৭১৩৩৭৩৯৭০
গঙ্গাচুড়া- ০১৭১৩৩৭৩৮৭৫
গাইবান্ধা- ০১৭১৩৩৭৩৮৯২
গাবতলী- ০১৭১৩৩৭৪০৬৪
গোবিন্দগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৮৯৬
গোমস্তাপুর- ০১৭১৩৩৭৩৮২১
গুদাগাড়ি- ০১৭১৩৩৭৩৮০১
গুরুদাসপুর- ০১৭১৩৩৭৩৮৬০
ঘোড়াঘাট- ০১৭১৩৩৭৩৯৭৪
চাটমোহর- ০১৭১৩৩৭৪০১৯
চাপাই নবাবগঞ্জ-০১৭১৩৩৭৩৮১৯
চারঘাট- ০১৭১৩৩৭৩৮০৭
চিরির বন্দর- ০১৭১৩৩৭৩৯৬৪
চিলমারী- ০১৭১৩৩৭৩৯৩২
চৌহালী- ০১৭১৩৩৭৪০৪১
জলঢাকা- ০১৭১৩৩৭৩৯১১
জয়পুরহাট- ০১৭১৩৩৭৪০৮২
যমুনা ব্রীজ পশ্চিম-০১৭১৩৩৭৪০৪৭
ঠাকুরগাও- ০১৭১৩৩৭৩৯৮৫
ডিমলা- ০১৭১৩৩৭৩৯১৪
ডোমার- ০১৭১৩৩৭৩৯১৩
তানর- ০১৭১৩৩৭৩৮০২
তারাগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৮৭৭
তারাস- ০১৭১৩৩৭৪০৪২
তেতুলিয়া- ০১৭১৩৩৭৪০০২
দেবীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪০০৩
দুর্গাপুর- ০১৭১৩৩৭৩৮০৬
দুসমারা- ০১৭১৩৩৭৩৯৩৫
ধামরাই- ০১৭১৩৩৭৩৮৩৯
ধুনট- ০১৭১৩৩৭৪০৭০
ধুপচাচিয়া- ০১৭১৩৩৭৪০৬৭
নওগা- ০১৭১৩৩৭৩৮৩৬
নাগেশ্বর- ০১৭১৩৩৭৩৯২৯
নাচোল- ০১৭১৩৩৭৩৮২২
নাটোর- ০১৭১৩৩৭৩৮৫৭
নিলফামারী- ০১৭১৩৩৭৩৯০৯
নিয়ামতপুর- ০১৭১৩৩৭৩৮৪৩
নন্দিগ্রাম- ০১৭১৩৩৭৪০৭১
নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর)-০১৭১৩৩৭৩৯৭৩
নলডাংগা- ০১৭১৩৩৭৩৮৬৩
পাচবিবি- ০১৭১৩৩৭৪০৮৬
পাটগ্রাম- ০১৭১৩৩৭৩৯৫০
পাটনীতলা- ০১৭১৩৩৭৩৮৪২
পাবনা- ০১৭১৩৩৭৪০১৬
পার্বতীপুর- ০১৭১৩৩৭৩৯৬৬
পীরগাছা- ০১৭১৩৩৭৩৮৭৯
পীরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৮৮১
পীরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৯৮৮
পঞ্চগড়- ০১৭১৩৩৭৩৯৯৯
পুঠিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৮০৪
পবা- ০১৭১৩৩৭৩৮০০
পর্শা- ০১৭১৩৩৭৩৮৪৬
পলাশবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৮৯৫
ফরিদপুর (পাবনা)-০১৭১৩৩৭৪০২১
ফুলছড়ি- ০১৭১৩৩৭৩৮৯৮
ফুলবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৯২৮
ফুলবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৯৭১
বগুড়া- ০১৭১৩৩৭৪০৬১
বাগমারা- ০১৭১৩৩৭৩৮০৫
বাঘা- ০১৭১৩৩৭৩৮০৮
বাঘাতিপাড়া- ০১৭১৩৩৭৩৮৫৯
বাদলগাছি- ০১৭১৩৩৭৩৮৪০
বালিয়াডাঙ্গী-০১৭১৩৩৭৩৯৮৬
বিরামপুর- ০১৭১৩৩৭৩৯৭২
বীরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৯৬৭
বেলকুচি- ০১৭১৩৩৭৪০৪৬
বেড়া- ০১৭১৩৩৭৪০২৩
বোছাগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৯৬৮
বোদা- ০১৭১৩৩৭৪০০০
বরইগ্রাম- ০১৭১৩৩৭৩৮৬২
বুরুঙ্গামারী- ০১৭১৩৩৭৩৯৩০
ভঙ্গোরা- ০১৭১৩৩৭৪০২০
ভোদরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৮৭৬
ভোলাহাট- ০১৭১৩৩৭৩৮২৩
মান্দা- ০১৭১৩৩৭৩৮৪৪
মিঠাপুকুর- ০১৭১৩৩৭৩৮৭৮
মোহনপুর- ০১৭১৩৩৭৩৮০৩
মহাদেবপুর- ০১৭১৩৩৭৩৮৪১
রাজারহাট- ০১৭১৩৩৭৩৯২৭
রাজীবপুর- ০১৭১৩৩৭৩৯৩৪
রানীসঙ্কৌল- ০১৭১৩৩৭৩৯৮৭
রায়গঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪০৪৫
রায়নগর- ০১৭১৩৩৭৩৮৩৭
রিরল- ০১৭১৩৩৭৩৯৬৫
রৌমারী- ০১৭১৩৩৭৩৯৩৩
লালপুর- ০১৭১৩৩৭৩৮৬১
লালমনিরহাট- ০১৭১৩৩৭৩৯৪৬
শাহাজাদপুর- ০১৭১৩৩৭৪০৩৯
শাহজাহানপুর- ০১৭১৩৩৭৪০৭২
শিবগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৮২০
শিবগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪০৬২
শেরপুর- ০১৭১৩৩৭৪০৬৯
সাঘাটা- ০১৭১৩৩৭৩৮৯৭
সাথিয়া- ০১৭১৩৩৭৪০২৪
সাদুল্লাপুর- ০১৭১৩৩৭৩৮৯৩
সাপাহার- ০১৭১৩৩৭৩৮৪৫
সারিয়াকান্দি-০১৭১৩৩৭৪০৬৫
সালাঙ্গা- ০১৭১৩৩৭৪০৪৮
সিরাজগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪০৩৮
সৈয়দপুর- ০১৭১৩৩৭৩৯১০
সৈয়দপুর পুলিশ ফাড়ী-০১৭১৩৩৭৩৯১৫
সোনাতলা- ০১৭১৩৩৭৪০৬৩
সুন্দরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৮৯৪
সূর্যনগর- ০১৭১৩৩৭৪০২২
সিংড়া- ০১৭১৩৩৭৩৮৫৮
হাকিমপুর- ০১৭১৩৩৭৩৯৭৫
হাতিবান্দা- ০১৭১৩৩৭৩৯৪৯
হরিপুর- ০১৭১৩৩৭৩৯৮৯
কেএমপি, খুলনা
--------------------
খুলনা- ০১৭১৩৩৭৩২৮৫
সোনাডাঙ্গা- ০১৭১৩৩৭৩২৮৬
খালিশপুর- ০১৭১৩৩৭৩২৮৭
দৌলতপুর- ০১৭১৩৩৭৩২৮৮
খানজাহান আলী- ০১৭১৩৩৭৩২৮৯
খুলনা বিভাগ:
---------------
অভয়নগর- ০১৭১৩৩৭৪১৬৭
আলমডাংগা- ০১৭১৩৩৭৪২৩৭
আশাশুনি- ০১৭১৩৩৭৪১৪৭
ইসলামী ইউনিভার্সিটি-০১৭১৩৩৭৪২২৬
কালিগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪১৪৪
কালিগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪১৯৩
কালিয়া- ০১৭১৩৩৭৪২০৭
কচুয়া- ০১৭১৩৩৭৪১২৬
কেশবপুর- ০১৭১৩৩৭৪১৬৬
কোটচাদপুর- ০১৭১৩৩৭৪১৯৬
কোতয়ালী যশোর-০১৭১৩৩৭৪১৬১
কুমারখালী- ০১৭১৩৩৭৪২২২
কলারোয়া- ০১৭১৩৩৭৪১৪২
কুষ্টিয়া- ০১৭১৩৩৭৪২২০
কয়রা- ০১৭১৩৩৭৪১১১
খোকসা- ০১৭১৩৩৭৪২২১
গাংনী- ০১৭১৩৩৭৪২৫০
চিতলমারী- ০১৭১৩৩৭৪১২৫
চৌগাছা- ০১৭১৩৩৭৪১৬৪
চুয়াডাংগা- ০১৭১৩৩৭৪২৩৬
জীবননগর- ০১৭১৩৩৭৪২৩৮
ঝিকরগাছা- ০১৭১৩৩৭৪১৬২
ঝিনাইদহ- ০১৭১৩৩৭৪১৯২
ডামুরহুদা- ০১৭১৩৩৭৪২৩৯
ডুমুরিয়া- ০১৭১৩৩৭৪১০৭
তালা- ০১৭১৩৩৭৪১৪৩
তেরখাদা- ০১৭১৩৩৭৪১০৮
দাকোপ- ০১৭১৩৩৭৪১১০
দিঘলিয়া- ০১৭১৩৩৭৪১০৪
দেবহাটা- ০১৭১৩৩৭৪১৪৬
দৌলতপুর- ০১৭১৩৩৭৪২২৪
নড়াইল- ০১৭১৩৩৭৪২০৬
নড়াগাতি- ০১৭১৩৩৭৪২০৯
পাইকগাছা- ০১৭১৩৩৭৪১০৫
পাটকেলঘাটা- ০১৭১৩৩৭৪১৪৮
ফকিরহাট- ০১৭১৩৩৭৪১২৩
ফুলতলা- ০১৭১৩৩৭৪১০৩
বাগেরহাট- ০১৭১৩৩৭৪১২২
বাঘারপাড়া- ০১৭১৩৩৭৪১৬৮
বেনাপোল চেক পোষ্ট- ০১৭১৩৩৭৪১৭০
বেনাপোল পোর্ট-০১৭১৩৩৭৪১৬৯
বটিয়াঘাটা- ০১৭১৩৩৭৪১০৬
ভেড়ামারা- ০১৭১৩৩৭৪২২৩
মাগুরা- ০১৭১৩৩৭৪১৭৯
মিরপুর- ০১৭১৩৩৭৪২২৫
মেহেরপুর- ০১৭১৩৩৭৪২৪৯
মোরলগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪১২৭
মোল্লারহাট- ০১৭১৩৩৭৪১২৪
মোহাম্মদপুর- ০১৭১৩৩৭৪১৮২
মুজিবনগর- ০১৭১৩৩৭৪২৫১
মনিরামপুর- ০১৭১৩৩৭৪১৬৫
মংলা- ০১৭১৩৩৭৪১২৯
মহেশপুর- ০১৭১৩৩৭৪১৯৭
রামপাল- ০১৭১৩৩৭৪১৩০
রুপসা- ০১৭১৩৩৭৪১০৯
লোহাগড়া- ০১৭১৩৩৭৪২০৮
শ্যামনগর- ০১৭১৩৩৭৪১৪৫
শ্রীপুর- ০১৭১৩৩৭৪১৮১
শার্শা- ০১৭১৩৩৭৪১৬৩
শালিখা- ০১৭১৩৩৭৪১৮০
শৈলকুপা- ০১৭১৩৩৭৪১৯৪
শরনখোলা- ০১৭১৩৩৭৪১২৮
সাতক্ষীরা- ০১৭১৩৩৭৪১৪১
হরিনাকুন্ডু- ০১৭১৩৩৭৪১৯৫
বরিশাল বিভাগ:
-----------
আগৌলঝাড়া- ০১৭১৩৩৭৪২৭৪
আমতলী- ০১৭১৩৩৭৪৩৫৪
উজিরপুর- ০১৭১৩৩৭৪২৭৬
কাউখালী- ০১৭১৩৩৭৪৩৩৯
কাঠালিয়া- ০১৭১৩৩৭৪২৮৯
কোতয়ালী বরিশাল- ০১৭১৩৩৭৪২৬৭
কলাপাড়া- ০১৭১৩৩৭৪৩২৩
গৌরনদী- ০১৭১৩৩৭৪২৭৫
গলাচিপা- ০১৭১৩৩৭৪৩২০
চরফ্যাশন- ০১৭১৩৩৭৪৩০৫
জিয়া নগর- ০১৭১৩৩৭৪৩৪১
ঝালকাঠি- ০১৭১৩৩৭৪২৮৬
তালতলি- ০১৭১৩৩৭৪৩৫৮
তজুমুদ্দিন- ০১৭১৩৩৭৪৩০২
দৌলতখান- ০১৭১৩৩৭৪৩০১
দুমকী- ০১৭১৩৩৭৪৩২২
দশমিনা- ০১৭১৩৩৭৪৩২১
নাজিরপুর- ০১৭১৩৩৭৪৩৪০
নেসারাবাদ- ০১৭১৩৩৭৪৩৩৮
নলছিঠি- ০১৭১৩৩৭৪২৮৭
পাথরঘাটা- ০১৭১৩৩৭৪৩৫৫
পিরোজপুর- ০১৭১৩৩৭৪৩৩৬
পটুয়াখালী- ০১৭১৩৩৭৪৩১৮
বাউফল- ০১৭১৩৩৭৪৩১৯
বাকেরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪২৭২
বানারীপাড়া- ০১৭১৩৩৭৪২৭৩
বাবুগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪২৭১
বামনা- ০১৭১৩৩৭৪৩৫৭
বেতাগী- ০১৭১৩৩৭৪৩৫৬
বোরহানউদ্দিন- ০১৭১৩৩৭৪৩০৩
বরগুনা- ০১৭১৩৩৭৪৩৫৩
ভান্ডারিয়া- ০১৭১৩৩৭৪৩৩৭
ভোলা- ০১৭১৩৩৭৪৩০০
মির্জাগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৩২৪
মেহেদীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪২৬৯
মঠবাড়ীয়া- ০১৭১৩৩৭৪৩৪২
মনপুরা- ০১৭১৩৩৭৪৩০৬
মুলাদী- ০১৭১৩৩৭৪২৭০
রাঙ্গাবালি- ০১৭১৩৩৭৪৩২৫
রাজাপুর- ০১৭১৩৩৭৪২৮৮
লালমোহন- ০১৭১৩৩৭৪৩০৪
হিজলা- ০১৭১৩৩৭৪২৬৮
সিলেট বিভাগ:
------------------
আজমিরিগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৪০৫
ওসমানী নগর- ০১৭১৩৩৭৪৩৮৭
কানাইঘাট- ০১৭১৩৩৭৪৩৭৯
কোতয়ালী (সিলেট)- ০১৭১৩৩৭৪৩৭৫
কোম্পানীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৩৮০
কমলগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৪৪১
কুলাউড়া- ০১৭১৩৩৭৪৪৪৩
গোলাপগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৩৮৩
গোয়াইনঘাট- ০১৭১৩৩৭৪৩৭৮
চুনারুঘাট- ০১৭১৩৩৭৪৪০০
ছাতক- ০১৭১৩৩৭৪৪১৯
জকিগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৩৮১
জগন্নাথপুর- ০১৭১৩৩৭৪৪২০
জামালগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৪২৬
জৈন্তাপুর- ০১৭১৩৩৭৪৩৭৭
জুরি- ০১৭১৩৩৭৪৪৪৫
তাহিরপুর- ০১৭১৩৩৭৪৪২১
দক্ষিন সুরমা- ০১৭১৩৩৭৪৩৮৬
দিরাই- ০১৭১৩৩৭৪৪২৪
দোয়ারাবাজার- ০১৭১৩৩৭৪৪২৩
ধর্মপাশা- ০১৭১৩৩৭৪৪২৭
নবীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৪০৩
ফেঞ্চুগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৩৮৫
বানিয়াচং- ০১৭১৩৩৭৪৪০৪
বালাগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৩৭৬
বাহুবল- ০১৭১৩৩৭৪৪০১
বিশ্বনাথ- ০১৭১৩৩৭৪৩৮৪
বিশ্বম্বরপুর- ০১৭১৩৩৭৪৪২২
বিয়ানীবাজার- ০১৭১৩৩৭৪৩৮২
বড়লেখা- ০১৭১৩৩৭৪৪৪৪
মাধবপুর- ০১৭১৩৩৭৪৩৯৯
মৌলভীবাজার- ০১৭১৩৩৭৪৪৩৯
মধ্যনগর- ০১৭১৩৩৭৪৪২৮
রাজনগর- ০১৭১৩৩৭৪৪৪২
লাখাই- ০১৭১৩৩৭৪৪০২
শ্রীমঙ্গল- ০১৭১৩৩৭৪৪৪০
শায়েস্তাগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৪০৬
সালনা- ০১৭১৩৩৭৪৪২৫
সুনামগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৪১৮
হবিগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৩৯৮

ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত
▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬

Thursday, October 23, 2014

তুই কি আমার দুঃখ হবি

তুই কি আমার দুঃখ হবি – 

আনিসুল হক

তুই কি আমার দুঃখ হবি?
এই আমি এক উড়নচন্ডী আউলা বাউল
রুখো চুলে পথের ধুলো
চোখের নীচে কালো ছায়া।
সেইখানে তুই রাত বিরেতে স্পর্শ দিবি।
তুই কি আমার দুঃখ হবি?
তুই কি আমার শুষ্ক চোখে অশ্রু হবি?
মধ্যরাতে বেজে ওঠা টেলিফোনের ধ্বনি হবি?
তুই কি আমার খাঁ খাঁ দুপুর
নির্জনতা ভেঙে দিয়ে
ডাকপিয়নের নিষ্ঠ হাতে
ক্রমাগত নড়তে থাকা দরজাময় কড়া হবি?
একটি নীলাভ এনভেলাপে পুরে রাখা
কেমন যেন বিষাদ হবি।

 

সুন্দর একটি কবিতা

অভিশাপ 

কাজী নজরুল ইসলাম

যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,
অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে -
          বুঝবে সেদিন বুঝবে!
     ছবি আমার বুকে বেঁধে
     পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে
     ফিরবে মরু কানন গিরি,
     সাগর আকাশ বাতাস চিরি'
          যেদিন আমায় খুঁজবে -
          বুঝবে সেদিন বুঝবে!

স্বপন ভেঙে নিশুত্ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে,
কাহার যেন চেনা-ছোওয়ায় উঠবে ও-বুক ছমকে, -
          জাগবে হঠাৎ চমকে!
     ভাববে বুঝি আমিই এসে
     ব'সনু বুকের কোলটি ঘেঁষে,
     ধরতে গিয়ে দেখবে যখন
     শূন্য শয্যা! মিথ্যা স্বপন!
          বেদনাতে চোখ বুজবে -
          বুঝবে সেদিন বুঝবে!

গাইতে ব'সে কন্ঠ ছিড়ে আসবে যখন কান্না,
ব'লবে সবাই - "সেই যে পথিক, তার শেখানো গান না?"
          আসবে ভেঙে কান্না!
     প'ড়বে মনে আমার সোহাগ,
     কন্ঠে তোমার কাঁদবে বেহাগ!
     প'ড়বে মনে অনেক ফাঁকি
     অশ্রু-হারা কঠিন আঁখি
          ঘন ঘন মুছবে -
          বুঝবে সেদিন বুঝবে!

আবার যেদিন শিউলি ফুটে ভ'রবে তোমার অঙ্গন,
তুলতে সে-ফুল গাঁথতে মালা কাঁপবে তোমার কঙ্কণ -
          কাঁদবে কুটীর-অঙ্গন!
     শিউলি ঢাকা মোর সমাধি
     প'ড়বে মনে, উঠবে কাঁদি'!
     বুকের মালা ক'রবে জ্বালা
     চোখের জলে সেদিন বালা
          মুখের হাসি ঘুচবে -
          বুঝবে সেদিন বুঝবে!

আমার লেখা কবিতা


অচিন পাখি

কবির তালুকদার

ও অচিন পাখিরে!
কোন ডালেতে বসি তুমি এমন সুরে ডাকো,
সব ডালেতে চোক্ষু বুলাই, চোক্ষে পড় নাতো।
কোনবা দিকে মুখ ফিরায়ে এমন কূজন করো,
যার কানে যায় সেই হয়ে যায় বাউল মস্ত বড়!
ও রঙিন পাখিরে!
রঙ না দেখেই রঙিন ডাকি, কিই বা তোমার রঙ,
রঙ তো থাকে মনের মাঝে, দেহের মাঝে ঢঙ।
দেহ তোমার দেখলামনাতো, শুধু শুনলান গান।
গানের সুরেই আঁইকা নিলাম তোমার চিত্রখান।
ও বিজন পাখিরে!
কার বিহনে তোমার সুরে এমন বিষাদ গাঁথা,
কি কামনায় কার ভাবনায় ভরা তোমার মাথা?
যারে তুমি ডাকতে পারো এমন করুণ সুরে,
সেকি জানে, কোথায় তুমি, কাছে কিংবা দূরে?

আমার লেখা কবিতা । বৃষ্টিতেও শুকনো থাকি শুনে মনে

বৃষ্টিতেও শুকনো থাকি শুনে মনে

 কবির তালুকদার।

বৃষ্টিতেও শুকনো থাকি শুনে মনে পড়ছে অঞ্জন দত্তের
‘‘একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
থাকবে না সাথে কোন ছাতা
শুধু দেখা হয়ে যাবে মাঝ রাস্তায়
ভিজে যাবে চটি জামা মাথা
থাকবে না রাস্তায় গাড়িঘোড়া
দোকানপাট সব বন্ধ
শুধু তোমার আমার হৃদয়ে
ভিজে মাটির সোঁদা গন্ধ
একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
মনে পড়ে যাবে সব কথা
কথা দিয়ে কথাটা না রাখার
ফেলে আসা চেনা চেনা ব্যথা
অদূরে কোথাও কোন রেডিওতে
এই পথ যদি না শেষ হয়
আর বৃষ্টির রং হয়ে যাবে নীল
আর আকাশের রংটা ছাই
একদিন
বৃষ্টিতে একদিন
বৃষ্টিতে বিকেলে
ভাঙ্গা দেয়ালের সাত পাঁকে বাঁধা
কবেকার নুন শোতে কোথাও
আর বৃষ্টির ছাটে যাবে না দেখা
দু'জনের চোখের জল
ঝমঝম
ঝমঝম চোখের জল
একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
আমরা ধরা পড়ে যাব দেখো ঠিক
ধুয়ে যাবে যত আছে অভিমান
ধুয়ে যাবে সিঁদুরের টিপ
আর চটিটাও ছিঁড়ে যাবে তক্ষুনি
তাই পালানো যাবেনা যে কোথাও
রাস্তা যেমন তেমনি
শুধু লোকজন সব উধাও’’

আমার লেখা কবিতা । মনে পড়ে


মনে পড়ে 

                                        কবির তালুকদার।

হাইড আউট মনে পড়ে?
বেলা তিনটের রান্না
রাতবিরেতের কাঠকয়লা
আর ভোর চারটেতে লোকাল
চামেলীর গন্ধ, হয়তো চাঁপাও
অক্ষরে বন্যা জাগে
প্রস্থে সুঠাম বারান্দা
অগুণতি তারার মশাল
হাইড আউট মনে পড়ে!
কবিতা লেখার দিন
পুরোনো বাসনের ঝন্
কাপড়ের রঙজরি
নিভৃত থেকে চলে আসা
কেন যে আমরা এলাম
এখন দূরত্বে মেঘবন
বৃষ্টিতেও শুকনো থাকি


হৃদয়ের ভাষা


             হৃদয়ের ভাষা

 তুমি কি আমার অভিমানের নীরব চাওয়া বোঝো না ?
যে অভিমান তোমার আজন্ম উপেক্ষায় আজ বেড়ে বেড়ে
ভালোলাগা রংধনু ঢেকে ফেলা দুঃসহ কষ্টের নীল হিমাচল ...
আমার মুখের কথাকেই তবে কেন শেষকথা বলে ধরে নাও ?
আমার চোখে কি তোমার জন্য গোপন প্রেম দেখতে পাও না ?
যে প্রেম আজ বাস্তবতার ঘূর্ণাবর্তে হাবুডুবু খেতে খেতে
হৃদয় গভীরে শীতঘুমে চলে যাওয়া প্রত্যাশাহীন অনুভব ...
আমার অভিমানকে তবু কেন শেষ পরিণতি বলে মেনে নাও ?
তোমার জন্য আমার প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় কি তুমি বুঝতে পার না ?
সময়ের চোরাস্রোতে ক্ষয়ে আসা বাসনার উদ্ভিন্ন বল্কলে
আমি কেবল তোমার জন্যই প্রতিদানহীন পক্ষপাত জমিয়ে রাখি...
আমার নিরবতাকে তবু কেন তুমি শীতলতা বলে ভুল করো ?
তবে কি তুমি আমাকে শর্তহীন ভালোবাসো না বলেই
তুমি আমার হৃদয়ের মানবিক ডাক শুনতে পাও না ?
আমার কাছে তোমার কোন মুকুলিত প্রত্যাশা নেই বলেই কি
তোমার ভাবনা আমার অনুভবের বেলাভূমি স্পর্শ করে না,
আমাকে নিমগ্ন চেতনার গহীনে লালন কর না বলেই কি
তুমি আমার হৃদয়ের ভাষা অনুধাবন করতে পারো না ?
আমাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসো না বলেই তুমি কি
আমাকে আমার নিজের মতো করে বুঝতে পারনা ?