Saturday, March 18, 2017

ভালো সিমেন্ট ও রড চেনার উপায়

ভালো সিমেন্ট ও রড চেনার উপায়:
সিমেন্ট:
ভাল সিমেন্টের রং সবুজাভ গ্রে হবে এর মধ্যে কোন শক্ত পিন্ড
থাকবে না, অন্য কোন কিছু মেশানো থাকবে না ব্যাগের মধ্যে হাত
দিলে ঠান্ডা অনুভব হবে সামান্য পরিমান সিমেন্ট নিয়ে পানি ভর্তি বালতির পাণির উপর ছেড়ে দিলে কিছুক্ষন পানির উপর সিমেন্ট
থাকবে। ছিটানোর সাথে সাথেই নিচে পড়ে যাবে না দুই আঙ্গুলের মধ্যে সিমেন্ট নিয়ে আঙ্গুল ঘষতে খষখসে হবে না, পিচ্ছিল হবে।

ভালো বালি ও ইট চেনা উপায়

আসসালামু আলাইকুম,কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করি ভালই আছেন। আজকের টিউন "ভালো বালি ও ইট চেনা উপায়"
বালি:
কোন জিবাস্ম মিশ্রিত থাকবে না অন্যান্য অপ্রযোজনীয় কোনকিছু মিশ্রন থাকবে না হাতের মুঠে কিছু বালি নিয়ে মুঠের মধ্যে নাড়াতে হবে। এবার
মুঠ খুলে বালি ফেলে দিতে হবে।
যদি হাতে ময়লা লেগে থাকে তাহলে বুঝতে হবে সেটা ভাল বালি না
গ্লাসের মধ্যে কিছু পানি দিয়ে তার মধ্যে বালি মেশাতে হবে।
এবার কিছুক্ষন রেখে দিতে হবে।
যদি কিছুক্ষন পার বালি তলানিতে যায় এবং পানির উপরিভাগে কোন
ময়লা না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে বালি ভাল।
শ্রমিকের কাজ সংক্রান্ত হিসাব গুলো শিখে রাখেন সহজ টেকনিকের সাথে। বিসিএস ও নিয়োগ পরিক্ষায় তা কাজে আসবে।
নিয়ম-১:
ক, খ এবং গ একটি কাজ যথাক্রমে ১২, ১৫ এবং ২০ দিনে করতে পারে। তারা একত্রে কাজটি কতদিনে করতে পারবে?
টেকনিক = abc / (ab + bc + ca)
= (১২ x ১৫ x ২০)/ (১২x১৫ + ১৫x২০ + ২০x১২)= ৫ দিনে (উঃ)
নিয়ম-২:
৯ জন লোক যদি একটি কাজ ৩ দিনে করে তবে কতজন লোক কাজটি ৯ দিনে করবে?
টেকনিক : M1D1 = M2D2
বা, ৯ x ৩ = M2 x ৯
বা, M2×৯=২৭
M2=২৭/৯
সুতরাং, M2 = ৩ দিনে(উঃ)

বিল্ডিং নির্মাণে কিছু তথ্য ও করণীয়:-

বিল্ডিং নির্মাণে কিছু তথ্য ও করণীয়:-
.
1. বালি ব্যবহারের পূর্বে ছেঁকে ভালভাবে পরিস্কার করে নিতে হবে।
2. খোয়া ব্যবহারের পূর্বে ভালভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে।
3. পানি, সিমেন্ট, বালি ও খোয়া/পাথরের মিশ্রণের অনুপাত ঠিক রাখতে হবে।
4. প্লাস্টারিং কখনো 1.5" এর বেশী হওয়া উচিত নয়।
5. প্লাস্টারিং-এর পূর্বে ইটগুলোর গা থেকে ময়লা পরিস্কার করে নিতে হবে।

বিল্ডিং নির্মাণ করার ক্ষেত্রে কিছু করণীয় কাজ জেনে নিন।

বিল্ডিং নির্মাণ করার ক্ষেত্রে কিছু করণীয় কাজ জেনে নিন।
.
১। বিল্ডিং ডিজাইনের আগেই অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা
মাটির গুনাগুণ বিশ্লেষণ ও মাটির ধারণক্ষমতা
নির্ভুলভাবে নির্ণয়পূর্বক রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।
২। যে কোন বিল্ডিং-এর নকশা তৈরি করার পূর্বেই
স্ট্রাকচারাল নকশার বিধিগুলোর অনুসরণ করতে
হবে। মনে রাখতে হবে সঠিক স্ট্রাকচারাল নকশা না
হলে ভূমিকম্পরোধক বিল্ডিং হবে না।
৩। বিল্ডিং নির্মাণের সময় অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের
(সিভিল ইঞ্জিনিয়ার) তদারকি রাখতে হবে যাতে গুণগত
মান ঠিক থাকে।