Friday, September 4, 2015

ভাঙ্গা মন

“রাতে শেয়াল ডাকে, দিনে সাপে কাটে। এই জঙ্গলে আমি আর থাকবোনা। এখানে কোনদিন ছেলে মানুষ হবেনা, জংলী হয়ে যাবে”- বলতে বলতে ব্যাগ গুছায় নীলকান্ত বাবুর বউ। নীলকান্ত মীনমীন করে বলে,
- আরও স্টাফদের ছেলেমেয়েরা তো ভার্সিটি মেডিক্যালে পড়ে। মাস্টারের ছেলেটিও স্কলারশীপ নিয়ে আমেরিকা চলে গেলো।
- তুমি থাকো এই জঙ্গলে, আমি গেলাম।

ভালোবাসার পরিমাণ

ছেলেটি প্রায় প্রতিদিনই মেয়েটির কাছে জানতে চায়ত, “তুমি আমাকে ঠিক কতটুকু ভালোবাসো?”
মেয়েটি সবসময় ছেলেটির এই প্রশ্নকে এড়িয়ে যেত, সে বলত “সময় হোক তারপর জানতে পারবে”।
এভাবেই তাদের প্রেমময় দিন যায়। মেয়েটির সময় হয় না ছেলেটিকে সে কতটুকু ভালোবাসে তা জানাতে আর ছেলেটিও অপেক্ষায় থাকে মেয়েটি একদিন তাকে তার ভালোবাসার পরিমাণ জানাবে।
মেয়েটি ছেলেটির কথায় মনে মনে হাসে। ভাবে “ভালোবাসা কি কভু পরিমাপ করা যায়!

দেখছিস... কতটা ভালো আছি... ? কত ভালো ভাবে দিন কেটে যাচ্ছে... আমার...

>ছেলেটা জিজ্ঞেস করেছিলো মেয়েটাকে-
>কেমন আছিস...?
>উত্তরে মেয়েটা বলেছিলো-
>> এলো চুলে আর লেপ্টানো কাজলের কালিতে যখন ঢুলুঢুলু চোখ খুলতে চাই 
ঠিক তার আগেই বিছানা হাতড়ে মোবাইলটা খুঁজে নেই যেন চোখ খুলেই হাতে মোবাইলটা থাকে... 
এরপর জমানো কিছু মুঠোবার্তার শব্দে শুকনো ঠোঁট

ভালবাসি তোকে

আবির, শোন তোর সাথে কিছু কথা ছিল, রিপার পিছু ডাক। আবির থামলো, কি বলবি তাড়াতাড়ি বল, আমার কাজ আছে, মাঠে যেতে হবে ওরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে, যা বলার তাড়াতাড়ি বল। রিপা, মনে হচ্ছে তুই অনেক ব্যস্ত, যা মাঠে যা বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দে, না আমার কিছুই বলার নেই।
রিপার মন খারপ আবির কে কি যেন বলতে গিয়েও থেমে গেলো তাই।আবির ও রিপা একই ফ্লাটের দুজন, একই কলেজের ছাত্র ছাত্রী । দুজন দুজনের বাসাতে যায় আড্ডা দেয় । পড়াশুনা থেকে শুরু করে কোচিং সব একই সাথে করে। ওরা দুজন দুজনের ভাল বন্ধু। ছোট বেলা থেকে নিয়ে এ পর্যন্ত ওদের মাঝে গড়ে উঠেছে ভাল এক সম্পর্ক যা বন্ধুত্বের চেয়ে একটু বেশী। রিপার অনেক ভাললাগতে থাকে আবির কে, আবিরের ও একটু একটু , আর এই ভাল লাগা থেকেই ভালবাসার জন্ম রিপার হৃদয়ে। অনেক দিন যাবৎ বলবে বলবে ভাবছে রিপার সেই ভালবাসার কথা, কিন্তু ভয়ে ভয়ে আর বলা হয়ে উঠেনা।

একটি অসমাপ্ত প্রেমের গল্প

দূরে থাকতেই বাসটা দেখতে পেলাম । এই বাসটা ধরতেই হবে। নইলে মিস হয়ে যাবে ইন্টারভিউ । অবশ্য ইন্টারভিউ বোর্ডে গিয়ে আজ কোন লাভ হবে বলে মনে হয় না । অন্তত এই পোষাকে তো নয়ই। আর দশটা ফিটফাট ছেলের সামনে আমার এই কাক ভেজা চেহারা নিশ্চয় দর্শনীয় কিছু হবে। এই বৃষ্টিতে ছাতা ছাড়া বের হওয়া ঠিক হয়নি । হাজার চেষ্টাতেও ছাতা খুজে পেলাম না । বাসার একমাত্র ছাতাটা নিয়ে ছোটবোনটা স্কুলে চলে গেছে। ভাইয়াও কাক ভেজা হয়ে গেছে অফিসে। আমাদের বাসায় আরও দুটো ছাতা ছিল –আমি হারিয়ে ফেলেছি গত সপ্তাহে। বৃষ্টি থেমে গেলে আর ছাতার কথা মনে থাকেনা আমার।

ভেবেছিলাম একজন যাত্রীদেখে বাসটা থামবেনা ,কিন্তু বাস থামল