Wednesday, March 1, 2017

এস্টিমেট সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি

1. এক ঘনমিটার ইটের গাঁথুনীর কাজে প্রচলিত ইটের প্রয়োজন= ৪১০ টি।
2. এক ঘনফুট ইটের গাঁথুনীর কাজে প্রচলিত ইটের প্রয়োজন=১১.৭৬=১২ টি
3. এক ঘনমিটার ইটের গাঁথুনীর কাজে মেট্রিক ইটের প্রয়োজন= ৫০০ টি।
4. এক ঘনফুট ইটের গাঁথুনীর কাজে মেট্রিক ইটের প্রয়োজন= ১৪.২৮ টি।
5. এক বর্গমিটার জায়গায় একস্তর ইটের ফ্লাট সোলিং এর জন্য ইটের প্রয়োজন=৩১ টি।
6. এক বর্গমিটার সোলিং এ চিকন বালির প্রয়োজন=০.০১৫ ঘনমিটার
7. এক বর্গমিটার জায়গায় একস্তর ইটের হেরিং বোন বন্ডের জন্য ইটের প্রয়োজন=৫২ টি।
8. এক বর্গমিটার হেরিং বোন বন্ডের জন্য চিকন বালির প্রয়োজন=০.০৩ ঘনমিটার
9. ইটের গাঁথুনীর কাজে শুকনা মসল্লা এর পরিমাণ=৩৫%
10. এক ঘনমিটার সিমেন্ট=৩০ ব্যাগ....

Monday, February 20, 2017

কক্সবাজার পলিটেকনিক এর সিভিল ৪র্থ পর্বের ক্লাস রুটিন PDF File পেতে এখানে অথবা নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

Picture File পেতে এখানে অথবা নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

Download

Friday, July 22, 2016

পড়া মনে রাখার শর্টকাট টেকনিক...

মনে রাখার জন্য আমার লাইফ থেকে শিক্ষা নেওয়া টিপসঃ এই টিপস গুলো আমি আমার প্রতিটি স্টুডেন্টকে দিতাম ... এবং তারা সফলও হত
-------------------------------------------------------------
✪ আপনার পড়ার রুমে অবশ্যই একটা হোয়াইট বা সাদা বোর্ড রাখবেন
সেখানে প্রতিদিন ইম্পরট্যান্ট কিছু পয়েন্ট বা সূত্র লিখে রাখবেন যা মনে রাখা খুব প্রয়োজন ...
✪ প্রতিটি পারার টপিক্স এর ফ্লো চার্ট তৈরি করুন এবং বড় পেইজে করুন মানে এক পেইজে যাতে পুরা বিষয় নিয়ে আসা যায় ...ফ্লো চার্টের প্রতিটি পয়েন্টের পাশে এমন একটা দুইটা ওয়ার্ড লিখে রাখুন যাতে পুরা বিষয় আপনি ব্যাখ্যা করতে বা মনে করতে পারেন ...
✪ অনেকে মনে রাখার জন্য নোট করেন সেইটা অবশ্যই ভালো কিন্তু তারা এমন ভাবে করেন যেন এইটা ছাপা হবে বা আরেকজন পড়বে ...
আমি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় পদার্থ বিজ্ঞান ও অন্যান্য সাবজেক্ট দুই তিনটা বই নিয়ে এভাবে নোট করেছিলাম এতে একটা লাভ হয়েছে প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারনা হয়েছে এবং ভালো বুঝতে পেরেছি এমন ভাবে বুঝেছি যে অন্য যে কাউকে বুঝানোর ক্ষমতা হয়েছিল ...
কিন্তু সমস্যা হল পরীক্ষার আগে আমি প্রতিটি প্রশ্ন অর্ধেক লিখে আর মনে করতে পারছি না ... যা হবার তাই হল ফাস্ট ইয়ার রেজাল্ট অতো ভালো হল না
কারন আমি বুঝেছি ঠিকই কিন্তু দেখলে পারব মনে হত কিন্তু মুখস্ত না লেখার কারনে
আমার দুর্বল পয়েন্ট আমি ধরতে পারি নাই ...
সো যাই পডেন নাকেন একবার হলেও লিখবেন না দেখে এতে আপনার মাথা কাজ করবে এবং মনেও থাকবে ...এর ফলে আপনি শিখার পর লিখতে গেলে দেখবেন একটা পয়েন্টে এসে আন্টকে গেছেন কিন্তু বাকি লাইন গুলো মনে আছে
বিশেষ করে সাইন্সের সাবজেক্টে এমন হয় ... ✪ একটা কথা মনে রাখবেন যে লাইনে আপনি বাঁধা পরেছেন সেইটাই হলো ক্রাকিং লাইন ...
✪ এই জন্য প্রতিটি প্রশ্ন ও ম্যাথে মুখস্ত লিখে লিখে এভাবে ক্রাক লাইন খুজে বের করবেন এবং আপনার নোট হবে সেই লাইন গুলো নোট করবেন
✪ আমি প্রথম ধাক্কার পর এভাবেই নোট করা শুরু করলাম মানে এক পেইজেই সম্পূর্ণ প্রশ্ন তুলে আনতাম পরীক্ষার আগে এইটাই পরতাম যা আমি ছাড়া আর কারো বুঝা সম্ভব ছিল না ...
এভাবে সময়ও বাচলো আমার মনেও থাকল আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনারা নিজেও একবার ট্রায় করে দেখুন
মানে এক পেইজে সম্পূর্ণ প্রশ্ন এইটা করতে গেলে দেখবেন আপনাকে ইম্পরট্যান্ট পয়েন্ট খুজতে হবে যার ফলে টপিক্সটি খুভ ভালো করে পরা হবে
এবং চিন্তা করতে হবে কোন পয়েন্ট লিখলে সম্পূর্ণ প্যারা মনে থাকবে ...
এভাবে আপনি নিজেই মনে রাখার একটা টেকনিক বের করতে পারবেন
-----------------------------------------------
স্বাভবিক টিপস (মানে উপরের টিপস গুলো যাদের পছন্দ হয় নি তাদের জন্য এই টিপস গুলো )
------------------------------------------------------
পাঠ্যবইয়ে পড়া অধীত বস্তগুলি যে আমরা মনে রাখতে পারি না তার প্রধান কারণ:
এগুলো পড়ে পরীক্ষা পাস ছাড়া জীবনে আর কোনো কাজে লাগবে কিনা সে সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারণা নেই। তাই মনে করি কোনো রকমে পরীক্ষায় পাশটা করে গেলে যথেষ্ট। সারাজীবন ধরে এটা মনে রাখার দরকার নেই। আসলে সবাই ভাবে লেখাপড়া, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়েই শেষ হয়ে যায়। ডিগ্রির জন্যই পড়াশোনা। ডিগ্রি পেয়ে গেলে ওটারই দাম, পড়াশোনার আর দাম নেই। এই কারণে কলেজের পাঠ্যবই-এর পড়া লোকে পরবর্তীকালে ভুলে যায়। কারণ ভুলে যেতে চায় বলেই ভুলে যায়।
পড়তে হয় বার বার
—————————
রিপিটেশন বা বার-বার পড়া মনে রাখার প্রকৃষ্ট পদ্ধতি। ছাত্র-ছাত্রীদের বলি যা পড়বার প্রথম তিনমাসই একবারে শেষ করে ফেলুন। পরের ন মাস ধরে চলুক রিপিটেশন। এমন কোন ওষুধ নেই একবার খেলেই রোগ উপশম হয়। মনে রাখতে গেলে বার বার সেটা পড়তে হয়। বিজ্ঞাপনের ছাত্র-ছাত্রীদের আমরা শেখাই Repetition and domination. একটা বিজ্ঞাপন বার-বার repeat করো। আরও বড় করে বিজ্ঞাপন দাও।
বাস্তব জগতে কোনো ক্রিয়া রিপিটেশন ছাড়া হয় না। না কাঁদলে মা শিশুকে স্তন্য দান করে না। কিন্তু শিশুর একবার কাঁদলেই চলে না। প্রতিবার কাঁদতে হয়। তেমনি কারো বার বার ঘ্যান ঘ্যান করতে হয়। এই জন্যই একটা বিজ্ঞাপন বার বার দিতে হয়। নাটকে রিহার্সালও দিতে হয় বার বার। তেমনি একটা সাবজেক্ট বুঝতে গেলে বা জানতে গেলে বার বার করে পড়তে হয়। একে বলে অনুশীলন টাইপ, কম্পিউটার, সাঁতার শেখার লেসন একটাই : ‘বার বার করো’।
কিন্তু বার বার পড়লেই হবে না। এমন কি বার বার পড়লে মুখস্থ হয়তে হয়েতে হয়ে যাবে, কিন্তু বেশিদিন তা মনে রাখা যাবে না । বেশিদিন মনে রাখতে গেলে জিনিসটি বুঝে মুখস্থ করতে হবে। সেই সঙ্গে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে তোতাপাখির মতো না বুঝে মুখস্থ করাকে rote learning বলে। এইরকম মুখস্ত কাম্য নয়। মুখস্ত করার আগে সমস্ত শব্দের অর্থ জানতে হবে ও ভাবার্থ জানতে হবে। এজন্য বলি পড়ে বোঝা ও বুঝে পড়া। মনোযোগ অর্জন করার কতগুলি শর্ত আছে। মনকে ধ্যান ও যোগের দ্বারা ক্রমশ একমুখী করে তুলতে হয়।
একটু নির্জনতার সন্ধানে
—————————
পড়ার জন্য একটি নির্জন ঘর বেছে নেওয়া বাঞ্জনীয়। পড়ার ঘরে অনেক ফিল্মি হিরো, হিরোইন বা ক্রিকেট ছবি রাখে। এটি অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই সব ছবি মনের একাগ্রতা নষ্ট করে। পড়ার ঘরে বরং আপনার নিজের ছবি বড় করে বাঁধিয়ে রেখে দিন। প্রতিদিন পড়া শুরুর আগে ছবির দিকে তাকিয়ে বলুন, আমাকে সমস্ত বিঘ্ন অতিক্রম করতে হবে। আমাকে মনোযোগী হতে হবে। আমাকে বড় হতে হবে। আমাকে পরীক্ষায় সফল হতে হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আর আমাকে সকল বাঁধা অতিক্রম করতে গেলে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এখানে ফাঁকির কোনো স্থান নেই। এবার আর একটা কাগজে লিখুন-পড়াশোনা আমার দ্বারা হবে না। আমি বেকার থাকব। চেষ্টা না করে খাব দাবো আর ফুর্তি করে বেড়াব। তারপর কাগজটি টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে জানালা দিয়ে ফেলে দিন।
পরীক্ষার আগে পড়া
আমাদের ক্লাসে ফাস্ট বয় সারাদিন আড্ডা দিয়ে সারারাত ধরে পড়ত। শুনেছি ভালো ছেলেরা নাকি তাই করে। আমাদের দেশের বাড়ি পাশের বাড়ির একটি স্কুলের ছেলে চার-পাঁচ ঘন্টা চেঁচিয়ে পড়ত। কিন্তু সে ক্লাসে ফেল করত। কতক্ষণ পড়ব, কখন পড়ব, এব্যাপারে কোনো ফর্মূলা দেওয়া যাবে না। খাদ্যের ব্যাপারে যেমন আমরা বলতে পারি একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে ১৬ আউন্স খাদ্য বা ২৫০০ ক্যাসরি খাদ্য লাগে। কিন্তু অনেকে ১২০০ ক্যালরি খেয়েও স্বাস্থ্যবান থাকতে পারে।
পড়ার ব্যাপারেও তাই। আসলে দেখতে হয় যতটুকু পড়ছি মনে রাখতে পারছি কিনা। আজকাল একদিন থেকে এক সপ্তাহ কোনো বিষয়ের ওপর টানা ওয়ার্কশপ চলে। তাতে সারাজীবনে যা শেখেননি তা নাকি ক্যাপসুল করে একদিনে টানা ঘন্টায় শিখিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু J.C. Jenkins ও Dallenbach দেখিয়েছেন দু’দল বাচ্চাকে ননসেন্স ছাড়া শেখানো হল। আর একদলকে না ঘুমাতে দিয়ে টানা শিখিয়ে যাওয়া হল।
দেখা গেল যাদের ঘুমোতে দেওয়া হয়েছিল তাদের স্মতিধারণ ক্ষমতা অবিরাম শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো হয়েছে। অনেকে টানা অনেক্ষণ পড়তে পারে ও মনেও রাখতে পারে। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত, এক ঘন্টা একনাগাড়ে পড়ার পর দশ মিনিট বিশ্রাম দরকার। এই বিশ্রামের সময় কিন্তু টিভি দেখতে যাবেন না। তাহলে যা পড়েছেন সেটা ইরেজ হয়ে যাবে মন থেকে। যেমন টেপ রেকর্ডারে প্রিরেকর্ডেড টেপের ওপর রেকর্ড করলে আগেরটা ইরেজ হয়ে যায়। তার চেয়ে শবাসনে শুয়ে থাকুন। অথবা একটু আড্ডা দিয়ে আসুন। একটু হেঁটে নিন। তারপর আবার শুরু করুন। দিন-রাত একটানা পড়লে স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে। হজম হয় না। রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। অনেকে ঘুম তাড়াবার জন্য ওষুধ খায়, চা, কফি খায়। এর ফলে সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে।
{ ইন্টারনেট হতে সংগ্রহীত } কবির তালুকদার। হাইমচর, চাঁদপুর।

লাইফে বড় হতে চান……!!

লাইফে বড় হতে চান……!! তাহলে নিচের প্রত্যেকটা লাইন ভালো করে খেয়াল করুন ...
জীবনে বড় হওয়া বা সফলতার জন্য বিশেষ কোন চিরন্তনী সূত্র বা নিয়ম নেই ...
তারপরও অধিকাংশ সফল মানুষের সফল হওয়ার ক্ষেত্রে নিচের নিয়ম গুলো মিল থাকে ... তাই সেই নিয়ম গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম ...
এখানে জাস্ট দুই তিন শব্দের কয়েকটা পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে ... যাতে পরতে বোরিং না লাগে ... যে কেউ বুঝার জন্য এই পয়েন্ট গুলোই যথেষ্ট...
✬ লক্ষ্য স্থির করুন … সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যান এবং সঠিক লক্ষ্য পূরণের স্বপ্ন দেখুন এবং সেই বিষয়ে ভালো করে জ্ঞান অর্জন করুন …
✬ মিষ্টি ব্যবহার-বড় পুজিঁ
✬ মিষ্টি করে হাসতে হবে
✬ মানুষকে তার নিজের বিষয়ে উৎসাহী করে তুলুন।
✬ উপযুক্ত প্রশাংসা করুন লাভবান হবেন
✬ মানুষকে স্বমতে আনার সহজ উপায় হল তার কথা শুনুন ও বুঝুন তারপর তার পছন্দের বিষয়ের সাথে আপনার মতামত যুক্ত করে বলুন …
✬ অপরের দোষ খুজঁবেন না
✬ বড় বড় কথায় লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশী
✬ তর্ক করে অপ্রিয় হতে যাবেন না
✬ ঘ্যান ঘ্যান করা ভাল নয়
✬ অনুকরন করবেন না
✬ নাটকীয়তার আশ্রয় নিন
✬ সহানুভুতিশীল হোন
✬ পৃথিবীতে ব্যক্তিত্ব ছাড়া সুন্দর জীবনযাপন সম্ভব নয়
✬ অহংকারী ব্যক্তিকে কেউ পছন্দ করে না
✬ বাস্তবতাকে মেনে নিন
✬ আনন্দে থাকুন
✬ উদ্বেগহীন জীবন ভাল নয়
✬ মানুষ বড় অকৃতাজ্ঞ
✬ স্রষ্টার কাছে নত হোন
✬ আপনি যা ভাবেন তাই হবে
✬ বিশ্রাম নিতেই হবে
✬ ইচ্ছাটাই বড় কথা
✬ দুশ্চিমত্মামুক্ত থাকুন
✬ লাভ লোকসানের হিসাব করবেন না
✬ মন জয় করুন
✬ কাকে কখন হুকুম করা যেতে পারে সেই দিকে খেয়াল করুন যাকে ইচ্ছা তাকে হকুম করবেন না …এক্ষেত্রে স্ট্যাটাস মেন্টেইন করুন
✬ নিজের ভুল আলোচনা করলে ক্ষতি হয়
✬ পুরান ব্যাপারে নতুন করে বলবেন না
✬ ছোটদের সমালোচনা করা ভালো নয়
✬ সততা এবং শ্রম আপনাকে আশ্চর্য ফল দেবে
✬ ভাষাকে সংযত করুন
✬ নিজের মাঝে ডুব দিন সুখ পাবেন
✬ উত্তেজিত হবেন না

{ ইন্টারনেট হতে সংগ্রহীত } কবির তালুকদার। হাইমচর, চাঁদপুর।

Monday, November 9, 2015

দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে এমন ব্যপারগুলো নিয়ে কু’রআনে যা বলা হয়েছে

দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে এমন ব্যপারগুলো নিয়ে কু’রআনে যা বলা হয়েছে অর্থাৎ নৈতিকতা , ব্যবহার, সামাজিকতা , পারিবারিক ও আত্মীয় সম্পর্ক নিয়ে প্রয়োজনীয় উপদেশ সমূহ … যেমন আমরা কিভাবে কথা বলব, কিভাবে বেড়াতে যাবো, কি ধরণের কাপড় পড়ব, বড়দের সাথে কিভাবে আচরন করব , পারিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে কেমন সম্পর্ক গড়ে তুলব– এসব খুঁটিনাটি ব্যপারে কু’রআন যা বলা হয়েছে… এই উপদেশ সমূহ আমাদের এই জীবনকে একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও শান্তিময় সমাজ উপহার দিতে পারে।এর ফলে সুন্দর সমাজ, সমৃদ্ধ দেশ ও শান্তিময় বিশ্ব গড়ে উঠবে … 
নোটঃ পড়ার পর অনুগ্রহ করে শেয়ার করবেন। যেন অন্যরাও পড়তে পারেন।
কু’রআন সম্পর্কে একটি প্রচলিত ধারণা হল এটি একটি উচ্চ মর্গের ধর্মীয়, নৈতিক, মহাগ্রন্থ, যাতে মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় বড়, জটিল ব্যপারগুলোই শুধুমাত্র বলা আছে। দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে এমন সাধারণ ব্যপারগুলোর জন্য কু’রআন নয়। যেমন আমরা কিভাবে কথা বলব, কিভাবে বেড়াতে যাবো, কি ধরণের কাপড় পড়ব – এসব খুঁটিনাটি ব্যপারের জন্য কু’রআন নয়। এই ধারণার কারণে অনেকেই কু’রআন থেকে না শিখে আনুষঙ্গিক ধর্মীয় বই, মনীষীর জীবনী ইত্যাদি পড়ে নানা ধরণের বিতর্কিত উপদেশ শিখে বিভ্রান্ত হয়ে নিজের, পরিবারের, সমাজের ক্ষতি ডেকে আনে; 
যেখানে কিনা স্বয়ং আল্লাহ আমাদেরকে শিখিয়েছেনঃ 
✐ কথা বলার সময় সবচেয়ে মার্জিত শব্দ ব্যবহার করবে এবং সবচেয়ে সুন্দর ভাবে কথা বলবে – ২:৮৩।
✐ কোন ভণিতা না করে, ধোঁকা না দিয়ে, যা বলতে চাও পরিস্কার করে বলবে – ৩৩:৭০।
✐ চিৎকার করবে না, কর্কশ ভাবে কথা বলবে না, নম্র ভাবে কথা বলবে – ৩১:১৯।
✐ মনের মধ্যে যা আছে সেটাই মুখে বলবে– ৩:১৬৭।
✐ ফালতু কথা বলবে না এবং অন্যের ফালতু কথা শুনবে না। যারা ফালতু কথা বলে, অপ্রয়োজনীয় কাজ করে সময় নষ্ট করে তাদের কাছ থেকে সরে যাবে – ২৩:৩, ২৮:৫৫।
✐ কাউকে নিয়ে উপহাস করবে না, টিটকারি দিবে না, ব্যঙ্গ করবে না – ৪৯:১০।
✐ অন্যকে নিয়ে খারাপ কথা বলবে না, কারো মানহানি করবে না – ৪৯:১০।
✐ কাউকে কোন বাজে নামে ডাকবে না। – ৪৯:১০।
✐ কারো পিছনে বাজে কথা বলবে না – ৪৯:১২।
✐ যাদেরকে আল্লাহ বেশি দিয়েছেন, তাদেরকে হিংসা করবে না, সে যদি তোমার নিজের ভাই-বোনও হয় – ৪:৫৪।
✐ অন্যকে কিছু সংশোধন করতে বলার আগে অবশ্যই তা নিজে মানবে। কথার চেয়ে কাজের প্রভাব বেশি – ২:৪৪।
✐ কখনও মিথ্যা কথা বলবে না – ২২:৩০।
✐ সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঘোলা করবে না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন করবে না – ২:৪২।
✐ যদি কোন ব্যপারে তোমার সঠিক জ্ঞান না থাকে, তাহলে সে ব্যপারে মুখ বন্ধ রাখো। তোমার মনে হতে পারে এসব সামান্য ব্যপারে সঠিকভাবে না জেনে কথা বললে অত সমস্যা নেই। কিন্তু তুমি জানো না সেটা হয়ত আল্লাহর কাছে কোন ভয়ঙ্কর ব্যপার – ২৪:১৪, ২৪:১৬।
✐ মানুষকে অত্যন্ত বিচক্ষণভাবে, মার্জিত কথা বলে আল্লাহর পথে ডাকবে। তাদের সাথে অত্যন্ত ভদ্র, শালীনভাবে যুক্তি তর্ক করবে – ১৬:১২৫।

ব্যবহার
------------------
✐ মার্জিত পোশাক পড়বে, সুন্দর আচরণ করবে – ৭:২৬।
✐ মার্জিত পোশাক পরে প্রার্থনা করবে, সেটা যেখানেই হোক না কেন – ৭:৩১।
✐ দরকারের বেশি খাবার খাবে না, পান করবে না – ৭:৩১। 
✐ নিজেই নিজের গুণ জাহির করে অন্যকে মুগ্ধ করার চেষ্টা করবে না – ৫৩:৩২।
✐ কারো সাথে ফুটানি করবে না, নিজেকে নিয়ে গর্ব করবে না– ৩১:১৮।
✐ দেমাক দেখিয়ে চলা ফেরা করবে না – ১৭:৩৭।
✐ তাড়াহুড়া করবে না, ধীরে সুস্থে চলাফেরা করবে – ৩১:১৯।
✐ বিনয়ের সাথে চলাফেরা করবে – ২৫:৬৩।
✐ বেশি সন্দেহ করবে না, কিছু সন্দেহ আছে যেটা করা গুনাহ। আন্দাজে ঢিল মারবে না। একে অন্যের উপর গুপ্তচরগিরি করবে না – ৪৯:১২। 
✐ কাউকে জিজ্ঞেস না করে এবং সুন্দর সম্ভাষণ না জানিয়ে তার ঘরে কখনও ঢুকে পরবে না – ২৪:২৭।
✐ কারো সাথে দেখা হলে তাকে সুন্দরভাবে সম্ভাষণ জানাবে, সালাম দিবে। কেউ তোমাকে সম্ভাষণ জানালে তাকে তার থেকে আরও ভালভাবে সম্ভাষণ জানাবে, সালাম দিবে। যদি সেটা না পারো, অন্তত সে যেভাবে জানিয়েছে, সেভাবে জানাবে – ৪:৮৬।
✐ যখন তুমি নিজের ঘরে আসবে বা অন্য কারো ঘরে যাবে, ঘরে যারা আছে তাদেরকে সুন্দর সম্ভাষণ জানাবে এবং তাদের জন্য আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা করবে – ২৪:৬১।
✐ কেউ ভুলে দোষ করে ক্ষমা চেলে এবং নিজেকে সংশোধন করলে তাকে আগ্রহ নিয়ে, কোন রাগ চেপে না রেখে ক্ষমা করে দিবে – ৬:৫৪, ৩:১৩৪।
✐ অজ্ঞ, বর্বর, বিপথগামী লোকজন অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা, খামোখা যুক্তিতর্ক করতে গেলে তাদেরকে সালাম/শান্তি বলে সরে যাবে– ২৫:৬৩।

নৈতিকতা
------------------
✐ নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে আগে ঠিক কর, অন্যদেরকে ঠিক করার আগে – ৬৬:৬।
✐ কারো কোন উপকার করলে তা তাকে বার বার মনে করিয়ে দিয়ে কষ্ট দিবে না – ২:২৬২।
✐ কারো উপকার করলে তার বিনিময়ে তার কাছ থেকে কোন উপকার, এমনকি ধন্যবাদও আশা করবে না – ৭৬:৯।
✐ কাউকে কথা দিলে অবশ্যই কথা রাখবে। তোমার প্রত্যেকটা অঙ্গীকারের ব্যপারে তোমাকে জিজ্ঞেস করা হবে – ১৭:৩৪।
✐ যারা ভালো কাজ করছে তাদেরকে ভালো কাজে সাহায্য করবে, উৎসাহ দিবে, তাদের সাথে ভালো কাজে যোগ দিবে। যারা খারাপ কাজ করে তাদেরকে কোন ধরণের সাহায্য করবে না – ৫:২।
✐ যারা ফাজলেমি, ছ্যাবলামি করে তাদের কাছ থেকে নিজের মান বজায় থাকতে সরে যাবে – ২৫:৭২।
✐ নোংরামি, অশ্লীল কাজের ধারে কাছেও যাবে না, সেটা গোপনে হোক আর প্রকাশ্যে – ৬:১৫১।
✐ বিপরীত লিঙ্গের প্রতি দৃষ্টি নত রাখো, কাম দৃষ্টি নিয়ে তাকাবে না, একপলকের জন্যও নয় – ২৪:৩০, ২৪:৩১, ৪০:১৯।
✐ কারো সম্পর্কে খারাপ কিছু শুনলে তার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখো যতক্ষণ পর্যন্ত না তুমি তার সম্পর্কে সঠিক তথ্য না পাচ্ছ। অন্যদেরকে নির্দোষ হিসেবে নিবে যতক্ষণ না তার দোষ প্রমাণিত হয় – ২৪:১২।
✐ দুষ্ট, পাজি কেউ তোমাকে কোন খবর দিলে সেটা ভালো করে যাচাই করে নিশ্চিত হও যাতে করে তুমি এমন কিছু করে না ফেল যার জন্য তোমাকে পরে পস্তাতে হয় – ৪৯:৬।
✐ তোমার যা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নেই তা অন্ধ অনুসরণ করবে না কারণ আল্লাহর আদালতে তোমার দৃষ্টি, শ্রবণ এবং বিচার-বুদ্ধি এই সব কিছুর বিচার করা হবে – ১৭:৩৬।
✐ যারা আল্লাহর বাণীকে গুরুত্ব দেয় না, তা নিয়ে অবহেলা করে, হাসি ঠাট্টা করে তাদের কাছ থেকে সরে যাবে – ৬:৭০। যতক্ষণ না তারা অন্য প্রসঙ্গে কথা না বলে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সাথে বসবে না, যাতে করে তুমিও তাদের মত হয়ে না যাও – ৪:১৪০।
✐ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে – ৯:১০৮, ৪:৪৩, ৫:৬।
✐ ঘুষ খাবে না এবং ঘুষ দিবে না – ২:১৮৮।
✐ অন্যের টাকা-পয়সা, সম্পত্তি জেনে শুনে অন্যায় ভাবে দখল করবে না – ২:১৮৮।
✐ নিজের সম্পত্তি অন্যায় ভাবে ভোগ করবে না – ২:১৮৮।
✐ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, সংস্থানের জন্য যাদের আনুগত্য করছ তাদের কোন ক্ষমতাই নেই তোমাকে কিছু দেবার, শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে চাও– ২৯:১৭।

পারিবারিক ও আত্মীয় সম্পর্ক 
---------------------------- 
✐ খাবারের দাওয়াত পেলে যখন যেতে বলেছে, তখনই যাবে, বেশি আগে যাবে না। খাওয়া হয়ে গেলে দেরি না করে চলে আসবে, যাতে তাদের অসুবিধা না হয় – ৩৩:৫৩।
✐ কথা বলার সময় কারও পক্ষপাতিত্ব করবে না, সেটা যদি নিকট আত্মীয়ের বিরুদ্ধেও হয় – ৬:১৫২।
✐ বাবা-মার সাথে সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক রাখবে, ব্যবহার করবে – ৪:৩৬।
✐ কাছের আত্মীয়দের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখবে – ৪:৩৬।
✐ এতিম, এবং অভাবী মানুষদেরকে সাহায্য করবে – ৪:৩৬।
✐ বন্ধু এবং প্রতিবেশীদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক রাখবে – ৪:৩৬।
✐ বিপদে পড়া পথিক-যাত্রীদেরকে সাহায্য করবে – ৪:৩৬।
✐ যারা তোমার অধীনে কাজ করে এবং দাস-দাসি বা কাজের লোকদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করবে – ৪:৩৬।
সাম্য
✐ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, যোগ্যতা নির্বিশেষে সব মানুষকে সন্মান কর – ১৭:৭০।
✐ জাতি, বর্ণ, ভাষা, যোগ্যতা নির্বিশেষে বিশ্বাসীরা সবাই ভাই-ভাই, বোন-বোন। তোমরা সবাই একই পরিবারের সদস্যর মত একে অন্যের ভাই-বোন হিসেবে থাকবে – ৪৯:১০।
✐ তোমাদের জীবনে অন্যের জন্য জায়গা রাখবে– ৫৮:১১।

কু’রআনের একটি আয়াত দিয়ে শেষ করিঃ
… আমরা তোমাকে (মুহম্মদ) কিতাবটি পাঠিয়েছি সব কিছু পরিস্কার করে বর্ণনা করে; যারা আল্লাহর প্রতি অনুগত (মুসলিম) তাদের জন্য পথ প্রদর্শক, অনুগ্রহ ও সুসংবাদ হিসেবে। (১৬:৮৯)
সালাম।
বিঃদ্রঃ উপরের উপদেশ গুলো সংশ্লিষ্ট আয়াতের সরাসরি অনুবাদ নয়। বরং যেই আয়াতগুলোর অংশ বিশেষ থেকে উপদেশগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে, তা দেওয়া হয়েছে। অনেক সময় আয়াতের অর্থ পড়ে সরাসরি বোঝা যায় না উপদেশটার সাথে মিল কোথায়। চিন্তা করুন, তাফসির পড়ুন, বুঝতে পারবেন।

এখানে প্রথমে সুরার নম্বরঃ ও আয়াত নম্বর দেওয়া আছে

সংগ্রহ / সুত্রঃ ওমর আল জাবির এর ওয়েবসাইট